ঢাকা ০৮:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫

এখনই নির্বাচনী উত্তাপ

  • আপডেট সময় : ০১:৩৪:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২২
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হবে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে। আইন অনুযায়ী ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে এ নিয়ে উত্তাপ ততই বাড়ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে দেশের বৃহৎ দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এখন মুখোমুখি। এ ইস্যুতে মুখ খুলেছে ছোট দলগুলোও। বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধিতা পাত্তা না দিয়ে ইভিএম ব্যবহার করে ১৫০ আসনে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে ইসি। তাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। সব মিলিয়ে নির্বাচনের এক বছরের বেশি সময় বাকি থাকলেও এ নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গন। এতে সব দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা নিয়ে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে ইসি।
ইভিএম নিয়ে এমন আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করার কথা জানিয়েছে ইসি। নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের সব কাজ নিয়ে বিতর্ক থাকবে। কারণ এমন কিছু করতে পারব না, যেটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। আমরা দেখব, দেশ ও জনগণের স্বার্থে কাজটি করছি কি না। নিরপেক্ষ ভোটের স্বার্থে করছি কি না।’
আর ইভিএম নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রকিবুল হাসান বলেন, ‘নানা জন নানা প্রশ্ন তুললেও মেশিনের (ইভিএম) কোনো ভুল ধরতে পারেনি কেউ।’ ইভিএমের কার্যকারিতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি।
অপরদিকে বৃহস্পতিবার জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা জানি যে, ‘এই নির্বাচন কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের দালাল হিসেবে কাজ করছে। তারা (ইসি) ২০১৪ তে করেছে, ২০১৮ তে করেছে, এবারও করবে। সেজন্য কিন্তু আমরা নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়নি, তাদের সংলাপেও অংশগ্রহণ করিনি।’
এদিকে নির্বাচনকেন্দ্রীক মূল ফ্যাক্টর ইভিএম ইস্যু নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা ছাড়াই অমীমাংসিত রেখেই গত ৩১ জুলাই শেষ হয় ইসির ‘নিষ্ফল’ সংলাপ। ১ জুলাই এই সংলাপ শুরু হয়। এতে ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানায় ইসি। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ (এরশাদ) ২৮টি দল অংশ নিয়ে ৩২১টি প্রস্তাব দেয়। সংলাপে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাসদ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, জেএসডি, এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, সিপিবি ও বিজেপি অংশ নেয়নি। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনের কাছে সময় চেয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ও জাতীয় পার্টি-জেপি।
শেষ পর্যন্ত ইভিএমের পক্ষে নানা যুক্তি দেখিয়ে ইসি ঘোষণা করেছে, ‘আসন্ন নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট হবে’। বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের মতামত উপেক্ষা করে ইসির এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন ওঠে নানা মহলে। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের ভাষ্য হচ্ছে, ‘ইভিএমে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত কমিশনের নিজের। রাজনৈতিক দলের মতামত এখানে প্রধান্য পায়নি’। বিএনপিসহ ইভিএমের বিরোধীতাকারী দলগুলো বলছে, ‘সংলাপের নামে নাটক করেছে ইসি। আর সরকারকে ফের ক্ষমতায় বসাতেই ইভিএম ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পথেই হাঁটছে কমিশন’।
এ বিষয়ে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ইভিএমে ভোট হলে শুধু রুম ক্যাপচার করলেই হয়। ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ মানুষ ইভিএমে ভোট দিতে পারে না। প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের জন্য ইভিএমে ভোট দেওয়া কঠিন। অন্তত ৫০ শতাংশ ভোটারের কথা কমিশন ভাবছেই না, সেই মানুষগুলোর কথা চিন্তা করা উচিত।
নির্বাচন কমিশন বলছে, সুষ্ঠু নির্বাচন করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে কমিশন। নির্বাচন কীভাবে হবে। কখন কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এসব বিষয় চূড়ান্ত করেছে ইসি। নির্বাচন কমিশন মনে করে, তাদের যে কোনো কাজে বিতর্ক হবেই; তাই কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর কথা বিবেচনায় না রেখে নিরপেক্ষ নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন তারা।
দেশে গত পাঁচ বছরে ইভিএমে মোট ৭৯১টি নির্বাচন হয়েছে। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের পাশাপাশি জাতীয় সংসদের বিভিন্ন আসনেও ভোট হয়েছে ইভিএমে। তবে ইভিএম নিয়ে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলের সংশয়, সন্দেহ ও অবিশ্বাস দূর হয়নি। পাঁচ বছর আগেও ইভিএম নিয়ে বিএনপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলের যে অবস্থান ছিল, এখনো তা একই আছে। বরং ক্ষেত্রবিশেষে ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক মতপার্থক্য ও অবিশ্বাস আরও বেড়েছে। বর্তমান ইসির অধীনে ১৩০টি নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার করা হয়। এসব নির্বাচনে বেশি আলোচনা হয়েছে ভোটকক্ষে (বুথ) ‘ডাকাতের’ উপস্থিতি, ইভিএমে ভোট নিতে দেরি হওয়া, আঙুলের ছাপ না মেলার মতো বিষয়। এর ফলে ইভিএমের গ্রহণযোগ্যতা আরও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। ২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গঠিত এ টি এম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন দেশে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে ভোটে ইভিএমের ব্যবহার শুরু করে। তবে এ যন্ত্রে ভোট নেওয়ার ওপর মূলত জোর দেয় কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বিদায়ী নির্বাচন কমিশন। তবে শুরু থেকেই এ যন্ত্রের ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক, সন্দেহ, অবিশ্বাস ছিল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এখনই নির্বাচনী উত্তাপ

আপডেট সময় : ০১:৩৪:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হবে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে। আইন অনুযায়ী ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে এ নিয়ে উত্তাপ ততই বাড়ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে দেশের বৃহৎ দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এখন মুখোমুখি। এ ইস্যুতে মুখ খুলেছে ছোট দলগুলোও। বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধিতা পাত্তা না দিয়ে ইভিএম ব্যবহার করে ১৫০ আসনে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে ইসি। তাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। সব মিলিয়ে নির্বাচনের এক বছরের বেশি সময় বাকি থাকলেও এ নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গন। এতে সব দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা নিয়ে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে ইসি।
ইভিএম নিয়ে এমন আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করার কথা জানিয়েছে ইসি। নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের সব কাজ নিয়ে বিতর্ক থাকবে। কারণ এমন কিছু করতে পারব না, যেটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। আমরা দেখব, দেশ ও জনগণের স্বার্থে কাজটি করছি কি না। নিরপেক্ষ ভোটের স্বার্থে করছি কি না।’
আর ইভিএম নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রকিবুল হাসান বলেন, ‘নানা জন নানা প্রশ্ন তুললেও মেশিনের (ইভিএম) কোনো ভুল ধরতে পারেনি কেউ।’ ইভিএমের কার্যকারিতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি।
অপরদিকে বৃহস্পতিবার জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা জানি যে, ‘এই নির্বাচন কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের দালাল হিসেবে কাজ করছে। তারা (ইসি) ২০১৪ তে করেছে, ২০১৮ তে করেছে, এবারও করবে। সেজন্য কিন্তু আমরা নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়নি, তাদের সংলাপেও অংশগ্রহণ করিনি।’
এদিকে নির্বাচনকেন্দ্রীক মূল ফ্যাক্টর ইভিএম ইস্যু নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা ছাড়াই অমীমাংসিত রেখেই গত ৩১ জুলাই শেষ হয় ইসির ‘নিষ্ফল’ সংলাপ। ১ জুলাই এই সংলাপ শুরু হয়। এতে ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানায় ইসি। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ (এরশাদ) ২৮টি দল অংশ নিয়ে ৩২১টি প্রস্তাব দেয়। সংলাপে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাসদ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, জেএসডি, এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, সিপিবি ও বিজেপি অংশ নেয়নি। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনের কাছে সময় চেয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ও জাতীয় পার্টি-জেপি।
শেষ পর্যন্ত ইভিএমের পক্ষে নানা যুক্তি দেখিয়ে ইসি ঘোষণা করেছে, ‘আসন্ন নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট হবে’। বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের মতামত উপেক্ষা করে ইসির এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন ওঠে নানা মহলে। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের ভাষ্য হচ্ছে, ‘ইভিএমে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত কমিশনের নিজের। রাজনৈতিক দলের মতামত এখানে প্রধান্য পায়নি’। বিএনপিসহ ইভিএমের বিরোধীতাকারী দলগুলো বলছে, ‘সংলাপের নামে নাটক করেছে ইসি। আর সরকারকে ফের ক্ষমতায় বসাতেই ইভিএম ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পথেই হাঁটছে কমিশন’।
এ বিষয়ে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ইভিএমে ভোট হলে শুধু রুম ক্যাপচার করলেই হয়। ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ মানুষ ইভিএমে ভোট দিতে পারে না। প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের জন্য ইভিএমে ভোট দেওয়া কঠিন। অন্তত ৫০ শতাংশ ভোটারের কথা কমিশন ভাবছেই না, সেই মানুষগুলোর কথা চিন্তা করা উচিত।
নির্বাচন কমিশন বলছে, সুষ্ঠু নির্বাচন করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে কমিশন। নির্বাচন কীভাবে হবে। কখন কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এসব বিষয় চূড়ান্ত করেছে ইসি। নির্বাচন কমিশন মনে করে, তাদের যে কোনো কাজে বিতর্ক হবেই; তাই কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর কথা বিবেচনায় না রেখে নিরপেক্ষ নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন তারা।
দেশে গত পাঁচ বছরে ইভিএমে মোট ৭৯১টি নির্বাচন হয়েছে। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের পাশাপাশি জাতীয় সংসদের বিভিন্ন আসনেও ভোট হয়েছে ইভিএমে। তবে ইভিএম নিয়ে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলের সংশয়, সন্দেহ ও অবিশ্বাস দূর হয়নি। পাঁচ বছর আগেও ইভিএম নিয়ে বিএনপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলের যে অবস্থান ছিল, এখনো তা একই আছে। বরং ক্ষেত্রবিশেষে ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক মতপার্থক্য ও অবিশ্বাস আরও বেড়েছে। বর্তমান ইসির অধীনে ১৩০টি নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার করা হয়। এসব নির্বাচনে বেশি আলোচনা হয়েছে ভোটকক্ষে (বুথ) ‘ডাকাতের’ উপস্থিতি, ইভিএমে ভোট নিতে দেরি হওয়া, আঙুলের ছাপ না মেলার মতো বিষয়। এর ফলে ইভিএমের গ্রহণযোগ্যতা আরও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। ২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গঠিত এ টি এম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন দেশে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে ভোটে ইভিএমের ব্যবহার শুরু করে। তবে এ যন্ত্রে ভোট নেওয়ার ওপর মূলত জোর দেয় কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বিদায়ী নির্বাচন কমিশন। তবে শুরু থেকেই এ যন্ত্রের ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক, সন্দেহ, অবিশ্বাস ছিল।