ঢাকা ০২:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

এখনই জেলে যাওয়া নিয়ে ভাবছেন আ’লীগ নেতারা : ফখরুল

  • আপডেট সময় : ১২:৫৫:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০২২
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ নেতারা এখনই জেলে যাওয়ার বিষয়ে ভাবছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এটা তো আগেই বোঝা উচিত ছিল। আমরা আশা করেছিলাম তারা জনগণের চোখের ভাষা বুঝতে পারবেন, তাদের কথাগুলো বুঝতে পারবেন।
গতকাল রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেন, এখন জেলে যাওয়ার বিষয় নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন কেন? আপনি কেন বলেন- পালাবো না, আমরা জেলে যাবো। এগুলো আরও আগে ভাবা উচিত ছিল।
দলের বিভাগীয় সমাবেশ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, সমাবেশগুলো দেখে যা মনে হয়েছে, মানুষ সব বাধা উপেক্ষা করে চলে আসছেন। বরিশালের সমাবেশের দুদিন আগে লঞ্চ, যানবাহন বন্ধ করে দেওয়া। এমনকি খেয়া পর্যন্ত বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু মানুষ সাঁতরে পর্যন্ত সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন।
সমাবেশ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, একজন সাধারণ মানুষ যখন বলেন চেষ্টা করতে হবে, এটা আমাদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। আমরা অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছি এই সমাবেশগুলো থেকে। আমাদের মধ্যে বিশ্বাস জন্মেছে। আমরা যে যেখানেই ছিলাম, অনেক বেশি নির্যাতিত, নিপীড়িত আমাদের দল। ফখরুল বলেন, যুগপৎ আন্দোলন করার বিষয়ে আমরা সবাই একমত হয়েছি। বাকি বিষয়গুলো নিয়ে দ্রুত আলোচনা করা হবে। সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আন্দোলনকে কীভাবে দমননীতি এবং মামলা দিয়ে বন্ধ করা যায় সেই প্রচেষ্টা তারা শুরু করেছে। কিন্তু তারা বুঝতে পারছে না, জনগণের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। এখন তারা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এই মামলা-হামলা করে কোনো লাভ হয়নি, এখনো হবে না। গত ১৫ বছর ধরে এ ধরনের কাজ করে বিএনপিকে তো দমিয়ে রাখতে পারেননি। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের মন্ত্রী বানাতে হবে না, কিন্তু পরিবর্তনটা আনুন, দেশের মানুষকে বাঁচতে দিন। দেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার একটি ক্ষেত্র তৈরি করে দিন। তিনি বলেন, বিশ্বাস করি, যদি আমরা একসঙ্গে সামনে এগিয়ে যাই, তাহলে অবশ্যই জয়ী হবো। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সংকটে বিএনপি একা না। তাদের সঙ্গে সবাই আছে। ডিসেম্বরের আগেই ঢাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায় সরকার। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বাস্তবতা বাংলাদেশে নেই। সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকসহ আয়োজক সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এখনই জেলে যাওয়া নিয়ে ভাবছেন আ’লীগ নেতারা : ফখরুল

আপডেট সময় : ১২:৫৫:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ নেতারা এখনই জেলে যাওয়ার বিষয়ে ভাবছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এটা তো আগেই বোঝা উচিত ছিল। আমরা আশা করেছিলাম তারা জনগণের চোখের ভাষা বুঝতে পারবেন, তাদের কথাগুলো বুঝতে পারবেন।
গতকাল রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেন, এখন জেলে যাওয়ার বিষয় নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন কেন? আপনি কেন বলেন- পালাবো না, আমরা জেলে যাবো। এগুলো আরও আগে ভাবা উচিত ছিল।
দলের বিভাগীয় সমাবেশ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, সমাবেশগুলো দেখে যা মনে হয়েছে, মানুষ সব বাধা উপেক্ষা করে চলে আসছেন। বরিশালের সমাবেশের দুদিন আগে লঞ্চ, যানবাহন বন্ধ করে দেওয়া। এমনকি খেয়া পর্যন্ত বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু মানুষ সাঁতরে পর্যন্ত সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন।
সমাবেশ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, একজন সাধারণ মানুষ যখন বলেন চেষ্টা করতে হবে, এটা আমাদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। আমরা অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছি এই সমাবেশগুলো থেকে। আমাদের মধ্যে বিশ্বাস জন্মেছে। আমরা যে যেখানেই ছিলাম, অনেক বেশি নির্যাতিত, নিপীড়িত আমাদের দল। ফখরুল বলেন, যুগপৎ আন্দোলন করার বিষয়ে আমরা সবাই একমত হয়েছি। বাকি বিষয়গুলো নিয়ে দ্রুত আলোচনা করা হবে। সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আন্দোলনকে কীভাবে দমননীতি এবং মামলা দিয়ে বন্ধ করা যায় সেই প্রচেষ্টা তারা শুরু করেছে। কিন্তু তারা বুঝতে পারছে না, জনগণের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। এখন তারা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এই মামলা-হামলা করে কোনো লাভ হয়নি, এখনো হবে না। গত ১৫ বছর ধরে এ ধরনের কাজ করে বিএনপিকে তো দমিয়ে রাখতে পারেননি। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের মন্ত্রী বানাতে হবে না, কিন্তু পরিবর্তনটা আনুন, দেশের মানুষকে বাঁচতে দিন। দেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার একটি ক্ষেত্র তৈরি করে দিন। তিনি বলেন, বিশ্বাস করি, যদি আমরা একসঙ্গে সামনে এগিয়ে যাই, তাহলে অবশ্যই জয়ী হবো। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সংকটে বিএনপি একা না। তাদের সঙ্গে সবাই আছে। ডিসেম্বরের আগেই ঢাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায় সরকার। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বাস্তবতা বাংলাদেশে নেই। সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকসহ আয়োজক সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।