ঢাকা ০১:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

এক পিস ইয়াবার টাকার জন্য মানুষ খুন করে তারা!

  • আপডেট সময় : ০১:০৪:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মে ২০২১
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইয়াবা সেবনের জন্য নিজেদের পরিবারের সদস্যদের ওপর নির্যাতন করে তারা। আরও বেশি ভয়ংকর হয় বাইরের মানুষের কাছে। কেবল এক পিস ইয়াবা ট্যাবলেটের ৩০০ টাকার জন্য তারা মানুষ খুন করে। গাড়ি চালকদের নেতৃত্বে ঢাকায় এমনিই একটি ছিনতাই চক্র গড়ে উঠেছে। মাদকের টাকার জন্য তারা ছিনতাই করে বেড়ায়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান সংবাদমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ঢাকায় বেশ কয়েক মাস ধরে কিছু দিন পরপর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। কখনও কখনও বিভিন্ন সড়ক, ফ্লাইওভার এবং নির্জন জায়গায় মানুষের লাশ পাওয়া যাচ্ছে। কিছু দিন আগে একজন প্রবাসীর লাশ পাওয়া যায় খিলগাঁও ফ্লাইওভারে। এগুলো মাদকাসক্ত সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস চালকেরা করে থাকে। তারা মাদকের টাকার জন্য এই হত্যাকা- ঘটায়।’
মশিউর রহমান বলেন, ‘যাত্রীদের সিএনজি অটোরিকশা বা প্রাইভেটকারে তুলে সব কিছু নিয়ে নেয়। কেউ বাধা দিলে তাদের হাত, পা, মুখ গামছা দিয়ে বা স্কচটেপ দিয়ে বেঁধে ফেলে। এরপর তারা যাত্রীকে কোথাও ফেলে দেয়।’
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার আরও বলেন, ‘লকডাউনের কারণে গত রমজান মাসে ও ঈদুল ফিতরের সময় দূরপাল্লার বাস ও সিটিবাস না চলায় লাখ লাখ মানুষ বিকল্প বাহনে ঢাকা ছেড়েছেন এবং ঢাকার অভ্যন্তরে যাতায়াত করেছেন। গভীর রাতেও এই যাতায়াত অব্যাহত ছিল। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অনেক সময় সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস এবং মালবাহী ছোট পিকআপ যাত্রীদের আনা-নেওয়া করেছে। কয়েকটি ডাকাত চক্র গণপরিবহনের এই স্বল্পতাকে কাজে লাগিয়ে রাইড শেয়ারের নামে মানুষের সর্বস্ব ছিনতাই করে নেয়।’
পরে ছিনতাইকারীদের ধরতে ডিবি তৎপর হয়। গত সোমবার (১৭ মে) রাতে খিলক্ষেতে চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। এ সময় একটি চক্রের সঙ্গে গোলাগুলি হয়। দুজন ছিনতাইকারী গ্রেফতার হয়। এনামুল ও রাসেল নামে দুজন মারা যায়। জীবিত গ্রেফতার দুজন হলো সিএনজি অটোরিকশার ড্রাইভার নয়ন ও ইয়ামিন। গ্রেফতার দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ডিবি। তারা জানায়, মূলত মাদকের টাকার জন্যই ছিনতাই করে। হত্যা তাদের উদ্দেশ্য না। তবে ছিনতাইয়ে বাধা দিলে তখন তাদের মুখ বা গলায় গামছা পেঁচিয়ে ধরা হয়। উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, ‘ইয়াবায় আসক্ত থাকা কিছু লোক এটি করে থাকে। তারা এক পিস ইয়াবার দাম পেলেই খুশি। মাত্র ৩০০ টাকার জন্য তারা এসব করে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এক পিস ইয়াবার টাকার জন্য মানুষ খুন করে তারা!

আপডেট সময় : ০১:০৪:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মে ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইয়াবা সেবনের জন্য নিজেদের পরিবারের সদস্যদের ওপর নির্যাতন করে তারা। আরও বেশি ভয়ংকর হয় বাইরের মানুষের কাছে। কেবল এক পিস ইয়াবা ট্যাবলেটের ৩০০ টাকার জন্য তারা মানুষ খুন করে। গাড়ি চালকদের নেতৃত্বে ঢাকায় এমনিই একটি ছিনতাই চক্র গড়ে উঠেছে। মাদকের টাকার জন্য তারা ছিনতাই করে বেড়ায়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান সংবাদমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ঢাকায় বেশ কয়েক মাস ধরে কিছু দিন পরপর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। কখনও কখনও বিভিন্ন সড়ক, ফ্লাইওভার এবং নির্জন জায়গায় মানুষের লাশ পাওয়া যাচ্ছে। কিছু দিন আগে একজন প্রবাসীর লাশ পাওয়া যায় খিলগাঁও ফ্লাইওভারে। এগুলো মাদকাসক্ত সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস চালকেরা করে থাকে। তারা মাদকের টাকার জন্য এই হত্যাকা- ঘটায়।’
মশিউর রহমান বলেন, ‘যাত্রীদের সিএনজি অটোরিকশা বা প্রাইভেটকারে তুলে সব কিছু নিয়ে নেয়। কেউ বাধা দিলে তাদের হাত, পা, মুখ গামছা দিয়ে বা স্কচটেপ দিয়ে বেঁধে ফেলে। এরপর তারা যাত্রীকে কোথাও ফেলে দেয়।’
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার আরও বলেন, ‘লকডাউনের কারণে গত রমজান মাসে ও ঈদুল ফিতরের সময় দূরপাল্লার বাস ও সিটিবাস না চলায় লাখ লাখ মানুষ বিকল্প বাহনে ঢাকা ছেড়েছেন এবং ঢাকার অভ্যন্তরে যাতায়াত করেছেন। গভীর রাতেও এই যাতায়াত অব্যাহত ছিল। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অনেক সময় সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস এবং মালবাহী ছোট পিকআপ যাত্রীদের আনা-নেওয়া করেছে। কয়েকটি ডাকাত চক্র গণপরিবহনের এই স্বল্পতাকে কাজে লাগিয়ে রাইড শেয়ারের নামে মানুষের সর্বস্ব ছিনতাই করে নেয়।’
পরে ছিনতাইকারীদের ধরতে ডিবি তৎপর হয়। গত সোমবার (১৭ মে) রাতে খিলক্ষেতে চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। এ সময় একটি চক্রের সঙ্গে গোলাগুলি হয়। দুজন ছিনতাইকারী গ্রেফতার হয়। এনামুল ও রাসেল নামে দুজন মারা যায়। জীবিত গ্রেফতার দুজন হলো সিএনজি অটোরিকশার ড্রাইভার নয়ন ও ইয়ামিন। গ্রেফতার দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ডিবি। তারা জানায়, মূলত মাদকের টাকার জন্যই ছিনতাই করে। হত্যা তাদের উদ্দেশ্য না। তবে ছিনতাইয়ে বাধা দিলে তখন তাদের মুখ বা গলায় গামছা পেঁচিয়ে ধরা হয়। উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, ‘ইয়াবায় আসক্ত থাকা কিছু লোক এটি করে থাকে। তারা এক পিস ইয়াবার দাম পেলেই খুশি। মাত্র ৩০০ টাকার জন্য তারা এসব করে।’