ঢাকা ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এক দিনে রেকর্ড ১৯,৬০০ কোটি ডলার বাড়ল মেটার মূল্য

  • আপডেট সময় : ১০:৪৩:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : একদিনেই শেয়ার মূল্যে রেকর্ড ১৯ হাজার ছয়শ কোটি ডলার যোগ করেছে ফেইসবুকের মালিক কোম্পানি মেটা, যা ওয়াল স্ট্রিটের ইতিহাসে একদিনে কোনো কোম্পানির মূল্যে সবচেয়ে বড় উত্থানের ঘটনা।
গত শুক্রবারের ঘটনার আগে নিজেদের প্রথম লভ্যাংশের হিসাব ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি শেয়ারবাজারে ইতিবাচক ফলাফল নিয়েও পোস্ট করেছে মেটা।
এদিকে, এক সেশনেই মেটার শেয়ারমূল্য বেড়েছে ২০ দশমিক তিন শতাংশ, যা এক বছরে শতাংশের হিসাবে দিনে সবচেয়ে বড় উত্থানের ও ২০১২ সালে ওয়াল স্ট্রিটে আত্মপ্রকাশের পর থেকে কোম্পানির শেয়ারমূল্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ উত্থানের ঘটনা। বর্তমানে মেটার বাজারমূল্য বেড়ে গিয়ে পৌঁছেছে এক লাখ ২২ হাজার কোটি ডলারে। ৪ ফেব্রুয়ারি নিজেদের বিংশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে ফেইসবুক। এর আগে বৃহস্পতিবার শেয়ার বাজার থেকে পাঁচ হাজার কোটি ডলারের শেয়ার ফের কিনে নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহস করেছে মেটা। কোম্পানিটি আরও যোগ করে, শেয়ার প্রতি মেটা ডিভিডেন্ট দেবে ৫০ সেন্ট করে।
এদিকে, ডিভিডেন্ট সাধারণত বিভিন্ন পুরোনো ও ধীর প্রবৃদ্ধির কোম্পানি সংশ্লিষ্ট বিষয় হলেও অ্যাপল, মাইক্রোসফট ও এনভিডিয়ার পর ওয়াল স্ট্রিটের চতুর্থ প্রযুক্তি হেভিওয়েট কোম্পানি হিসেবে এমনটি করল মেটা।
“ডিভিডেন্ট দেওয়ার মানে দাঁড়ায়, কোনো কোম্পানি শেয়ার বাজারে খ্যাতি ফিরে পেতে চাওয়ার পাশাপাশি নিজেদের গুরুত্বও বাড়াতে চায়। তবে, এক্ষেত্রে যে পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করা হয়, তাকে সৌজন্যমূলকই বলা চলে,” বলেন বিনিয়োগ কোম্পানি ‘এজে বেল’-এর বিশ্লেষক ড্যান কোটসওয়ার্থ।
শুক্রবার মেটার বাজারমূল্যে এমন উত্থানের আগে রেকর্ডটি ছিল অ্যামাজনের দখলে, যারা ২০২২ সালে ৪ ফেব্রুয়ারি নিজেদের বাজারমূল্য ১৯ হাজার কোটি ডলার বাড়তে দেখেছিল। আর এর একদিন আগেই ২০ হাজার কোটি ডলারের বেশি বাজারমূল্য হারায় মেটা, যা যুক্তরাষ্ট্রের স্টক মার্কেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধসের ঘটনা। মেটার লভ্যাংশ ছাড়ার পরিকল্পনার মানে দাঁড়ায় সিইও মার্ক জাকারবার্গকে মোটা অংক প্রদান, যিনি মেটার ‘ক্লাস এ’ ও ‘ক্লাস বি’ শ্রেণিতে প্রায় ৩৫ কোটি শেয়ারের মালিক। ফলে, প্রতি প্রান্তিকেই প্রায় সাড়ে ১৭ কোটি ডলারের লভ্যাংশ পেতে পারেন ফেইসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। গত বছর বাজার সূচক ‘এস অ্যান্ড পি ৫০০’-তে কোনো কোম্পানির শেয়ারমূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ২৪ শতাংশ অবদান রেখেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সম্ভাবনা, যেখানে রেকর্ড ফলাফল দেখিয়েছে মেটা, এনভিডিয়া, মাইক্রোসফট ও ব্রডকমের মতো কোম্পানিগুলো। ২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত নিজস্ব শেয়ারমূল্য ৩৫ শতাংশ বাড়তে দেখেছে মেটা। ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন জেনারেটিভ এআইভিত্তিক পণ্য যোগ করতে নিজেদের কম্পিউটিং সক্ষমতা বাড়ানোর পেছনে গত এক দশকে শত শত কোটি ডলার খরচ করে আসছে মেটা। পাশাপাশি, রে-ব্যানের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি স্মার্ট গ্লাসের মতো হার্ডওয়্যার ডিভাইসেও এআই প্রযুক্তি যোগ করেছে কোম্পানিটি।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এক দিনে রেকর্ড ১৯,৬০০ কোটি ডলার বাড়ল মেটার মূল্য

আপডেট সময় : ১০:৪৩:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

প্রযুক্তি ডেস্ক : একদিনেই শেয়ার মূল্যে রেকর্ড ১৯ হাজার ছয়শ কোটি ডলার যোগ করেছে ফেইসবুকের মালিক কোম্পানি মেটা, যা ওয়াল স্ট্রিটের ইতিহাসে একদিনে কোনো কোম্পানির মূল্যে সবচেয়ে বড় উত্থানের ঘটনা।
গত শুক্রবারের ঘটনার আগে নিজেদের প্রথম লভ্যাংশের হিসাব ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি শেয়ারবাজারে ইতিবাচক ফলাফল নিয়েও পোস্ট করেছে মেটা।
এদিকে, এক সেশনেই মেটার শেয়ারমূল্য বেড়েছে ২০ দশমিক তিন শতাংশ, যা এক বছরে শতাংশের হিসাবে দিনে সবচেয়ে বড় উত্থানের ও ২০১২ সালে ওয়াল স্ট্রিটে আত্মপ্রকাশের পর থেকে কোম্পানির শেয়ারমূল্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ উত্থানের ঘটনা। বর্তমানে মেটার বাজারমূল্য বেড়ে গিয়ে পৌঁছেছে এক লাখ ২২ হাজার কোটি ডলারে। ৪ ফেব্রুয়ারি নিজেদের বিংশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে ফেইসবুক। এর আগে বৃহস্পতিবার শেয়ার বাজার থেকে পাঁচ হাজার কোটি ডলারের শেয়ার ফের কিনে নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহস করেছে মেটা। কোম্পানিটি আরও যোগ করে, শেয়ার প্রতি মেটা ডিভিডেন্ট দেবে ৫০ সেন্ট করে।
এদিকে, ডিভিডেন্ট সাধারণত বিভিন্ন পুরোনো ও ধীর প্রবৃদ্ধির কোম্পানি সংশ্লিষ্ট বিষয় হলেও অ্যাপল, মাইক্রোসফট ও এনভিডিয়ার পর ওয়াল স্ট্রিটের চতুর্থ প্রযুক্তি হেভিওয়েট কোম্পানি হিসেবে এমনটি করল মেটা।
“ডিভিডেন্ট দেওয়ার মানে দাঁড়ায়, কোনো কোম্পানি শেয়ার বাজারে খ্যাতি ফিরে পেতে চাওয়ার পাশাপাশি নিজেদের গুরুত্বও বাড়াতে চায়। তবে, এক্ষেত্রে যে পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করা হয়, তাকে সৌজন্যমূলকই বলা চলে,” বলেন বিনিয়োগ কোম্পানি ‘এজে বেল’-এর বিশ্লেষক ড্যান কোটসওয়ার্থ।
শুক্রবার মেটার বাজারমূল্যে এমন উত্থানের আগে রেকর্ডটি ছিল অ্যামাজনের দখলে, যারা ২০২২ সালে ৪ ফেব্রুয়ারি নিজেদের বাজারমূল্য ১৯ হাজার কোটি ডলার বাড়তে দেখেছিল। আর এর একদিন আগেই ২০ হাজার কোটি ডলারের বেশি বাজারমূল্য হারায় মেটা, যা যুক্তরাষ্ট্রের স্টক মার্কেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধসের ঘটনা। মেটার লভ্যাংশ ছাড়ার পরিকল্পনার মানে দাঁড়ায় সিইও মার্ক জাকারবার্গকে মোটা অংক প্রদান, যিনি মেটার ‘ক্লাস এ’ ও ‘ক্লাস বি’ শ্রেণিতে প্রায় ৩৫ কোটি শেয়ারের মালিক। ফলে, প্রতি প্রান্তিকেই প্রায় সাড়ে ১৭ কোটি ডলারের লভ্যাংশ পেতে পারেন ফেইসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। গত বছর বাজার সূচক ‘এস অ্যান্ড পি ৫০০’-তে কোনো কোম্পানির শেয়ারমূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ২৪ শতাংশ অবদান রেখেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সম্ভাবনা, যেখানে রেকর্ড ফলাফল দেখিয়েছে মেটা, এনভিডিয়া, মাইক্রোসফট ও ব্রডকমের মতো কোম্পানিগুলো। ২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত নিজস্ব শেয়ারমূল্য ৩৫ শতাংশ বাড়তে দেখেছে মেটা। ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন জেনারেটিভ এআইভিত্তিক পণ্য যোগ করতে নিজেদের কম্পিউটিং সক্ষমতা বাড়ানোর পেছনে গত এক দশকে শত শত কোটি ডলার খরচ করে আসছে মেটা। পাশাপাশি, রে-ব্যানের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি স্মার্ট গ্লাসের মতো হার্ডওয়্যার ডিভাইসেও এআই প্রযুক্তি যোগ করেছে কোম্পানিটি।