ঢাকা ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

একুশ শিখিয়েছে কীভাবে অস্তিত্ব রক্ষা করা যায়’: প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০২:২১:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘একুশ আমাদের শিখিয়েছে মাথা নত না করার’ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “বাংলাদেশের মানুষ মাথা উঁচু করে চলবে, কারণ একুশ আমাদের শিখিয়েছে কীভাবে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করা যায়। কারও কাছে হাত পেতে নয়, আত্মমর্যাদা নিয়ে চলতে হবে। নিজের মাতৃভাষা, শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সবকিছুকেই রক্ষা করতে হবে।”
গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, “১৯৭২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জাতির পিতা শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে গিয়ে সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘১৯৫২ সালের আন্দোলন কেবল মাত্র ভাষা আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। এই আন্দোলন ছিল সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রক্তের অক্ষরে ভাষার অধিকারের কথা লিখে গেছে বাঙালি জাতি। জাতির পিতার নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বারবার আঘাত এসেছে, কিন্তু বাঙালি আঘাত ডিঙিয়ে তা অর্জন করেছে। ৭ মার্চের ভাষণে জাতির পিতা বলেছিলেন-কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। কেউ পারেওনি।”
“দুঃখের বিষয় ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতার অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। আমরা সে সময়কার গোয়েন্দাদের প্রতিবেদন নিয়ে বই বের করেছি। সেসব গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান উঠে এসেছে। অনেকে বলেন, তিনি তো জেলে ছিলেন। তিনি জেলে ছিলেন কেন? আন্দোলন গড়ে তুলেছেন বলেই তো।” বলেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। সারা পৃথিবী আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস পালন করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হারিয়ে যাওয়া মাতৃভাষা সংরক্ষণ ও গবেষণার জন্য একটি ইনস্টিটিউট করে দিয়েছি। আজকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য কয়েকজনকে আমরা একুশে পদক দিতে পেরে আনন্দিত, গর্বিত। সমাজে আরও অনেক গুণী আছে। একসঙ্গে তো সবাইকে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে, ত্যাগী এই মানুষদের খুঁজে বের করা সমাজের উচ্চ শ্রেণির দায়িত্ব।”

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নির্বাচিত সরকারে দায়িত্বে থাকার কোনো ইচ্ছা নেই: ড. ইউনূস

একুশ শিখিয়েছে কীভাবে অস্তিত্ব রক্ষা করা যায়’: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:২১:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘একুশ আমাদের শিখিয়েছে মাথা নত না করার’ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “বাংলাদেশের মানুষ মাথা উঁচু করে চলবে, কারণ একুশ আমাদের শিখিয়েছে কীভাবে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করা যায়। কারও কাছে হাত পেতে নয়, আত্মমর্যাদা নিয়ে চলতে হবে। নিজের মাতৃভাষা, শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সবকিছুকেই রক্ষা করতে হবে।”
গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, “১৯৭২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জাতির পিতা শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে গিয়ে সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘১৯৫২ সালের আন্দোলন কেবল মাত্র ভাষা আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। এই আন্দোলন ছিল সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রক্তের অক্ষরে ভাষার অধিকারের কথা লিখে গেছে বাঙালি জাতি। জাতির পিতার নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বারবার আঘাত এসেছে, কিন্তু বাঙালি আঘাত ডিঙিয়ে তা অর্জন করেছে। ৭ মার্চের ভাষণে জাতির পিতা বলেছিলেন-কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। কেউ পারেওনি।”
“দুঃখের বিষয় ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতার অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। আমরা সে সময়কার গোয়েন্দাদের প্রতিবেদন নিয়ে বই বের করেছি। সেসব গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান উঠে এসেছে। অনেকে বলেন, তিনি তো জেলে ছিলেন। তিনি জেলে ছিলেন কেন? আন্দোলন গড়ে তুলেছেন বলেই তো।” বলেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। সারা পৃথিবী আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস পালন করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হারিয়ে যাওয়া মাতৃভাষা সংরক্ষণ ও গবেষণার জন্য একটি ইনস্টিটিউট করে দিয়েছি। আজকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য কয়েকজনকে আমরা একুশে পদক দিতে পেরে আনন্দিত, গর্বিত। সমাজে আরও অনেক গুণী আছে। একসঙ্গে তো সবাইকে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে, ত্যাগী এই মানুষদের খুঁজে বের করা সমাজের উচ্চ শ্রেণির দায়িত্ব।”