নিজস্ব প্রতিবেদক : যেসব ট্রেকহোল্ডার একাধিক ব্যাক-অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে এই নির্দেশ দিয়েছে। সম্প্রতি তামহা সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে একাধিক ব্যাক-অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণার তথ্য বেরিয়ে আসে। এর পরিপ্রেক্ষিত্রে শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমন নির্দেশনা দিলো। বিএসইসির নির্দেশনায় আগামী ৩০ জুনের মধ্যে একাধিক ব্যাক-অফিস সফটওয়্যার ব্যবহারকারী ট্রেকহোল্ডারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিমাস এ বিষয়ে কমিশনকে অবহিত করতেও বলা হয়েছে। সম্প্রতি বিএসইসির সহকারী পরিচালক মাকসুদা মিলা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর চিঠিটি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে সফটওয়্যার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত করার জন্য স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ট্রেকহোল্ডারদের সফটওয়্যার সরবরাহের পূর্বে স্টক এক্সচেঞ্জের অনুমোদন নেবে ওই প্রতিষ্ঠান। পরে বিষয়টি কমিশনকে অবহিত করবে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। ট্রেকহোল্ডারদের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ইনস্টলেশনে স্টক এক্সচেঞ্জ পলিসি তৈরি করে দেবে এবং তা ট্রেকহোল্ডারদের মধ্যে জানিয়ে দিতে হবে। এছাড়া নেটওয়ার্ক ইনস্টলেশন ও সিকিউরিটি পলিসি তৈরি করে দিতে স্টক এক্সচেঞ্জকে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে চিঠিতে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে ট্রেকহোল্ডার ও মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রতিদিনের লেনদেনের তথ্য সংরক্ষণের জন্য বলা হয়েছে। এ জন্য ব্যাক-আপ পলিসি গঠন করতে বলেছে বিএসইসি। যেসব ট্রেকহোল্ডার কোম্পানিতে একাধিক ব্যাক-অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। কমিশনের চিঠিতে বলা হয়েছে, যেসব ট্রেকহোল্ডার একাধিক ব্যাক-অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করে, তাদের কাছ থেকে ব্যাখা নিতে হবে। সম্প্রতি তামহা সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার তথ্য বেরিয়ে এসেছে। একাধিক ব্যাক-অফিস সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানটি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করে। এই প্রতিষ্ঠানটি, বিনিয়োগকারীদের সিকিউরিটিজ বিক্রি ও নগদ অর্থ আত্মসাত করলেও তা ব্যাক-অফিস সফটওয়্যারের মাধ্যমে আড়াল করে আসছিল। প্রতিষ্ঠানটি ওই সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিওর প্রকৃত তথ্যের বিপরীতে মিথ্যা তথ্য প্রদান করতো। সম্প্রতি এ বিষয়ে আভিযোগ করে এক সংবাদ সম্মেলন করেন ফখরুল ইসলাম নামের এক বিনিয়োগকারী। ফখরুল ইসলাম বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদি ঠিক মতো মনিটরিং করতো তাহলে এ ধরনের জালিয়াতি ঘটত না।