ঢাকা ০৯:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিআইএফএফএল

  • আপডেট সময় : ০১:২০:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২
  • ১৩২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুরের ভোগরা থেকে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর পর্যন্ত নির্মাণাধীন ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে এক হাজার ৭৫ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেড (বিআইএফএফএল)।
ঋণ সহায়তার আওতায় রবিবার সচিবালয়ে ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডকে প্রথম কিস্তিতে ৪২ কোটি ৫০ টাকার চেক হস্তান্তর করেছে বিআইএফএফএল। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) নির্মাণাধীন দীর্ঘ ৪৮ কিলোমিটার ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে যৌথভাবে ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি গঠন করা হয়েছে। কোম্পানি দুটি হচ্ছে- চীনা নির্মাণ প্রতিষ্ঠান সিচুয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ গ্রুপ করপোরেশন লিমিটেড (এসআরবিজি) এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান শামীম এন্টারপ্রাইজ ও ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, গাজীপুরের ভোগরা থেকে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর পর্যন্ত পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের ভিত্তিতে প্রায় তিন হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি মূলত আট লেনের সড়ক হবে। চীনের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশের দুটি প্রতিষ্ঠান একত্রে এই রাস্তায় নির্মাণকাজ করছে।
সচিব বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ ও পরিষেবা স্থানাস্তর কাজের জন্য ৯৫০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এ অর্থ সরকার দেবে। চার বছরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা। নির্মাণের পর নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ২৩ বছর পর্যন্ত টোল আদায় করতে পারবে।
‘ঋণ সহায়তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশি কোম্পানিকে মোট এক হাজার ৭৫ কোটি টাকা বিআইএফএফএলের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে নিজস্ব তহবিল ৬৫০ কোটি টাকা, আর বাকি ৪৫০ কোটি টাকা হচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি)। চীনের কোম্পানি এখানে এক হাজার ৬১৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। নজরুল ইসলাম বলেন, সামনে ঈদযাত্রা, ওনাদের (নির্মাণকারী কোম্পানি) কাছে আমাদের অনুরোধ, রাস্তাটা যাতে চলাচলযোগ্য থাকে। কিছুটা কাজ তারা শুরু করে দিয়েছেন। কাজের জন্য যাতে ঈদযাত্রায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না হয়। চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আনিছুজ্জামান, ক্রেডিট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান শেখ আনোয়ার সাদাতসহ নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিআইএফএফএল

আপডেট সময় : ০১:২০:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুরের ভোগরা থেকে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর পর্যন্ত নির্মাণাধীন ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে এক হাজার ৭৫ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেড (বিআইএফএফএল)।
ঋণ সহায়তার আওতায় রবিবার সচিবালয়ে ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডকে প্রথম কিস্তিতে ৪২ কোটি ৫০ টাকার চেক হস্তান্তর করেছে বিআইএফএফএল। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) নির্মাণাধীন দীর্ঘ ৪৮ কিলোমিটার ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে যৌথভাবে ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি গঠন করা হয়েছে। কোম্পানি দুটি হচ্ছে- চীনা নির্মাণ প্রতিষ্ঠান সিচুয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ গ্রুপ করপোরেশন লিমিটেড (এসআরবিজি) এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান শামীম এন্টারপ্রাইজ ও ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, গাজীপুরের ভোগরা থেকে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর পর্যন্ত পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের ভিত্তিতে প্রায় তিন হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি মূলত আট লেনের সড়ক হবে। চীনের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশের দুটি প্রতিষ্ঠান একত্রে এই রাস্তায় নির্মাণকাজ করছে।
সচিব বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ ও পরিষেবা স্থানাস্তর কাজের জন্য ৯৫০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এ অর্থ সরকার দেবে। চার বছরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা। নির্মাণের পর নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ২৩ বছর পর্যন্ত টোল আদায় করতে পারবে।
‘ঋণ সহায়তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশি কোম্পানিকে মোট এক হাজার ৭৫ কোটি টাকা বিআইএফএফএলের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে নিজস্ব তহবিল ৬৫০ কোটি টাকা, আর বাকি ৪৫০ কোটি টাকা হচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি)। চীনের কোম্পানি এখানে এক হাজার ৬১৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। নজরুল ইসলাম বলেন, সামনে ঈদযাত্রা, ওনাদের (নির্মাণকারী কোম্পানি) কাছে আমাদের অনুরোধ, রাস্তাটা যাতে চলাচলযোগ্য থাকে। কিছুটা কাজ তারা শুরু করে দিয়েছেন। কাজের জন্য যাতে ঈদযাত্রায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না হয়। চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আনিছুজ্জামান, ক্রেডিট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান শেখ আনোয়ার সাদাতসহ নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।