ঢাকা ০৫:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

এক বিলিয়ন ডলার কমতে পারে বাজেট সহায়তা

  • আপডেট সময় : ০২:৫৩:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি অর্থবছরের জন্য ২ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, গত অর্থবছরে (২০২১-২২) বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর কাছ থেকে সরকার ৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ বাজেট সহায়তা পেয়েছিল। এবার ২ দশমিক ২৩ বিলিয়ন পাওয়া যেতে পারে। সেই হিসেবে গেল অর্থবছরের থেকে বাজেট সহায়তা কমতে পারে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার বা ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ।
নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে সরকার বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম নেয়। সংস্কারমূলক এসব কাজ বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করতে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘বাজেট সাপোর্ট’ শীর্ষক নীতি ঋণ বা পলিসি ক্রেডিট দেয়। “কাজেই, রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে সৃষ্টি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কটসহ জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার বাজেট সাপোর্ট গ্রহণ করছে– বিষয়টি এরকম নয়; এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।” বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ১৫ বিলিয়ন ডলারের ৫৩টি প্রকল্প চলমান রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। ঢাকা-৭ আসনের সদস্য হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি ২০২২ সালের ১৫ জুন এবং নয়টি ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে। এছাড়া ১০টি আগামী জুনে, ১৪টি ডিসেম্বরে, ১২টি ২০২৪ সালে, ১৩টি ২০২৫ সালে এবং ছয়টি ২০২৬ সালে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ও আলী আজমের আলাদা প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। বিনিয়োগ পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেটি পুনঃনির্ধারণ করা হতে পারে। আরেক প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, দেশের কৃষির উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃষি সহায়তা’ দেওয়ার জন্য কৃষকদের সুদবিহীন ঋণ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনাও সরকারের নেই। অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কাজ করছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে এর আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়েছে বলেও জানান তিনি। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে কর হিসেবে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা আদায় করার লক্ষ্য ধরা হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১২ শতাংশের বেশি। ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ৩ লাখ ২০০ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করা সম্ভব হয়। এর আগে দেশের ইতিহাসে রাজস্ব সংগ্রহ কখনো তিন লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়নি। নুরন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) পক্ষ থেকে বাংলাদেশের খাদ্য যোগানে কোনো অনুদান পাওয়া যায়নি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

এক বিলিয়ন ডলার কমতে পারে বাজেট সহায়তা

আপডেট সময় : ০২:৫৩:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি অর্থবছরের জন্য ২ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, গত অর্থবছরে (২০২১-২২) বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর কাছ থেকে সরকার ৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ বাজেট সহায়তা পেয়েছিল। এবার ২ দশমিক ২৩ বিলিয়ন পাওয়া যেতে পারে। সেই হিসেবে গেল অর্থবছরের থেকে বাজেট সহায়তা কমতে পারে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার বা ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ।
নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে সরকার বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম নেয়। সংস্কারমূলক এসব কাজ বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করতে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘বাজেট সাপোর্ট’ শীর্ষক নীতি ঋণ বা পলিসি ক্রেডিট দেয়। “কাজেই, রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে সৃষ্টি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কটসহ জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার বাজেট সাপোর্ট গ্রহণ করছে– বিষয়টি এরকম নয়; এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।” বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ১৫ বিলিয়ন ডলারের ৫৩টি প্রকল্প চলমান রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। ঢাকা-৭ আসনের সদস্য হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি ২০২২ সালের ১৫ জুন এবং নয়টি ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে। এছাড়া ১০টি আগামী জুনে, ১৪টি ডিসেম্বরে, ১২টি ২০২৪ সালে, ১৩টি ২০২৫ সালে এবং ছয়টি ২০২৬ সালে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ও আলী আজমের আলাদা প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। বিনিয়োগ পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেটি পুনঃনির্ধারণ করা হতে পারে। আরেক প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, দেশের কৃষির উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃষি সহায়তা’ দেওয়ার জন্য কৃষকদের সুদবিহীন ঋণ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনাও সরকারের নেই। অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কাজ করছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে এর আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়েছে বলেও জানান তিনি। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে কর হিসেবে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা আদায় করার লক্ষ্য ধরা হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১২ শতাংশের বেশি। ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ৩ লাখ ২০০ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করা সম্ভব হয়। এর আগে দেশের ইতিহাসে রাজস্ব সংগ্রহ কখনো তিন লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়নি। নুরন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) পক্ষ থেকে বাংলাদেশের খাদ্য যোগানে কোনো অনুদান পাওয়া যায়নি।