ঢাকা ০৩:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

একের পর এক ইয়র্কার ও সুপার ওভারে ‘সুপার’ স্টার্ক

  • আপডেট সময় : ০৬:২০:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: “চার ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ১ উইকেট, এমন পারফরম্যান্স করে ম্যান অব দা ম্যাচ হওয়ার কথা কখনও ভাবতে পেরেছিলেন?’ সঞ্চালক মুরালি কার্তিকের এই প্রশ্নে হাসতে হাসতে মিচেল স্টার্ক বললেন, “নাহৃ।” স্কোরকার্ড দেখলে প্রশ্নটা যে কারও মনে জেগে ওঠার কথা। এমন সাদামাটা পারফরম্যান্সেও কেন ম্যাচ-সেরা স্টার্ক? তবে যারা খেলা দেখেছেন, তাদের মনে কোনো সংশয় থাকার কারণ নেই। সেরার উপযুক্ত কেবল তিনিই। ইয়র্কার তার বরাবরই শক্তির জায়গা। শেষের ওভারগুলোয় তিনি ইয়র্কার করার চেষ্টা করবেন, এটাও জানা কথা। কিন্তু টানা কতগুলি? কয়টি নিখুঁত জায়গায় থাকবে? কতটা কার্যকর হবে! স্টার্ক এ দিন দেখালেন, ইয়র্কারের যেন শেষ নেই!

শেষ দুই ওভারে ইয়র্কারের রাজার হাত থেকে বের হলো একের পর এক গোলা। শেষ ওভারের ছয়টিই চেষ্টা করলেন ইয়র্ক করার, এর মধ্যে পাঁচটিই হলো প্রায় নিখুঁত! আইপিএলে বুধবার রাজস্থান রয়্যালসের মুঠো থেকে জয় বের করে ম্যাচ সুপার ওভারে নিয়ে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার পেস গ্রেট। এরপর সুপার ওভারেও দুর্দান্ত প্রদর্শনীতে দিল্লি ক্যাপিটালসকে এনে দিলেন দারুণ এক জয়। ২০ ওভারে ১৮৮ রানের পুঁজি পাওয়া দিল্লি ক্যাপিটালসকে বল হাতে শুরুটাও ভালো এনে দেন স্টার্ক। প্রথম ওভারে স্রেফ এক রান দেন তিনি। তবে তার পরের ওভারেই ইয়াশাসভি জয়সওয়ালের দুই চার এক ছক্কাসহ রান আসে ১৯। এরপর আবার তাকে বল হাতে দেখা যায় অষ্টাদম ওভারে। জয়ের জন্য তখন ১৮ বলে ৩১ রান লাগে রাজস্থানের। উইকেট বাকি ৮টি। এই সময়ের ক্রিকেটে সহজ সমীকরণই বলতে হবে। ২৬ বলে ৫০ করে তখন ক্রিজে নিতিশ রানা। স্টার্ক বোলিংয়ে ফিরে শুরু করলেন ইয়র্কার-অভিযান। প্রথম তিন বলে এলো স্রেফ তিনটি সিঙ্গল। চতুর্থ বলে ১৪৪ কিলোমিটার গতির নিখুঁত ইয়র্কারে এলবিডব্লিউ রানা। নতুন ব্যাটসম্যান শিমরন হেটমায়ারকেও স্বাগত জানানো হলো ইয়র্কারে। বল কোনদিক দিয়ে কীভাবে গেল, ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান নিজেও হয়তো বুঝলেন না। কোনোরকমে ব্যাট পেতে দিলেন, বল ব্যাটের কানায় লেগে বাউন্ডারিতে পৌঁছে গেল পেছন দিয়ে। শেষ বলেও এলো সিঙ্গল। ওভারে স্রেফ আট রান দিয়ে এক উইকেট।

পরের ওভারে মোহিত শার্মার ফুল টসে ধ্রুব জুরেলের ছক্কাসহ এলো মোট ১৪ রান। জয়ের জন্য শেষ ওভারে রাজস্থানের প্রয়োজন ৯ রানের। স্টার্ক ছুটলেন আবার। দুই প্রান্তে হেটমায়ার ও জুরেলের মতো আগ্রাসী দুই ব্যাটসম্যান। তারা জানেন, সব ডেলিভারি ইয়র্কারই হবে। কিন্তু পারলেন না একটি বড় শটও খেলতে। নিখুঁত সব ইয়র্কার করে গেলেন স্টার্ক। ছয় ডেলিভারির পাঁচটিই হলো দারুণ। কেবল চতুর্থ ডেলিভারিতে লেংথ নিখুঁত রাখতে পারলেন না স্টার্ক। সেটিতেও দুই রানের বেশি নিতে পারলেন না হেটমায়ার। শেষ বলে যখন প্রয়োজন দুই রান, স্টার্কের ইয়র্কারে জুরেল নিতে পারলেন কেবল এক রান। দ্বিতীয় রানের চেষ্টায় হতে হলো রান আউট। আইপিএল পেল এবারের মৌসুমের প্রথম সুপার ওভারের দেখা। সুপার ওভারে স্টার্কের বোলিংয়ে আসা ছিল অবধারিত এবং আবার ইয়র্কারের মেলাও ছিল নিশ্চিত। শুরু করলেন ইয়র্কার দিয়েই। দ্বিতীয় ও চতুর্থ বলে অবশ্য লেংথ একটু গড়বড় হলো। তাতে বাউন্ডারি মারলেন হেটমায়ার ও রিয়ান পারাগ। একটি ‘নো’ বলও হলো। তবে পরের দুই ডেলিভারিতে আবার সামলে নিলেন দারুণভাবে। টানা দুটি রান আউটে এক বল আগেই শেষ রাজস্থানের সুপার ওভার। ১২ রানের লক্ষ্যে বেগ পেতে হয়নি দিল্লিকে। সান্দিপ শার্মার বোলিংয়ে দুই রান দিয়ে শুরুর পর বাউন্ডারি মারেন লোকেশ রাহুল। তৃতীয় বলে নেন সিঙ্গল। পরের বল গ্যালারিতে পাঠিয়ে ম্যাচ শেষ করে ট্রিস্টান স্টাবস। ম্যাচের পর স্টার্ক-বন্দনা সবার মুখেই। ছয় ম্যাচের পাঁচটি জিতে শীর্ষে থাকা দিল্লির অধিনায়ক আকসার প্যাটেল বললেন, স্টার্কের দিকেই তিনি তাকিয়ে ছিলেন। “আমার মনে হচ্ছিল, মিচেল স্টার্ক যদি করে দেখাতে পারে, তাহলে আমরা ম্যাচে ফিরতে পারি। ওই সময়ে আমার সামনে একটিই উপায় ছিল, সেটি মিচেল স্টার্ক। শেষ ওভার তো দারুণ করেছেই, সুপার ওভারও খুব ভালো করেছে। ১২ বলে ১২ ইয়র্কারৃ সম্ভবত দু-একটি মিস করেছেৃ এজন্যই সে অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি।” “যত প্রশংসা করা যায়, ততই কম হয় আসলে। বিশেষ করে, চাপের মধ্যে বারবার ফিল্ডিং বদলানোর পর চিন্তা-ভাবনায় যেভাবে স্বচ্ছ থাকে, সেটিই ফুটিয়ে তোলে তার মানসিকতা।” রাজস্থানের অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসনও অকপটে বললেন, স্টার্কের কাছেই হেরে গেছেন তারা।

“ওই রান অবশ্যই তাড়া করার মতো ছিল। আমাদের যে ব্যাটিং লাইন-আপ, পাওয়ার প্লেতে আমরা যেভাবে শুরু করেছি, অবশ্যই রান তাড়া করা উচিত ছিল। তবে সবাই যেমন দেখেছি, শেষ ওভারে অসাধারণ বোলিং করেছে স্টার্কি (স্টার্ক)।”
“একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের মান এরকমই হয়। বিশ্বের সেরাদের একজন সে। আমি বলব, স্টার্কিই ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। তাদেরকে ম্যাচটা জিতিয়েছে সে।” ইয়র্কার এমন এক শিল্প, একটু এদিক-সেদিক হলেই বয়ে আনতে পারে বিপদ। ইয়র্কারের চেষ্টায় খরুচে হয়ে ওঠার নজিরও আছে স্টার্কের। এই ম্যাচে সব দারুণভাবে করতে পারার স্বস্তি ছিল অভিজ্ঞ পেসারের কণ্ঠে। “নিজেকে মেলে ধরতে ভরসা রেখেছি। স্বচ্ছ ভাবনা নিয়ে বল হাতে ছুটেছি এবং চেষ্টা করেছি, যতটা সম্ভব বাস্তবায়ন করতে। কখনও কখনও চেষ্টা করেও কাজ হয় না। আজকে হয়েছে। কিছুটা ভাগ্যের ছোঁয়াও লাগে। দারুণ একটি ম্যাচ হয়েছে, জিতে ভালো লাগছে।” ইয়র্কার একদম অনুমিত হয়ে পড়ায় হঠাৎ বাউন্সারে ব্যাটসম্যানকে চমকে দেওয়া যায় কি না, ধারাভাষ্যে তখন এমন আলোচনা চলছিল। তবে স্টার্ক জানালেন, তার পরিকল্পনা ছিল শুধু ইয়র্ক করাই। “এটুকু বোঝার মতো যথেষ্ট ক্রিকেট আমি খেলেছি যে, সবাই জানে আমার পরিকল্পনা কী। তবে বিশ্বাসটা আমার আছে যে, যদি পরিকল্পনার প্রয়োগ ঠিকঠাক করতে পারি, তাহলে কাজ হয়ে যাবে। ওই ওভারটি আরও ১০ বার খেলতে পারি, ১০টি ভিন্ন কিছু করতে পারি, ১০টি আলাদা ফল হতে পারে। আজকে ভালোভাবে পেরেছি এবং ভাগ্যের সহায়তাও ছিল।”

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

একের পর এক ইয়র্কার ও সুপার ওভারে ‘সুপার’ স্টার্ক

আপডেট সময় : ০৬:২০:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: “চার ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ১ উইকেট, এমন পারফরম্যান্স করে ম্যান অব দা ম্যাচ হওয়ার কথা কখনও ভাবতে পেরেছিলেন?’ সঞ্চালক মুরালি কার্তিকের এই প্রশ্নে হাসতে হাসতে মিচেল স্টার্ক বললেন, “নাহৃ।” স্কোরকার্ড দেখলে প্রশ্নটা যে কারও মনে জেগে ওঠার কথা। এমন সাদামাটা পারফরম্যান্সেও কেন ম্যাচ-সেরা স্টার্ক? তবে যারা খেলা দেখেছেন, তাদের মনে কোনো সংশয় থাকার কারণ নেই। সেরার উপযুক্ত কেবল তিনিই। ইয়র্কার তার বরাবরই শক্তির জায়গা। শেষের ওভারগুলোয় তিনি ইয়র্কার করার চেষ্টা করবেন, এটাও জানা কথা। কিন্তু টানা কতগুলি? কয়টি নিখুঁত জায়গায় থাকবে? কতটা কার্যকর হবে! স্টার্ক এ দিন দেখালেন, ইয়র্কারের যেন শেষ নেই!

শেষ দুই ওভারে ইয়র্কারের রাজার হাত থেকে বের হলো একের পর এক গোলা। শেষ ওভারের ছয়টিই চেষ্টা করলেন ইয়র্ক করার, এর মধ্যে পাঁচটিই হলো প্রায় নিখুঁত! আইপিএলে বুধবার রাজস্থান রয়্যালসের মুঠো থেকে জয় বের করে ম্যাচ সুপার ওভারে নিয়ে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার পেস গ্রেট। এরপর সুপার ওভারেও দুর্দান্ত প্রদর্শনীতে দিল্লি ক্যাপিটালসকে এনে দিলেন দারুণ এক জয়। ২০ ওভারে ১৮৮ রানের পুঁজি পাওয়া দিল্লি ক্যাপিটালসকে বল হাতে শুরুটাও ভালো এনে দেন স্টার্ক। প্রথম ওভারে স্রেফ এক রান দেন তিনি। তবে তার পরের ওভারেই ইয়াশাসভি জয়সওয়ালের দুই চার এক ছক্কাসহ রান আসে ১৯। এরপর আবার তাকে বল হাতে দেখা যায় অষ্টাদম ওভারে। জয়ের জন্য তখন ১৮ বলে ৩১ রান লাগে রাজস্থানের। উইকেট বাকি ৮টি। এই সময়ের ক্রিকেটে সহজ সমীকরণই বলতে হবে। ২৬ বলে ৫০ করে তখন ক্রিজে নিতিশ রানা। স্টার্ক বোলিংয়ে ফিরে শুরু করলেন ইয়র্কার-অভিযান। প্রথম তিন বলে এলো স্রেফ তিনটি সিঙ্গল। চতুর্থ বলে ১৪৪ কিলোমিটার গতির নিখুঁত ইয়র্কারে এলবিডব্লিউ রানা। নতুন ব্যাটসম্যান শিমরন হেটমায়ারকেও স্বাগত জানানো হলো ইয়র্কারে। বল কোনদিক দিয়ে কীভাবে গেল, ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান নিজেও হয়তো বুঝলেন না। কোনোরকমে ব্যাট পেতে দিলেন, বল ব্যাটের কানায় লেগে বাউন্ডারিতে পৌঁছে গেল পেছন দিয়ে। শেষ বলেও এলো সিঙ্গল। ওভারে স্রেফ আট রান দিয়ে এক উইকেট।

পরের ওভারে মোহিত শার্মার ফুল টসে ধ্রুব জুরেলের ছক্কাসহ এলো মোট ১৪ রান। জয়ের জন্য শেষ ওভারে রাজস্থানের প্রয়োজন ৯ রানের। স্টার্ক ছুটলেন আবার। দুই প্রান্তে হেটমায়ার ও জুরেলের মতো আগ্রাসী দুই ব্যাটসম্যান। তারা জানেন, সব ডেলিভারি ইয়র্কারই হবে। কিন্তু পারলেন না একটি বড় শটও খেলতে। নিখুঁত সব ইয়র্কার করে গেলেন স্টার্ক। ছয় ডেলিভারির পাঁচটিই হলো দারুণ। কেবল চতুর্থ ডেলিভারিতে লেংথ নিখুঁত রাখতে পারলেন না স্টার্ক। সেটিতেও দুই রানের বেশি নিতে পারলেন না হেটমায়ার। শেষ বলে যখন প্রয়োজন দুই রান, স্টার্কের ইয়র্কারে জুরেল নিতে পারলেন কেবল এক রান। দ্বিতীয় রানের চেষ্টায় হতে হলো রান আউট। আইপিএল পেল এবারের মৌসুমের প্রথম সুপার ওভারের দেখা। সুপার ওভারে স্টার্কের বোলিংয়ে আসা ছিল অবধারিত এবং আবার ইয়র্কারের মেলাও ছিল নিশ্চিত। শুরু করলেন ইয়র্কার দিয়েই। দ্বিতীয় ও চতুর্থ বলে অবশ্য লেংথ একটু গড়বড় হলো। তাতে বাউন্ডারি মারলেন হেটমায়ার ও রিয়ান পারাগ। একটি ‘নো’ বলও হলো। তবে পরের দুই ডেলিভারিতে আবার সামলে নিলেন দারুণভাবে। টানা দুটি রান আউটে এক বল আগেই শেষ রাজস্থানের সুপার ওভার। ১২ রানের লক্ষ্যে বেগ পেতে হয়নি দিল্লিকে। সান্দিপ শার্মার বোলিংয়ে দুই রান দিয়ে শুরুর পর বাউন্ডারি মারেন লোকেশ রাহুল। তৃতীয় বলে নেন সিঙ্গল। পরের বল গ্যালারিতে পাঠিয়ে ম্যাচ শেষ করে ট্রিস্টান স্টাবস। ম্যাচের পর স্টার্ক-বন্দনা সবার মুখেই। ছয় ম্যাচের পাঁচটি জিতে শীর্ষে থাকা দিল্লির অধিনায়ক আকসার প্যাটেল বললেন, স্টার্কের দিকেই তিনি তাকিয়ে ছিলেন। “আমার মনে হচ্ছিল, মিচেল স্টার্ক যদি করে দেখাতে পারে, তাহলে আমরা ম্যাচে ফিরতে পারি। ওই সময়ে আমার সামনে একটিই উপায় ছিল, সেটি মিচেল স্টার্ক। শেষ ওভার তো দারুণ করেছেই, সুপার ওভারও খুব ভালো করেছে। ১২ বলে ১২ ইয়র্কারৃ সম্ভবত দু-একটি মিস করেছেৃ এজন্যই সে অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি।” “যত প্রশংসা করা যায়, ততই কম হয় আসলে। বিশেষ করে, চাপের মধ্যে বারবার ফিল্ডিং বদলানোর পর চিন্তা-ভাবনায় যেভাবে স্বচ্ছ থাকে, সেটিই ফুটিয়ে তোলে তার মানসিকতা।” রাজস্থানের অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসনও অকপটে বললেন, স্টার্কের কাছেই হেরে গেছেন তারা।

“ওই রান অবশ্যই তাড়া করার মতো ছিল। আমাদের যে ব্যাটিং লাইন-আপ, পাওয়ার প্লেতে আমরা যেভাবে শুরু করেছি, অবশ্যই রান তাড়া করা উচিত ছিল। তবে সবাই যেমন দেখেছি, শেষ ওভারে অসাধারণ বোলিং করেছে স্টার্কি (স্টার্ক)।”
“একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের মান এরকমই হয়। বিশ্বের সেরাদের একজন সে। আমি বলব, স্টার্কিই ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। তাদেরকে ম্যাচটা জিতিয়েছে সে।” ইয়র্কার এমন এক শিল্প, একটু এদিক-সেদিক হলেই বয়ে আনতে পারে বিপদ। ইয়র্কারের চেষ্টায় খরুচে হয়ে ওঠার নজিরও আছে স্টার্কের। এই ম্যাচে সব দারুণভাবে করতে পারার স্বস্তি ছিল অভিজ্ঞ পেসারের কণ্ঠে। “নিজেকে মেলে ধরতে ভরসা রেখেছি। স্বচ্ছ ভাবনা নিয়ে বল হাতে ছুটেছি এবং চেষ্টা করেছি, যতটা সম্ভব বাস্তবায়ন করতে। কখনও কখনও চেষ্টা করেও কাজ হয় না। আজকে হয়েছে। কিছুটা ভাগ্যের ছোঁয়াও লাগে। দারুণ একটি ম্যাচ হয়েছে, জিতে ভালো লাগছে।” ইয়র্কার একদম অনুমিত হয়ে পড়ায় হঠাৎ বাউন্সারে ব্যাটসম্যানকে চমকে দেওয়া যায় কি না, ধারাভাষ্যে তখন এমন আলোচনা চলছিল। তবে স্টার্ক জানালেন, তার পরিকল্পনা ছিল শুধু ইয়র্ক করাই। “এটুকু বোঝার মতো যথেষ্ট ক্রিকেট আমি খেলেছি যে, সবাই জানে আমার পরিকল্পনা কী। তবে বিশ্বাসটা আমার আছে যে, যদি পরিকল্পনার প্রয়োগ ঠিকঠাক করতে পারি, তাহলে কাজ হয়ে যাবে। ওই ওভারটি আরও ১০ বার খেলতে পারি, ১০টি ভিন্ন কিছু করতে পারি, ১০টি আলাদা ফল হতে পারে। আজকে ভালোভাবে পেরেছি এবং ভাগ্যের সহায়তাও ছিল।”