ঢাকা ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

একুশ-বসন্তের মাসেও বিক্রিতে মন্দা আজিজ সুপার মার্কেটে

  • আপডেট সময় : ১১:২০:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৫৬ বার পড়া হয়েছে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : বইমেলা, পহেলা ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস- সব মিলিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসজুড়েই বিপুল জনসমাগম থাকে রাজধানীর শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। তবে এসবের ছোঁয়া লাগেনি আজিজ সুপার মার্কেটের পোশাকের দোকানগুলোতে। আশানুরূপ বেচাকেনা না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন বিক্রেতারা।
গত শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে আজিজ সুপার মার্কেট ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। ফেব্রুয়ারি মাসের নানা আয়োজনকে ঘিরে আজিজ সুপার মার্কেটের ফ্যাশন হাউজগুলো সাজানো হয়েছে রকমারি পোশাকে। কোনো কোনো শো-রুমে দেওয়া হয়েছে বিশেষ মূল্যছাড়। কোনোটিতে আবার ‘একটি কিনলে একটি ফ্রি’ অফার। এরপরও বিক্রি সন্তোষজনক নয় বলে জানিয়েছেন দোকানিরা। টি শার্টের শো-রুম ‘টিবেস্ট ম্যান’র স্বত্বাধিকারী মনজরুল আলম বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব ফ্যাক্টরি। সুতা, রঙ ও অন্যান্য কাচামালের খরচ বেড়েছে। এরপর কয়েক দফায় জ্বালানি খরচ বেড়েছে। বলা যায়, খরচ বেড়েছে ৩০-৫০ শতাংশ। সেখানে আমরা পণ্যের দাম ২০-৩০ টাকা বাড়িয়েছি। যাদের নিজস্ব ফ্যাক্টরি নেই, তারা আরও বাড়িয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘এবার ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফাল্গুনে আশানুরূপ বিক্রি হয়নি। সামনে তো রোজা, ধীরে ধীরে মার্কেট চাঙা হবে।’
মার্কেটের বেশ কয়েকটি দোকানেই নতুন পণ্য তোলা হয়েছে। আবার ক্রেতা না থাকায় বিক্রেতাদের অনেককে মোবাইল ফোনে অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। মার্কেটে বই ও খাবারের দোকানগুলোতে ক্রেতা থাকলেও হাতে গোনা দু/একটি পোশাকের দোকানে ক্রেতা সমাগম চোখে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রাবেয়া রতœা বলেন, ‘দেশের বাইরে যাবো, আগামী মাসে আমার ফ্লাইট। ব্যাগ কিনতে এসেছি, পাশাপাশি কিছু জামাকাপড়ও কিনছি।’
তবে পোশাকের দাম বাড়তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দাম আগে থেকেই বাড়তি। আগের তুলনায় এখনকার দামের পার্থক্য ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। তারপরও কম-বেশি করে কেনার চেষ্টা করছি।’ এলিট ফ্যাশন হাউজের স্বত্বাধিকারী মামুন বলেন, ‘আমাদের খরচ বেড়েছে ৩০ শতাংশ। তবে এবছর পোশাকের দাম আর বাড়াইনি। টি-শার্ট ৪৬০ টাকা, গত বছরও তাই ছিল। এখন বিক্রি মোটামুটি হচ্ছে, তবে ঈদের আগে বাড়বে বলে আশা করছি।’
ঈদ উপলক্ষে এখনই নতুন জাপাকাপড় তোলা হচ্ছে জানিয়ে মেঘ ফ্যাশন হাউজের বিক্রয় প্রতিনিধি মাহিন বলেন, ‘দোকানে নতুন জামাকাপড় উঠছে। আর উৎসবের মস ফেব্রুয়ারিতে যেমন বেচাকেনা হওয়ার কথা তেমন হচ্ছে না, ২০ শতাংশের মতো বেচাকেনা কম। আশা করছি শবে বরাতের পর থেকে বেচাকেনা জমে উঠবে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

একুশ-বসন্তের মাসেও বিক্রিতে মন্দা আজিজ সুপার মার্কেটে

আপডেট সময় : ১১:২০:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : বইমেলা, পহেলা ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস- সব মিলিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসজুড়েই বিপুল জনসমাগম থাকে রাজধানীর শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। তবে এসবের ছোঁয়া লাগেনি আজিজ সুপার মার্কেটের পোশাকের দোকানগুলোতে। আশানুরূপ বেচাকেনা না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন বিক্রেতারা।
গত শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে আজিজ সুপার মার্কেট ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। ফেব্রুয়ারি মাসের নানা আয়োজনকে ঘিরে আজিজ সুপার মার্কেটের ফ্যাশন হাউজগুলো সাজানো হয়েছে রকমারি পোশাকে। কোনো কোনো শো-রুমে দেওয়া হয়েছে বিশেষ মূল্যছাড়। কোনোটিতে আবার ‘একটি কিনলে একটি ফ্রি’ অফার। এরপরও বিক্রি সন্তোষজনক নয় বলে জানিয়েছেন দোকানিরা। টি শার্টের শো-রুম ‘টিবেস্ট ম্যান’র স্বত্বাধিকারী মনজরুল আলম বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব ফ্যাক্টরি। সুতা, রঙ ও অন্যান্য কাচামালের খরচ বেড়েছে। এরপর কয়েক দফায় জ্বালানি খরচ বেড়েছে। বলা যায়, খরচ বেড়েছে ৩০-৫০ শতাংশ। সেখানে আমরা পণ্যের দাম ২০-৩০ টাকা বাড়িয়েছি। যাদের নিজস্ব ফ্যাক্টরি নেই, তারা আরও বাড়িয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘এবার ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফাল্গুনে আশানুরূপ বিক্রি হয়নি। সামনে তো রোজা, ধীরে ধীরে মার্কেট চাঙা হবে।’
মার্কেটের বেশ কয়েকটি দোকানেই নতুন পণ্য তোলা হয়েছে। আবার ক্রেতা না থাকায় বিক্রেতাদের অনেককে মোবাইল ফোনে অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। মার্কেটে বই ও খাবারের দোকানগুলোতে ক্রেতা থাকলেও হাতে গোনা দু/একটি পোশাকের দোকানে ক্রেতা সমাগম চোখে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রাবেয়া রতœা বলেন, ‘দেশের বাইরে যাবো, আগামী মাসে আমার ফ্লাইট। ব্যাগ কিনতে এসেছি, পাশাপাশি কিছু জামাকাপড়ও কিনছি।’
তবে পোশাকের দাম বাড়তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দাম আগে থেকেই বাড়তি। আগের তুলনায় এখনকার দামের পার্থক্য ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। তারপরও কম-বেশি করে কেনার চেষ্টা করছি।’ এলিট ফ্যাশন হাউজের স্বত্বাধিকারী মামুন বলেন, ‘আমাদের খরচ বেড়েছে ৩০ শতাংশ। তবে এবছর পোশাকের দাম আর বাড়াইনি। টি-শার্ট ৪৬০ টাকা, গত বছরও তাই ছিল। এখন বিক্রি মোটামুটি হচ্ছে, তবে ঈদের আগে বাড়বে বলে আশা করছি।’
ঈদ উপলক্ষে এখনই নতুন জাপাকাপড় তোলা হচ্ছে জানিয়ে মেঘ ফ্যাশন হাউজের বিক্রয় প্রতিনিধি মাহিন বলেন, ‘দোকানে নতুন জামাকাপড় উঠছে। আর উৎসবের মস ফেব্রুয়ারিতে যেমন বেচাকেনা হওয়ার কথা তেমন হচ্ছে না, ২০ শতাংশের মতো বেচাকেনা কম। আশা করছি শবে বরাতের পর থেকে বেচাকেনা জমে উঠবে।’