ঢাকা ০৫:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এক ঘরে শিশুর লাশ, পাশের ঘরে ঝুলছিল অন্তঃসত্ত্বা মা

  • আপডেট সময় : ১১:১৩:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

ফরিদপুর সংবাদদাতা: ফরিদপুরে এক ঘরে পড়ে ছিল শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ এবং পাশের আরেকটি ঘরে অন্তঃসত্ত্বা মাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন পরিবারের সদস্যরা। পরে মাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পূর্বকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশুর নাম হুজাইফা (৫) এবং মৃত মায়ের নাম সুমাইয়া আক্তার (২২)। জানা গেছে, সুমাইয়া অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর তার সিজারিয়ান অপারেশন হওয়ার কথা ছিল।

সুমাইয়া ফরিদপুর সদরের কৈজুরী গ্রামের বাসিন্দা রমজান খানের মেয়ে। রমজান মুন্সী সদরপুরের কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পূর্বকান্দি গ্রামের মোতালেব মুন্সীর ছেলে। ২০২০ সালে সুমাইয়ার সঙ্গে রমজানের বিয়ে হয়। হুজাইফা ছিল তাদের একমাত্র সন্তান।

রমজান দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরে ছিলেন। তবে প্রায় দুই বছর আগে দেশে ফিরে আসেন এবং বর্তমানে আবার বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

রমজানের বাবা মোতালেব মুন্সী বলেন, ঘটনার সময় তিনি বাড়ির কাছে ঘাস কাটছিলেন। হঠাৎ বাড়িতে চিৎকার শুনে ছুটে এসে এ মর্মান্তিক ঘটনা দেখতে পান। তিনি আরো বলেন, রমজান ও সুমাইয়ার সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। কখনো তাদের মধ্যে কলহ হয়েছে বলে শুনিনি।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিবেশীরা জানান, সুমাইয়া ও রমজানের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়াঝাঁটির শব্দ শোনা যেত।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) আসিফ ইকবাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, সুমাইয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি। আর শিশুটিকে ঘরের ভেতরে গলাকাটা অবস্থায় কম্বলে জড়ানো পাওয়া গেছে।

সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীর রায় বলেন, রমজান বর্তমানে ফরিদপুরে আছেন। তবে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, ঘটনার তদন্তছাড়া আসল সত্য জানা যাচ্ছে না।

এসি/আপ্র/২০/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জুবিনের গার্গের মৃত্যু নিয়ে যা জানা গেল

এক ঘরে শিশুর লাশ, পাশের ঘরে ঝুলছিল অন্তঃসত্ত্বা মা

আপডেট সময় : ১১:১৩:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফরিদপুর সংবাদদাতা: ফরিদপুরে এক ঘরে পড়ে ছিল শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ এবং পাশের আরেকটি ঘরে অন্তঃসত্ত্বা মাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন পরিবারের সদস্যরা। পরে মাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পূর্বকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশুর নাম হুজাইফা (৫) এবং মৃত মায়ের নাম সুমাইয়া আক্তার (২২)। জানা গেছে, সুমাইয়া অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর তার সিজারিয়ান অপারেশন হওয়ার কথা ছিল।

সুমাইয়া ফরিদপুর সদরের কৈজুরী গ্রামের বাসিন্দা রমজান খানের মেয়ে। রমজান মুন্সী সদরপুরের কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পূর্বকান্দি গ্রামের মোতালেব মুন্সীর ছেলে। ২০২০ সালে সুমাইয়ার সঙ্গে রমজানের বিয়ে হয়। হুজাইফা ছিল তাদের একমাত্র সন্তান।

রমজান দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরে ছিলেন। তবে প্রায় দুই বছর আগে দেশে ফিরে আসেন এবং বর্তমানে আবার বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

রমজানের বাবা মোতালেব মুন্সী বলেন, ঘটনার সময় তিনি বাড়ির কাছে ঘাস কাটছিলেন। হঠাৎ বাড়িতে চিৎকার শুনে ছুটে এসে এ মর্মান্তিক ঘটনা দেখতে পান। তিনি আরো বলেন, রমজান ও সুমাইয়ার সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। কখনো তাদের মধ্যে কলহ হয়েছে বলে শুনিনি।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিবেশীরা জানান, সুমাইয়া ও রমজানের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়াঝাঁটির শব্দ শোনা যেত।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) আসিফ ইকবাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, সুমাইয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি। আর শিশুটিকে ঘরের ভেতরে গলাকাটা অবস্থায় কম্বলে জড়ানো পাওয়া গেছে।

সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীর রায় বলেন, রমজান বর্তমানে ফরিদপুরে আছেন। তবে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, ঘটনার তদন্তছাড়া আসল সত্য জানা যাচ্ছে না।

এসি/আপ্র/২০/০৯/২০২৫