ঢাকা ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা অনুপ ভট্টাচার্যের চিরবিদায়

  • আপডেট সময় : ০৯:০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে


বিনোদন প্রতিবেদক : স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও সুরকার অনুপ ভট্টাচার্য মারা গেছেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ সুরকারকে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান তার ভ্রাতুষ্পুত্রী পুষ্পিতা ভট্টাচার্য। অনুপ ভট্টাচার্যের বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
পুষ্পিতা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে কাকা ফুসফুসের জটিলতা, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে ভুগছেন। বাসায় আজ হঠাৎ করেই নিস্তেজ হয়ে পড়েন তিনি। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’ অনুপ ভট্টাচার্যের দুই মেয়ে ও জামাতা দেশের বাইরে থাকেন। তার শেষকৃত্যের বিষয়ে পারিবারিকভাবে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান পুষ্পিতা। বৃহস্পতিবার রাতে তার মরদেহ হিমঘরে রাখা হয়।
১৯৪৪ সালের ১৪ জুলাই সিলেটের জকিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন অনুপ ভট্টাচার্য। ১৯৬৩ সালের ১১ মার্চ রাজশাহী বেতারে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সংগীতে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে নিয়মিত রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেছেন তিনি। একাত্তরে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে সংগীত পরিবেশনে যুক্ত হন অনুপ ভট্টাচার্য; ভারতের কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় গান পরিবেশন করেছেন তিনি।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ‘তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর’ ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি’, ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’, ‘নোঙর তোলো তোলোসহ বেশকটি সমবেত গানে কণ্ঠ দেন অনুপ ভট্টাচার্য। এছাড়া অনেক গানে সুরারোপ করেছেন এই শিল্পী। এর মধ্যে রফিকুল ইসলামের গাওয়া ‘বৈশাখী মেঘের কাছে’ ও মিতালী মুখার্জির কণ্ঠে ‘সুখ পাখি রে’ গান দুটি শ্রোতামহলে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর শোক : স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী, বাংলাদেশ রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং প্রখ্যাত সুরকার অনুপ ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শুক্রবার শেখ হাসিনা এক শোক বার্তায় বলেন, সংগীতে অনুপ ভট্টাচার্যের অবদান মানুষ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা অনুপ ভট্টাচার্যের চিরবিদায়

আপডেট সময় : ০৯:০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১


বিনোদন প্রতিবেদক : স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও সুরকার অনুপ ভট্টাচার্য মারা গেছেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ সুরকারকে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান তার ভ্রাতুষ্পুত্রী পুষ্পিতা ভট্টাচার্য। অনুপ ভট্টাচার্যের বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
পুষ্পিতা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে কাকা ফুসফুসের জটিলতা, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে ভুগছেন। বাসায় আজ হঠাৎ করেই নিস্তেজ হয়ে পড়েন তিনি। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’ অনুপ ভট্টাচার্যের দুই মেয়ে ও জামাতা দেশের বাইরে থাকেন। তার শেষকৃত্যের বিষয়ে পারিবারিকভাবে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান পুষ্পিতা। বৃহস্পতিবার রাতে তার মরদেহ হিমঘরে রাখা হয়।
১৯৪৪ সালের ১৪ জুলাই সিলেটের জকিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন অনুপ ভট্টাচার্য। ১৯৬৩ সালের ১১ মার্চ রাজশাহী বেতারে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সংগীতে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে নিয়মিত রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেছেন তিনি। একাত্তরে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে সংগীত পরিবেশনে যুক্ত হন অনুপ ভট্টাচার্য; ভারতের কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় গান পরিবেশন করেছেন তিনি।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ‘তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর’ ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি’, ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’, ‘নোঙর তোলো তোলোসহ বেশকটি সমবেত গানে কণ্ঠ দেন অনুপ ভট্টাচার্য। এছাড়া অনেক গানে সুরারোপ করেছেন এই শিল্পী। এর মধ্যে রফিকুল ইসলামের গাওয়া ‘বৈশাখী মেঘের কাছে’ ও মিতালী মুখার্জির কণ্ঠে ‘সুখ পাখি রে’ গান দুটি শ্রোতামহলে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর শোক : স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী, বাংলাদেশ রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং প্রখ্যাত সুরকার অনুপ ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শুক্রবার শেখ হাসিনা এক শোক বার্তায় বলেন, সংগীতে অনুপ ভট্টাচার্যের অবদান মানুষ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।