ঢাকা ০৫:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

এক সপ্তাহের মধ্যে টি+১ চালুর তথ্য জানানোর নির্দেশ বিএসইসি’র

  • আপডেট সময় : ০১:৫৪:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের প্ুঁজিবাজারে লেনদেন নিষ্পত্তির সময়সীমা টি+৩ থেকে কমিয়ে টি+১ এ আনতে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে তা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) ডিএসই ও সিএসই সঙ্গে আলোচনায় বিএসইসির পক্ষ থেকে দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে জানাতে বলা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে কোন কোন দেশে এ সিস্টেম চালু রয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করাসহ সব ধরনের সমস্যা-সমাধানের বিষয় একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করে বৈঠকে তুলে ধরতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ডিএসইর প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা (সিওও) এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, সভায় প্ুঁজিবাজারে টি+১ কীভাবে চালু করা যায়, সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিশন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ডিএসইকে পরিকল্পনা জানাতে বলা হয়েছে। এরপর অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এর আগের দিন সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি কমিশনের পক্ষ থেকে পুঁজিবাজারে লেনদেন নিষ্পত্তির সময়সীমা টি+৩ থেকে কমিয়ে টি+১ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে জেড ক্যাটাগরি এর আওতায় পড়বে না। এ সিদ্ধান্তের ফলে বিনিয়োগকারীরা সিকিউরিটিজ কেনার পরের দিনই বিক্রি করতে পারবেন। এ সিদ্ধান্ত মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে কার্যকর করার বিষয়ে কাজ করছে বিএসইসি। বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্ুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগ সহজলভ্য করতে লেনদেন নিষ্পত্তির সময়সীমা টি+১ চালু করতে যাচ্ছে কমিশন। বর্তমানে প্ুঁজিবাজারে লেনদেন নিষ্পত্তির সময়সীমা টি+৩ চালু আছে। এর ফলে সিকিউরিটিজ ক্রয়ের তৃতীয় দিনে তা বিক্রি করা যায়। লেনদেন নিষ্পত্তির এই সময়ের ব্যবধান কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। তিনি বলেন, সবার জন্য সহায়ক একটি আন্তর্জাতিক মানের পুঁজিবাজার গড়ে তোলার লক্ষ্যে টি+১ সেটেলমেন্ট চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর মাধ্যমে বাজারে অর্থের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে এবং বিদেশিসহ সব বিনিয়োগকারীর জন্য পুঁজিবাজার সুগম হবে। এছাড়া, সবার সময় ও ব্যয় কমে আসবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এক সপ্তাহের মধ্যে টি+১ চালুর তথ্য জানানোর নির্দেশ বিএসইসি’র

আপডেট সময় : ০১:৫৪:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের প্ুঁজিবাজারে লেনদেন নিষ্পত্তির সময়সীমা টি+৩ থেকে কমিয়ে টি+১ এ আনতে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে তা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) ডিএসই ও সিএসই সঙ্গে আলোচনায় বিএসইসির পক্ষ থেকে দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে জানাতে বলা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে কোন কোন দেশে এ সিস্টেম চালু রয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করাসহ সব ধরনের সমস্যা-সমাধানের বিষয় একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করে বৈঠকে তুলে ধরতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ডিএসইর প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা (সিওও) এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, সভায় প্ুঁজিবাজারে টি+১ কীভাবে চালু করা যায়, সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিশন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ডিএসইকে পরিকল্পনা জানাতে বলা হয়েছে। এরপর অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এর আগের দিন সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি কমিশনের পক্ষ থেকে পুঁজিবাজারে লেনদেন নিষ্পত্তির সময়সীমা টি+৩ থেকে কমিয়ে টি+১ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে জেড ক্যাটাগরি এর আওতায় পড়বে না। এ সিদ্ধান্তের ফলে বিনিয়োগকারীরা সিকিউরিটিজ কেনার পরের দিনই বিক্রি করতে পারবেন। এ সিদ্ধান্ত মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে কার্যকর করার বিষয়ে কাজ করছে বিএসইসি। বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্ুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগ সহজলভ্য করতে লেনদেন নিষ্পত্তির সময়সীমা টি+১ চালু করতে যাচ্ছে কমিশন। বর্তমানে প্ুঁজিবাজারে লেনদেন নিষ্পত্তির সময়সীমা টি+৩ চালু আছে। এর ফলে সিকিউরিটিজ ক্রয়ের তৃতীয় দিনে তা বিক্রি করা যায়। লেনদেন নিষ্পত্তির এই সময়ের ব্যবধান কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। তিনি বলেন, সবার জন্য সহায়ক একটি আন্তর্জাতিক মানের পুঁজিবাজার গড়ে তোলার লক্ষ্যে টি+১ সেটেলমেন্ট চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর মাধ্যমে বাজারে অর্থের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে এবং বিদেশিসহ সব বিনিয়োগকারীর জন্য পুঁজিবাজার সুগম হবে। এছাড়া, সবার সময় ও ব্যয় কমে আসবে।