ঢাকা ০৮:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

এক মাসে উত্তর কোরিয়ার সপ্তম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা

  • আপডেট সময় : ১২:৩৫:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২২
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আরো একটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এক মাসের মধ্যে এটি দেশটির সপ্তম পরীক্ষা। রোববার পরীক্ষা চালানো ক্ষেপণাস্ত্রটি মাঝারি পাল্লার ছিল। যেটি আকাশে দুই হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে গিয়ে জাপান সমুদ্রে পড়ে। বিবিসি জানায়, ২০১৭ সালের পর এটাই উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা ছিল। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র সমালোচনার পরও একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। গত ৫ ও ১০ জানুয়ারি দুটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর পিয়ংইয়ং দাবি করেছিল, তারা হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকেল এবং ম্যানুভারেবল রি-এন্ট্রি ভেহিকেলের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। তারপর গত ১৭ জানুয়ারি ভোরে পিয়ংইয়ং বিমানবন্দর থেকে সমুদ্রে দুইটি স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় দেশটি। গত ২৭ জানুয়ারি উত্তর কোরিয়া পূর্ব উপকূলীয় সাগরে আরো দুটি স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। সেগুলো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছিল বলে ধারণা দক্ষিণ কোরিয়ার। দক্ষিণ কোরিয়া জানায়, স্থানীয় সময় রোববার সকাল ০৭ টা ৫২ মিনিটে (২২:৫২ জিএমটি) উত্তর কোরিয়া পূর্ব উপকূল থেকে এবারের ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়ে। জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তাদের হিসাব অনুযায়ী রোববার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি আকাশে ২০০০ কিলোমিটার উঠে যায় এবং ৩০ মিনিট ধরে উড়ে আটশো কিলোমিটার (৫০০ মাইল) দূরে গিয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ায়ে ‘ভবিষ্যতে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা কাজ থেকে বিরত থাকতে’ বলেছে। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম আসলে কী চান?
এছাড়া, জাতিসংঘ উত্তর কোরিয়াকে ব্যালেস্টিক এবং পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে নিষেধ করেছে এবং এজন্য দেশটির উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞার থোড়াই কেয়ার করে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে পূর্ব এশিয়ার এ দেশটি। যার পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করেন, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া বিশ্ব এবং আঞ্চলিক শক্তিকে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা সম্পর্কে জানান দিতে চাইছে। তাদের নতুন নতুন প্রযুক্তি এবং মিলিটারি কমান্ড সিস্টেমের জন্যও এসব পরীক্ষা চালানো প্রয়োজন। উত্তর কোরিয়া সাধারণত জানুয়ারি মাসে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় না। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এবার জানুয়ারি মাসে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর পেছনে সময়ের একটি ভূমিকা আছে। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে চীনে শীতকালীন অলিম্পিক শুরু হচ্ছে। মার্চে হবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এক মাসে উত্তর কোরিয়ার সপ্তম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা

আপডেট সময় : ১২:৩৫:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আরো একটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এক মাসের মধ্যে এটি দেশটির সপ্তম পরীক্ষা। রোববার পরীক্ষা চালানো ক্ষেপণাস্ত্রটি মাঝারি পাল্লার ছিল। যেটি আকাশে দুই হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে গিয়ে জাপান সমুদ্রে পড়ে। বিবিসি জানায়, ২০১৭ সালের পর এটাই উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা ছিল। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র সমালোচনার পরও একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। গত ৫ ও ১০ জানুয়ারি দুটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর পিয়ংইয়ং দাবি করেছিল, তারা হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকেল এবং ম্যানুভারেবল রি-এন্ট্রি ভেহিকেলের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। তারপর গত ১৭ জানুয়ারি ভোরে পিয়ংইয়ং বিমানবন্দর থেকে সমুদ্রে দুইটি স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় দেশটি। গত ২৭ জানুয়ারি উত্তর কোরিয়া পূর্ব উপকূলীয় সাগরে আরো দুটি স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। সেগুলো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছিল বলে ধারণা দক্ষিণ কোরিয়ার। দক্ষিণ কোরিয়া জানায়, স্থানীয় সময় রোববার সকাল ০৭ টা ৫২ মিনিটে (২২:৫২ জিএমটি) উত্তর কোরিয়া পূর্ব উপকূল থেকে এবারের ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়ে। জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তাদের হিসাব অনুযায়ী রোববার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি আকাশে ২০০০ কিলোমিটার উঠে যায় এবং ৩০ মিনিট ধরে উড়ে আটশো কিলোমিটার (৫০০ মাইল) দূরে গিয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ায়ে ‘ভবিষ্যতে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা কাজ থেকে বিরত থাকতে’ বলেছে। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম আসলে কী চান?
এছাড়া, জাতিসংঘ উত্তর কোরিয়াকে ব্যালেস্টিক এবং পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে নিষেধ করেছে এবং এজন্য দেশটির উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞার থোড়াই কেয়ার করে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে পূর্ব এশিয়ার এ দেশটি। যার পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করেন, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া বিশ্ব এবং আঞ্চলিক শক্তিকে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা সম্পর্কে জানান দিতে চাইছে। তাদের নতুন নতুন প্রযুক্তি এবং মিলিটারি কমান্ড সিস্টেমের জন্যও এসব পরীক্ষা চালানো প্রয়োজন। উত্তর কোরিয়া সাধারণত জানুয়ারি মাসে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় না। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এবার জানুয়ারি মাসে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর পেছনে সময়ের একটি ভূমিকা আছে। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে চীনে শীতকালীন অলিম্পিক শুরু হচ্ছে। মার্চে হবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।