ঢাকা ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

এক গাছে ১০ রকমের ফল

  • আপডেট সময় : ১১:৩০:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১
  • ১৪৭ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : একটি ফলের গাছে এক রকমের ফল ফলবে, এটাই স্বাভাবিক। অনেক সময় গ্রাফটিং বা কলম করার মাধ্যমে এক গাছে একাধিক ফল ফলানো হয়। তবে একটি, দুটি কিংবা তিনটি নয়, যখন একটি গাছে একসঙ্গে ১০ রকমের ফল ফলবে, তখন সেটিকে বিচিত্র ঘটনা বলা যায়। এমনই বিচিত্র ঘটনা ঘটিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার হুসাম সারাফ। এর মধ্য দিয়ে তিনি নাম লিখিয়েছেন রেকর্ডের খাতায়।
সারাফের বাড়ি অস্ট্রেলিয়ার নর্দান ভিক্টোরিয়া রাজ্যের শেপার্টন শহরে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বুক কর্তৃপক্ষের বরাতে কানাডার অটোয়াভিত্তিক সিবিসি রেডিওর প্রতিবেদনে বলা হয়, ১০ রকমের রঙিন ফল নজর কাড়ে সবার। কী নেই সেটাতে। পাঁচটি স্বতন্ত্র প্রজাতির ১০ রকমের ফল ধরে গাছটিতে।
হুসাম সারাফ জানিয়েছেন, তাঁর গাছে রয়েছে সাদা ও হলুদ রঙের নেকটারিনস (পিচ-জাতীয় একধরনের ফল), সাদা ও হলুদ রঙের পিচ, এপ্রিকট, পিচকটস, কাঠবাদাম, চেরি এবং লাল ও সোনালি রঙের পাম ফল। গাছটিতে মাঝেমধ্যে একই সময়ে একটি ফল হয়। আবার অনেক সময় একই সঙ্গে একাধিক ফল হয়। একাধিক প্রজাতির ফল একসঙ্গে জন্মালে লাল-সাদা-হলুদ-সোনালি রঙে ভরে ওঠে গাছটি।
বিচিত্র এই গাছ হুসাম সারাফকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বুকে নাম উঠেছে হুসাম সারাফের।
কলম করার মাধ্যমে এক গাছে এমন বৈচিত্র্য এনেছেন হুসাম সারাফ। তিনি শেপার্টন শহরে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বহু সংস্কৃতিবিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। বিভিন্ন দেশ থেকে যাওয়া ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির শিক্ষার্থীদের এক সুতায় গাঁথা তাঁর প্রধান কাজ। পেশাগত দায়িত্বের সঙ্গে তাঁর এই গাছের ধারণা অনেকটাই মিলে যায়। কাজের জায়গায় তিনি যেমন বহু সংস্কৃতির সম্মিলন ঘটান, তেমনি একটি গাছে বহু ফলে সমাহার ঘটিয়েছেন হুসাম সারাফ।
এ বিষয়ে হুসাম সারাফ বলেন, ‘এক গাছে একাধিক ফলের কলম করাটা আমার কাছে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতিকে এক ছাতার নিচে এনে একক অস্ট্রেলিয়ান সংস্কৃতি গড়ার মতোই।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

এক গাছে ১০ রকমের ফল

আপডেট সময় : ১১:৩০:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : একটি ফলের গাছে এক রকমের ফল ফলবে, এটাই স্বাভাবিক। অনেক সময় গ্রাফটিং বা কলম করার মাধ্যমে এক গাছে একাধিক ফল ফলানো হয়। তবে একটি, দুটি কিংবা তিনটি নয়, যখন একটি গাছে একসঙ্গে ১০ রকমের ফল ফলবে, তখন সেটিকে বিচিত্র ঘটনা বলা যায়। এমনই বিচিত্র ঘটনা ঘটিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার হুসাম সারাফ। এর মধ্য দিয়ে তিনি নাম লিখিয়েছেন রেকর্ডের খাতায়।
সারাফের বাড়ি অস্ট্রেলিয়ার নর্দান ভিক্টোরিয়া রাজ্যের শেপার্টন শহরে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বুক কর্তৃপক্ষের বরাতে কানাডার অটোয়াভিত্তিক সিবিসি রেডিওর প্রতিবেদনে বলা হয়, ১০ রকমের রঙিন ফল নজর কাড়ে সবার। কী নেই সেটাতে। পাঁচটি স্বতন্ত্র প্রজাতির ১০ রকমের ফল ধরে গাছটিতে।
হুসাম সারাফ জানিয়েছেন, তাঁর গাছে রয়েছে সাদা ও হলুদ রঙের নেকটারিনস (পিচ-জাতীয় একধরনের ফল), সাদা ও হলুদ রঙের পিচ, এপ্রিকট, পিচকটস, কাঠবাদাম, চেরি এবং লাল ও সোনালি রঙের পাম ফল। গাছটিতে মাঝেমধ্যে একই সময়ে একটি ফল হয়। আবার অনেক সময় একই সঙ্গে একাধিক ফল হয়। একাধিক প্রজাতির ফল একসঙ্গে জন্মালে লাল-সাদা-হলুদ-সোনালি রঙে ভরে ওঠে গাছটি।
বিচিত্র এই গাছ হুসাম সারাফকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বুকে নাম উঠেছে হুসাম সারাফের।
কলম করার মাধ্যমে এক গাছে এমন বৈচিত্র্য এনেছেন হুসাম সারাফ। তিনি শেপার্টন শহরে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বহু সংস্কৃতিবিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। বিভিন্ন দেশ থেকে যাওয়া ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির শিক্ষার্থীদের এক সুতায় গাঁথা তাঁর প্রধান কাজ। পেশাগত দায়িত্বের সঙ্গে তাঁর এই গাছের ধারণা অনেকটাই মিলে যায়। কাজের জায়গায় তিনি যেমন বহু সংস্কৃতির সম্মিলন ঘটান, তেমনি একটি গাছে বহু ফলে সমাহার ঘটিয়েছেন হুসাম সারাফ।
এ বিষয়ে হুসাম সারাফ বলেন, ‘এক গাছে একাধিক ফলের কলম করাটা আমার কাছে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতিকে এক ছাতার নিচে এনে একক অস্ট্রেলিয়ান সংস্কৃতি গড়ার মতোই।’