ঢাকা ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫

এক মাস চিনি না খেলে লিভারসহ সুস্থ থাকবে

  • আপডেট সময় : ০৫:৪৮:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪
  • ৫৭ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক: আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কোনো না কোনোভাবে চিনি থাকে। চিনি সরাসরি রক্তে মিশে যায় এবং অতি উচ্চ মাত্রার ফ্রুকটোজ উৎপন্ন করে আমাদের আসক্তি তৈরি করে। ফলে চিনির প্রতি আমাদের এক ধরনের নেশা তৈরি হয়। অত্যধিক চিনি টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে বলে জানায় বেশকিছু গবেষণা। চিনি থেকে দূরে থাকতে ৩০ দিনের নো সুগার চ্যালেঞ্জ হাতে নিতে পারেন। এই ৩০ দিনে কী কী হবে জানেন?
কিছু গবেষণার বলছে, ঘন ঘন খাবার খাওয়া ও অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয় পান করা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে। এছাড়া রেটিনোপ্যাথি, ডিমেনশিয়া, দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ, নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (এনএএফএলডি), পলিসিস্টিক ডিম্বাশয় সিন্ড্রোম এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে রক্তের অতিরিক্ত শর্করা। চিনি খাওয়া বাদ দিয়ে দিলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়।
চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয়তে ক্যালোরি বেশি থাকে এবং প্রোটিন এবং ফাইবারের মতো পুষ্টি উপাদান কম থাকে। উচ্চ চিনিযুক্ত খাবারের সাথে ওজন বৃদ্ধি, স্থূলতা এবং অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী রোগের সম্পর্ক রয়েছে। খাদ্যতালিকা পুরোপুরি চিনিমুক্ত করলে এক মাসের মধ্যেই ওজন নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করবে। খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ খাবার।
উচ্চ চিনির খাবার খেলে লিভারে চর্বি জমার ঝুঁকি বাড়ে। চিনি না খেলে হেপাটিক ডি নভো লাইপোজেনেসিস ১০ দশিকি ৫ শতাংশ কমে যায়, এই প্রক্রিয়া যা লিভারে ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করে। চিনি খাওয়া বাদ দিলে লিভারের চর্বি কমতে শুরু করে ও লিভার সুস্থ থাকে।
উচ্চ রক্তচাপ, ট্রাইগ্লিসারাইড বৃদ্ধি, উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণ হতে পারে অতিরিক্ত চিনি। চিনি খাওয়া বাদ দিয়ে দিলে তাই উন্নতি হতে থাকে হার্টের স্বাস্থ্যের।
অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার আমাদের উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতা বাড়াতে পারে। চিনি গ্রহণ কমিয়ে দিলে এই লক্ষণগুলো হ্রাস পায়।
ত্বকের স্বাস্থ্যেরও লক্ষণীয় উন্নতি হবে খাদ্য তালিকা থেকে চিনি বাদ দিয়ে দিলে। গবেষণা বলছে, চিনি খেলে ত্বক দ্রুত বুড়িয়ে যায়।

জেনে নিন
চিনি বাদ দেওয়া শুরু করলে প্রথমে কিছুটা অস্বস্তি হতে পারে। শরীরকে চিনি না খাওয়াতে অভ্যস্ত করাতে কিছুটা বেগ পেতে হবে। তবে কয়েকদিন পর শারীরিক শক্তি ও মনোযোগ ফিরে পেতে শুরু করবেন। এমনকি মনোযোগ আগের চেয়েও বাড়বে। তবে ৩০ দিনের চ্যালেঞ্জ শেষ করে আবার চিনি খাওয়া শুরু করে দেবেন না যেন! এতে কিন্তু কব লাভই হবে না। বরং সুস্থ থাকতে চাইলে নো সুগার চ্যালেঞ্জ কন্টিনিউ করুন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এক মাস চিনি না খেলে লিভারসহ সুস্থ থাকবে

আপডেট সময় : ০৫:৪৮:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

লাইফস্টাইল ডেস্ক: আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কোনো না কোনোভাবে চিনি থাকে। চিনি সরাসরি রক্তে মিশে যায় এবং অতি উচ্চ মাত্রার ফ্রুকটোজ উৎপন্ন করে আমাদের আসক্তি তৈরি করে। ফলে চিনির প্রতি আমাদের এক ধরনের নেশা তৈরি হয়। অত্যধিক চিনি টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে বলে জানায় বেশকিছু গবেষণা। চিনি থেকে দূরে থাকতে ৩০ দিনের নো সুগার চ্যালেঞ্জ হাতে নিতে পারেন। এই ৩০ দিনে কী কী হবে জানেন?
কিছু গবেষণার বলছে, ঘন ঘন খাবার খাওয়া ও অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয় পান করা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে। এছাড়া রেটিনোপ্যাথি, ডিমেনশিয়া, দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ, নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (এনএএফএলডি), পলিসিস্টিক ডিম্বাশয় সিন্ড্রোম এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে রক্তের অতিরিক্ত শর্করা। চিনি খাওয়া বাদ দিয়ে দিলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়।
চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয়তে ক্যালোরি বেশি থাকে এবং প্রোটিন এবং ফাইবারের মতো পুষ্টি উপাদান কম থাকে। উচ্চ চিনিযুক্ত খাবারের সাথে ওজন বৃদ্ধি, স্থূলতা এবং অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী রোগের সম্পর্ক রয়েছে। খাদ্যতালিকা পুরোপুরি চিনিমুক্ত করলে এক মাসের মধ্যেই ওজন নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করবে। খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ খাবার।
উচ্চ চিনির খাবার খেলে লিভারে চর্বি জমার ঝুঁকি বাড়ে। চিনি না খেলে হেপাটিক ডি নভো লাইপোজেনেসিস ১০ দশিকি ৫ শতাংশ কমে যায়, এই প্রক্রিয়া যা লিভারে ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করে। চিনি খাওয়া বাদ দিলে লিভারের চর্বি কমতে শুরু করে ও লিভার সুস্থ থাকে।
উচ্চ রক্তচাপ, ট্রাইগ্লিসারাইড বৃদ্ধি, উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণ হতে পারে অতিরিক্ত চিনি। চিনি খাওয়া বাদ দিয়ে দিলে তাই উন্নতি হতে থাকে হার্টের স্বাস্থ্যের।
অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার আমাদের উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতা বাড়াতে পারে। চিনি গ্রহণ কমিয়ে দিলে এই লক্ষণগুলো হ্রাস পায়।
ত্বকের স্বাস্থ্যেরও লক্ষণীয় উন্নতি হবে খাদ্য তালিকা থেকে চিনি বাদ দিয়ে দিলে। গবেষণা বলছে, চিনি খেলে ত্বক দ্রুত বুড়িয়ে যায়।

জেনে নিন
চিনি বাদ দেওয়া শুরু করলে প্রথমে কিছুটা অস্বস্তি হতে পারে। শরীরকে চিনি না খাওয়াতে অভ্যস্ত করাতে কিছুটা বেগ পেতে হবে। তবে কয়েকদিন পর শারীরিক শক্তি ও মনোযোগ ফিরে পেতে শুরু করবেন। এমনকি মনোযোগ আগের চেয়েও বাড়বে। তবে ৩০ দিনের চ্যালেঞ্জ শেষ করে আবার চিনি খাওয়া শুরু করে দেবেন না যেন! এতে কিন্তু কব লাভই হবে না। বরং সুস্থ থাকতে চাইলে নো সুগার চ্যালেঞ্জ কন্টিনিউ করুন।