ঢাকা ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এক সপ্তাহে শনাক্ত রোগী কমেছে, বেড়েছে মৃত্যু

  • আপডেট সময় : ০২:৪৬:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১২৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে গত এক সপ্তাহে করোনাভাইরাসে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আগের সপ্তাহের চেয়ে কমলেও বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এক সপ্তাহে দেশে ৭৬ হাজার ২০০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে; আগের সপ্তাহে এই সংখ্যাটি ছিল এক লাখ ১৯৬ জন। অর্থাৎ এক সপ্তাহে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ। গত এক সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছে ২২৬ জন কোভিড রোগীর। তার আগের সপ্তাহে ১৪০ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অর্থাৎ, এক সপ্তাহে মৃত্যুর সংখ্যা ৬১ শতাংশ বেড়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এ বছর ১ ফেব্রুয়ারি তা ১৮ লাখ পেরিয়ে যায়। তার আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত বছর ৫ ডিসেম্বর কোভিডে মোট মৃত্যু ২৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ আগস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। ডেল্টার সেই ধাক্কা সামলে বাংলাদেশের মহামারী পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল গত বছরের শেষে। ডিসেম্বরে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ঘোরাফেরা করছিল ২০০ থেকে ৩০০ এর ঘরে। শনাক্তের হার নেমে এসেছিল ২ শতাংশের নিচে। কিন্তু বিশ্বে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তার শুরুর পর জানুয়ারির শুরু থেকে বাংলাদেশেরও আবার দ্রুত উঠতে থাকে সংক্রমণের গ্রাফ। ২৫ জানুয়ারি এক দিনে ১৬ হাজার ৩৩ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ে, যা মহামারীর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
ডেল্টার দাপটে বাংলাদেশে দিনে রোগী শনাক্তের হার ৩২ শতাংশে উঠেছিল ২০২১ সালে। তবে এরপর সংক্রমণের হার কমতে কমতে ২ শনাক্তের নিচে নেমেছিল। সেই হার আবার বাড়তে বাড়তে ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশের নতুন রেকর্ডে পৌঁছায় গত ২৮ জানুয়ারি। ৪ ফেব্রুয়ারির পর থেকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০ হাজারেই নিচেই থাকছে। সোমবার নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার নেমে এসেছে ২১ দশমিক ০৭ শতাংশে। ওমিক্রনের বিস্তারের মধ্যে জানুয়ারি মাসে ২ লাখ ১৩ হাজার ২৯৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৩২২ জনের। তার আগের মাস ডিসেম্বরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ২৫৫ জন, আর সারা মাসে ৯২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মহামারীর পুরো সময়ে এক মাসে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল গতবছর জুলাই মাসে, সখন ডেল্টার দাপট চলছে। ওই মাসে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ২২৬ জন রোগী শনাক্ত হয়, মৃত্যু হয় ৬১৮২ জনের, যা এক মাসের সর্বোচ্চ। সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৪৪ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে নয় হাজার ৩৬৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে আরও ৩৮ জনের। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৯০১ জনে। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ৬২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এক সপ্তাহে শনাক্ত রোগী কমেছে, বেড়েছে মৃত্যু

আপডেট সময় : ০২:৪৬:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে গত এক সপ্তাহে করোনাভাইরাসে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আগের সপ্তাহের চেয়ে কমলেও বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এক সপ্তাহে দেশে ৭৬ হাজার ২০০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে; আগের সপ্তাহে এই সংখ্যাটি ছিল এক লাখ ১৯৬ জন। অর্থাৎ এক সপ্তাহে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ। গত এক সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছে ২২৬ জন কোভিড রোগীর। তার আগের সপ্তাহে ১৪০ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অর্থাৎ, এক সপ্তাহে মৃত্যুর সংখ্যা ৬১ শতাংশ বেড়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এ বছর ১ ফেব্রুয়ারি তা ১৮ লাখ পেরিয়ে যায়। তার আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত বছর ৫ ডিসেম্বর কোভিডে মোট মৃত্যু ২৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ আগস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। ডেল্টার সেই ধাক্কা সামলে বাংলাদেশের মহামারী পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল গত বছরের শেষে। ডিসেম্বরে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ঘোরাফেরা করছিল ২০০ থেকে ৩০০ এর ঘরে। শনাক্তের হার নেমে এসেছিল ২ শতাংশের নিচে। কিন্তু বিশ্বে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তার শুরুর পর জানুয়ারির শুরু থেকে বাংলাদেশেরও আবার দ্রুত উঠতে থাকে সংক্রমণের গ্রাফ। ২৫ জানুয়ারি এক দিনে ১৬ হাজার ৩৩ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ে, যা মহামারীর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
ডেল্টার দাপটে বাংলাদেশে দিনে রোগী শনাক্তের হার ৩২ শতাংশে উঠেছিল ২০২১ সালে। তবে এরপর সংক্রমণের হার কমতে কমতে ২ শনাক্তের নিচে নেমেছিল। সেই হার আবার বাড়তে বাড়তে ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশের নতুন রেকর্ডে পৌঁছায় গত ২৮ জানুয়ারি। ৪ ফেব্রুয়ারির পর থেকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০ হাজারেই নিচেই থাকছে। সোমবার নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার নেমে এসেছে ২১ দশমিক ০৭ শতাংশে। ওমিক্রনের বিস্তারের মধ্যে জানুয়ারি মাসে ২ লাখ ১৩ হাজার ২৯৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৩২২ জনের। তার আগের মাস ডিসেম্বরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ২৫৫ জন, আর সারা মাসে ৯২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মহামারীর পুরো সময়ে এক মাসে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল গতবছর জুলাই মাসে, সখন ডেল্টার দাপট চলছে। ওই মাসে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ২২৬ জন রোগী শনাক্ত হয়, মৃত্যু হয় ৬১৮২ জনের, যা এক মাসের সর্বোচ্চ। সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৪৪ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে নয় হাজার ৩৬৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে আরও ৩৮ জনের। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৯০১ জনে। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ৬২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।