ঢাকা ০৩:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

এক পণ্যে ৩৫২১ শতাংশ শুল্ক আরোপ যুক্তরাষ্ট্রের

  • আপডেট সময় : ০৭:৫৫:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

খবর ডেস্ক : দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার চার দেশ কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ভিয়েতনামের বিভিন্ন কোম্পানির সৌর প্যানেলের ওপর অত্যাধিক শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরমধ্যে কম্বোডিয়ার কিছু কোম্পানির পণ্যে ৩ হাজার ৫২১ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হবে।
গত বছর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনকে মার্কিন সৌর প্যানেল উৎপাদনকারীরা তাদের নিজ দেশের পণ্য বাঁচানোর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। তারা অভিযোগ করেন, চীনের কোম্পানিগুলো এসব দেশে কারখানা বানিয়ে সেগুলো যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাচ্ছে। আর তাদের প্যানেলের দাম কম হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমন অবস্থায় এক বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দিয়েছে। আগামী জুনে দেশটির আরেক সরকারি এজেন্সি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এগুলো পাল্টাপাল্টি এবং ডাম্পিং-বিরোধী শুল্ক হিসেবে পরিচিত।

যা কোম্পানি ও দেশ ভেদে আলাদা হয়ে থাকে। এরমধ্যে কম্বোডিয়ার কিছু কোম্পানির সৌর প্যানেলের ওপর ৩ হাজার ৫২১ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। দেশটির মার্কিন সংস্থার তদন্তে সহায়তা না করায় এমন অভাবনীয় শুল্ক বসানো হয়েছে। অপরদিকে মালয়েশিয়ায় উৎপাদিত চীনা কোম্পানি জিনকো সোলারের পণ্যে মাত্র ৪১ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। থাইল্যান্ডে পণ্য উৎপাদন করা ত্রিনা সোলারের পণ্যে আরোপ করা হয়েছে ৩৭৫ শতাংশ শুল্ক। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবার ক্ষমতায় এসে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেন। ওই সময় দেশটির সৌর প্যানেল নির্মাতারা শুল্ক থেকে বাঁচতে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে নিজেদের কারখানা স্থানান্তরিত করে। ইউএস সেন্সাস ব্যুরো ফিগারের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ২০২৩ সালে এ চারটি দেশের কাছ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলারের সৌর প্যানেল আমদানি করেছিল। অত্যাধিক এসব শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো লাভবান হবে এবং তাদের উৎপাদন বাড়বে। তবে যারা কমদামে সৌর প্যানেল ব্যবহার করতেন তারা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। এদিকে গত সপ্তাহে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া এবং কম্বোডিয়া সফর করেন। সফরের সময় এ দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বাণিজ্যিক গু-ামি’ রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এরপরই তাদের সৌর প্যানেলের এত বেশি শুল্ক আরোপ পরিকল্পনার বিষয়টি সামনে আসল।
সূত্র: বিবিসি

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

এক পণ্যে ৩৫২১ শতাংশ শুল্ক আরোপ যুক্তরাষ্ট্রের

আপডেট সময় : ০৭:৫৫:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

খবর ডেস্ক : দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার চার দেশ কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ভিয়েতনামের বিভিন্ন কোম্পানির সৌর প্যানেলের ওপর অত্যাধিক শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরমধ্যে কম্বোডিয়ার কিছু কোম্পানির পণ্যে ৩ হাজার ৫২১ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হবে।
গত বছর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনকে মার্কিন সৌর প্যানেল উৎপাদনকারীরা তাদের নিজ দেশের পণ্য বাঁচানোর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। তারা অভিযোগ করেন, চীনের কোম্পানিগুলো এসব দেশে কারখানা বানিয়ে সেগুলো যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাচ্ছে। আর তাদের প্যানেলের দাম কম হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমন অবস্থায় এক বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দিয়েছে। আগামী জুনে দেশটির আরেক সরকারি এজেন্সি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এগুলো পাল্টাপাল্টি এবং ডাম্পিং-বিরোধী শুল্ক হিসেবে পরিচিত।

যা কোম্পানি ও দেশ ভেদে আলাদা হয়ে থাকে। এরমধ্যে কম্বোডিয়ার কিছু কোম্পানির সৌর প্যানেলের ওপর ৩ হাজার ৫২১ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। দেশটির মার্কিন সংস্থার তদন্তে সহায়তা না করায় এমন অভাবনীয় শুল্ক বসানো হয়েছে। অপরদিকে মালয়েশিয়ায় উৎপাদিত চীনা কোম্পানি জিনকো সোলারের পণ্যে মাত্র ৪১ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। থাইল্যান্ডে পণ্য উৎপাদন করা ত্রিনা সোলারের পণ্যে আরোপ করা হয়েছে ৩৭৫ শতাংশ শুল্ক। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবার ক্ষমতায় এসে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেন। ওই সময় দেশটির সৌর প্যানেল নির্মাতারা শুল্ক থেকে বাঁচতে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে নিজেদের কারখানা স্থানান্তরিত করে। ইউএস সেন্সাস ব্যুরো ফিগারের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ২০২৩ সালে এ চারটি দেশের কাছ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলারের সৌর প্যানেল আমদানি করেছিল। অত্যাধিক এসব শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো লাভবান হবে এবং তাদের উৎপাদন বাড়বে। তবে যারা কমদামে সৌর প্যানেল ব্যবহার করতেন তারা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। এদিকে গত সপ্তাহে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া এবং কম্বোডিয়া সফর করেন। সফরের সময় এ দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বাণিজ্যিক গু-ামি’ রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এরপরই তাদের সৌর প্যানেলের এত বেশি শুল্ক আরোপ পরিকল্পনার বিষয়টি সামনে আসল।
সূত্র: বিবিসি