ঢাকা ১২:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের প্রশ্ন

এক কোটির বেশি নগরবাসীকে কষ্ট দেওয়ার জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে?

  • আপডেট সময় : ০৮:৩৯:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
  • ২ বার পড়া হয়েছে

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র পদে শপথকে কেন্দ্র করে ৩৯ দিন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবন তালা দিয়ে রেখেছিলেন তার সমর্থকরা। গত সোমবার (২৩ জুন) সকালে অফিস সময় শুরুর আগে তালা খুলে দেন তারা।

এ নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের মধ্যে এক ধরনের কথার লড়াই চলছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার পাল্টাপাল্টি বক্তব্যও দেন দুজন।
বুধবার (২৫ জুন) এ বিষয়ে আবারও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা। ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘অকারণে আমার ছবিতে জুতা মারার জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে? গুজবকে কেন্দ্র করে আমার পিতাকে ‘চালচোর’ বলে স্লোগান দেওয়ার জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে? শুরুতেই সরকারপক্ষ থেকে সমাধান চেষ্টা যারা দম্ভভরে প্রত্যাখ্যান করে ভোগান্তির জন্য দায়ী তারা ক্ষমা চেয়েছে? নগর ভবন বন্ধ করে ১ কোটির বেশি নগরবাসীকে কষ্ট দেওয়ার জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে? নগর ভবন দখলকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ এবং আহত হওয়ার ঘটনায় কেউ ক্ষমা চেয়েছে? ইশরাক হোসেনের বক্তব্য অনুযায়ী উপদেষ্টা পরিষদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের জন্য আমাকে বারবার ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ, আমার পরিবারকে আক্রমণ, জবাই করার স্লোগান দেওয়াসহ অব্যাহত মানহানির জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে?’
আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া আরো লিখেছেন, ‘কিন্তু আমাকে ক্ষমা চাইতে হবে কারণ আমি বলেছি কয়েকজন নেতার প্ররোচনায় এই আন্দোলন হয়েছে। আমি সত্যি বলেছি, এবং সত্যি যে বলেছি এটা তিনিও জানেন। তাঁকে যে ট্র্যাপে ফেলা হয়েছে, ফর এ বেটার নেগোসিয়েশন ব্যবহার করা হয়েছে তা তিনি ভালো করেই জানেন এবং আমার পরিচিত একাধিক ব্যক্তির কাছে স্বীকারও করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘এত নোংরামি করার পরও গত দেড়মাসে একবারের জন্যও ভদ্রতার লাইন ক্রস করিনি। একবারও ব্যক্তি আক্রমণ করা কিংবা ছোট করে কথা বলিনি। আমার লড়াই, রাজপথ, রাজনৈতিক পথচলা কিংবা পরিবার কেউই আমাকে এই শিক্ষা দেয়নি। আমি ধৈর্য ধরেছি, জবাব দেইনি বলে যে এসব অন্যায় জবাবহীন থেকে যাবে এমনটা না। ইতিহাস সবাইকেই যার যার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের প্রশ্ন

এক কোটির বেশি নগরবাসীকে কষ্ট দেওয়ার জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে?

আপডেট সময় : ০৮:৩৯:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র পদে শপথকে কেন্দ্র করে ৩৯ দিন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবন তালা দিয়ে রেখেছিলেন তার সমর্থকরা। গত সোমবার (২৩ জুন) সকালে অফিস সময় শুরুর আগে তালা খুলে দেন তারা।

এ নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের মধ্যে এক ধরনের কথার লড়াই চলছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার পাল্টাপাল্টি বক্তব্যও দেন দুজন।
বুধবার (২৫ জুন) এ বিষয়ে আবারও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা। ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘অকারণে আমার ছবিতে জুতা মারার জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে? গুজবকে কেন্দ্র করে আমার পিতাকে ‘চালচোর’ বলে স্লোগান দেওয়ার জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে? শুরুতেই সরকারপক্ষ থেকে সমাধান চেষ্টা যারা দম্ভভরে প্রত্যাখ্যান করে ভোগান্তির জন্য দায়ী তারা ক্ষমা চেয়েছে? নগর ভবন বন্ধ করে ১ কোটির বেশি নগরবাসীকে কষ্ট দেওয়ার জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে? নগর ভবন দখলকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ এবং আহত হওয়ার ঘটনায় কেউ ক্ষমা চেয়েছে? ইশরাক হোসেনের বক্তব্য অনুযায়ী উপদেষ্টা পরিষদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের জন্য আমাকে বারবার ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ, আমার পরিবারকে আক্রমণ, জবাই করার স্লোগান দেওয়াসহ অব্যাহত মানহানির জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে?’
আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া আরো লিখেছেন, ‘কিন্তু আমাকে ক্ষমা চাইতে হবে কারণ আমি বলেছি কয়েকজন নেতার প্ররোচনায় এই আন্দোলন হয়েছে। আমি সত্যি বলেছি, এবং সত্যি যে বলেছি এটা তিনিও জানেন। তাঁকে যে ট্র্যাপে ফেলা হয়েছে, ফর এ বেটার নেগোসিয়েশন ব্যবহার করা হয়েছে তা তিনি ভালো করেই জানেন এবং আমার পরিচিত একাধিক ব্যক্তির কাছে স্বীকারও করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘এত নোংরামি করার পরও গত দেড়মাসে একবারের জন্যও ভদ্রতার লাইন ক্রস করিনি। একবারও ব্যক্তি আক্রমণ করা কিংবা ছোট করে কথা বলিনি। আমার লড়াই, রাজপথ, রাজনৈতিক পথচলা কিংবা পরিবার কেউই আমাকে এই শিক্ষা দেয়নি। আমি ধৈর্য ধরেছি, জবাব দেইনি বলে যে এসব অন্যায় জবাবহীন থেকে যাবে এমনটা না। ইতিহাস সবাইকেই যার যার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়।’