প্রত্যাশা ডেস্ক : জুলাইতে ১১০০-এর বেশিবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্ক। ‘২০১২’ সিনেমাটিতে এই পার্কটি দেখানো হয়েছিল। ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৭ সালের পর এই প্রথম এক মাসের মধ্যে এতবার কেঁপে উঠল যুক্তরাষ্ট্রের এই পার্কটি।
তবে ভূমিকম্পের প্রায় সবকটিরই তীব্রতা ছিল অনেক কম। মাত্র চারটি ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেল ৩ এর উপরে। যার জেরে কোনো ক্ষতি হয়নি। বিশ্বের অন্যতম বড় আগ্নেয়গিরির মুখে নির্মিত এই পার্কটি ভৌগোলিক বিস্ময়ে পরিপূর্ণ। বলা ভালো যে ভূমিকম্পের জেরে সেই আগ্নেয়গিরিতে কোনও প্রভাব পড়েনি।
ইউএসজিস এর রিপোর্ট মোতাবেক, জুলাই মাসে এত বেশি ভূমিকম্প হওয়াটা যথেষ্ট চিন্তার বিষয়। কেন এতবার কম্পন ঘটল, তার কারণ অনুসন্ধান করতে মাঠে নেমেছেন বিজ্ঞানীরা। শুধুমাত্র লাভা প্রবাহের জেরে এত বেশি ভূমিকম্প হতে পারে না। গত মাসের মধ্যে ১৬ জুলাই সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩.৬। তবে ইয়েলোস্টোন পার্কের ভূমিকম্প নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্ক এলাকায় আমেরিকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভূকম্পন হয়। এখানে বছরে ৭০০-৩০০০ বার ভূমিকম্প হয়। এখানে পর্যটকেরা এলেও অনেকেই এই কম্পনের ব্যাপারে জানেন না। কারণ, ভূকম্পনের তীব্রতা হয় খুবই কম।
মাটির তলায় থাকা একটি খুব বড় আগ্নেয়গিরির মুখ ও তার পাশের ফল্টস লাইনের উপরে তৈরি পার্কটি। এই আগ্নেয়গিরিটি প্রায় ৭০ হাজার বছর আগে বিস্ফোরণ হয়। তারপর থেকে এটি এখনও ঘুমিয়ে রয়েছে। ফলে পার্কের মাটি অনেকসময় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এই এলাকার ফল্টস লাইন যথেষ্ট সক্রিয়। বিজ্ঞানীদের মতে, আগামী এক লাখ বছরের আগে এই এলাকায় আর বড় বিস্ফোরণের সম্ভাবনা নেই।