ঢাকা ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

এক বছরের শিশুর মস্তিষ্কে ‘যমজের ভ্রূণ’

  • আপডেট সময় : ০১:৪৪:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : চীনের সাংহাইয়ে এক বছর বয়সী এক শিশুর মস্তিষ্কে তাঁরই যমজের ভ্রূণ পাওয়া গেছে। নিউরোলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য জানা গেছে। এ ধরনের অবস্থা ‘ফেটাস ইন ফেটু’ নামে পরিচিত। এটি বিরল ঘটনা। এ ধরনের পরিস্থিতিতে মায়ের গর্ভে যমজেরা সংযুক্ত হয়ে যায় এবং একজন হিসেবে বেড়ে ওঠে।

নিউরোলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, শিশুটির মধ্যে মানসিক বিকাশজনিত সমস্যা দেখা দেওয়ায় এবং তার বড় মাথার কারণে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসকেরা তখন ওই শিশুর মস্তিষ্কে জীবন্ত ভ্রূণ শনাক্ত করেন। পরে জিনোম পরীক্ষা করে দেখা যায়, ভ্রূণটি ওই শিশুর যমজ।
আইএফএল সায়েন্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে এ ধরনের ঘটনা ঘটে । স্ত্রী ডিম্বাণু ও পুরুষ শুক্রাণু নিষিক্ত হওয়ার পর যে কোষগুলো গড়ে ওঠে, সেগুলো যদি যথাযথভাবে বিভক্ত না হতে পারে, তখনই এমন অবস্থা তৈরি হয়। তখন একটি ভ্রূণ আরেকটি ভ্রূণের আড়ালে চলে যায়। যমজ ভ্রূণের কোষ দিয়ে পরিবেষ্টিত থাকায় আড়ালে চলে যাওয়া ভ্রূণটি বাড়তে পারে না। তবে রক্ত সরবরাহ থাকায় এ ভ্রূণ ‘জীবন্ত’ থাকে। এ অবস্থাকে ‘পরজীবী যমজ’ নামেও ডাকা হয়ে থাকে। এ ধরনের ঘটনা এবারই প্রথম ঘটেনি। মিসরে ১৯৯৭ সালে এক কিশোরের পেটে একটি ভ্রূণ শনাক্ত হয়। তখন জানা যায়, ১৬ বছর ধরে ভ্রূণটি ওই কিশোরের পেটে ছিল। শুধু তা–ই নয়, গত বছরের নভেম্বরে ঝাড়খ-ের রাঁচিতে ২১ দিন বয়সী এক নবজাতকের পাকস্থলী থেকে আটটি ভ্রূণ সরানো হয়েছিল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এক বছরের শিশুর মস্তিষ্কে ‘যমজের ভ্রূণ’

আপডেট সময় : ০১:৪৪:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩

প্রত্যাশা ডেস্ক : চীনের সাংহাইয়ে এক বছর বয়সী এক শিশুর মস্তিষ্কে তাঁরই যমজের ভ্রূণ পাওয়া গেছে। নিউরোলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য জানা গেছে। এ ধরনের অবস্থা ‘ফেটাস ইন ফেটু’ নামে পরিচিত। এটি বিরল ঘটনা। এ ধরনের পরিস্থিতিতে মায়ের গর্ভে যমজেরা সংযুক্ত হয়ে যায় এবং একজন হিসেবে বেড়ে ওঠে।

নিউরোলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, শিশুটির মধ্যে মানসিক বিকাশজনিত সমস্যা দেখা দেওয়ায় এবং তার বড় মাথার কারণে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসকেরা তখন ওই শিশুর মস্তিষ্কে জীবন্ত ভ্রূণ শনাক্ত করেন। পরে জিনোম পরীক্ষা করে দেখা যায়, ভ্রূণটি ওই শিশুর যমজ।
আইএফএল সায়েন্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে এ ধরনের ঘটনা ঘটে । স্ত্রী ডিম্বাণু ও পুরুষ শুক্রাণু নিষিক্ত হওয়ার পর যে কোষগুলো গড়ে ওঠে, সেগুলো যদি যথাযথভাবে বিভক্ত না হতে পারে, তখনই এমন অবস্থা তৈরি হয়। তখন একটি ভ্রূণ আরেকটি ভ্রূণের আড়ালে চলে যায়। যমজ ভ্রূণের কোষ দিয়ে পরিবেষ্টিত থাকায় আড়ালে চলে যাওয়া ভ্রূণটি বাড়তে পারে না। তবে রক্ত সরবরাহ থাকায় এ ভ্রূণ ‘জীবন্ত’ থাকে। এ অবস্থাকে ‘পরজীবী যমজ’ নামেও ডাকা হয়ে থাকে। এ ধরনের ঘটনা এবারই প্রথম ঘটেনি। মিসরে ১৯৯৭ সালে এক কিশোরের পেটে একটি ভ্রূণ শনাক্ত হয়। তখন জানা যায়, ১৬ বছর ধরে ভ্রূণটি ওই কিশোরের পেটে ছিল। শুধু তা–ই নয়, গত বছরের নভেম্বরে ঝাড়খ-ের রাঁচিতে ২১ দিন বয়সী এক নবজাতকের পাকস্থলী থেকে আটটি ভ্রূণ সরানো হয়েছিল।