ঢাকা ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫

একাকিত্ব ঘোচাতে সাহায্য করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

  • আপডেট সময় : ০৬:৪৬:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইনির্ভর সঙ্গীরা একাকিত্বের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন মেটা প্রধান ও ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ।

এ সপ্তাহে পডকাস্টার দ্বারকেশ প্যাটেলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এমন কথা বলেন মেটা প্রধান।

মেটার বিভিন্ন এআই মডেলের জন্য নতুন এক প্রোগ্রামিং ইন্টারফেইস প্রকাশের বিষয়ে তিনি বলেছেন, এখন মেটা যেসব এআই সহকারী ও চ্যাটবট তৈরি করছে, সেগুলো অনেক উন্নত। যাদের জীবনে বন্ধু নেই বা কম আছে মেটার নতুন এআইকে বন্ধুর মতো ব্যবহার করতে পারবেন তারা।

জাকারবার্গ বলেছেন, গড়ে একজন সাধারণ আমেরিকানের বন্ধু আছে কেবল দুই থেকে তিনজন। কিন্তু আসলে মানুষের অন্তত ১৫ জন ভালো বন্ধুর প্রয়োজন। অনেকেই প্রশ্ন করেন এআই মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বা সামনে বসে কথা বলার মতো সম্পর্কগুলোকে বদলে দেবে কি না?’ আমার ধারণা, না তা বদলে দেবে না। আমি মনে করি, সামনে বসে কথা বলা বা সামনাসামনি দেখা করার অনেক ভালো দিক রয়েছে। তবে, বাস্তবতা হচ্ছে অনেক মানুষের এমন সম্পর্ক গড়ে ওঠে না। অনেক মানুষ একা থাকেন বা কারও সঙ্গে মিশতে পারেন না। সেই একাকিত্ব কমাতে সাহায্য করবে এআই।

জাকারবার্গ আরো বলেছেন, এখনও এআই বন্ধুর দুনিয়া একেবারে শুরুর দিকে রয়েছে। এখনকার চ্যাটবটগুলো কেবল টেক্সট বা লেখায় কথা বলে, এদের শরীরিক বা বাস্তব কোনো উপস্থিতি নেই। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এদের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কগুলো আরো বাস্তব হয়ে উঠবে। কারণ এআই ধীরে ধীরে মানুষের পছন্দ বা অপছন্দ বুঝে নিতে শিখবে।

বিশ্ব এই এআই বন্ধুদের চাহিদার সঙ্গে মানিয়ে নেবে এবং আমরা একটা ভাষা বা কথাবার্তা খুঁজে বের করব। যাতে আমরা বুঝাতে পারি, কেন এআই বন্ধু গুরুত্বপূর্ণ, যারা এসব তৈরি করছেন তারা কেন এমনটি করছেন ও মানুষের জীবনে এটি কীভাবে উপকারে আসছে।

এআই বন্ধু তৈরির প্রাথমিক বিভিন্ন চেষ্টা কিছু নৈতিক সমস্যা তৈরি করেছে। যেমন– এসব ডিজিটাল বন্ধুরা ছোটদের জন্য অশালীন বা যৌন কনটেন্টের সঙ্গে পরিচয় ঘটাতে পারে বা এরা ভুল মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ দিতে পারে, যা তাদের ক্ষতি করতে পারে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।

৪০৪ মিডিয়া’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু ব্যবহারকারীরা এআই বট ব্যবহার করে নিজেদের মিথ্যা পরিচয় দিচ্ছে। যেমন- নিজেদের লাইসেন্সধারী থেরাপিস্ট দাবি করছেন তারা। এ ছাড়াও, ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের রানীকে হত্যার পরিকল্পনা করা এক ব্যক্তি যখন চ্যাটবটকে বলেছিল, যে সে রাণীকে “হত্যা” করতে চায় তখন সেই বটটি তাকে উৎসাহ দিয়েছিল।

‘আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন’-এর ২০২৪ সালের এক জরিপে উঠে এসেছে, ৩০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ বলেছেন, গত এক বছরে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার একাকিত্ব অনুভব করেন তারা। তবে দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ বলেছেন, ‘আমাকে নতুন সম্পর্ক গড়তে সাহায্য করেছে’ প্রযুক্তি।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

একাকিত্ব ঘোচাতে সাহায্য করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

আপডেট সময় : ০৬:৪৬:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

প্রযুক্তি ডেস্ক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইনির্ভর সঙ্গীরা একাকিত্বের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন মেটা প্রধান ও ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ।

এ সপ্তাহে পডকাস্টার দ্বারকেশ প্যাটেলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এমন কথা বলেন মেটা প্রধান।

মেটার বিভিন্ন এআই মডেলের জন্য নতুন এক প্রোগ্রামিং ইন্টারফেইস প্রকাশের বিষয়ে তিনি বলেছেন, এখন মেটা যেসব এআই সহকারী ও চ্যাটবট তৈরি করছে, সেগুলো অনেক উন্নত। যাদের জীবনে বন্ধু নেই বা কম আছে মেটার নতুন এআইকে বন্ধুর মতো ব্যবহার করতে পারবেন তারা।

জাকারবার্গ বলেছেন, গড়ে একজন সাধারণ আমেরিকানের বন্ধু আছে কেবল দুই থেকে তিনজন। কিন্তু আসলে মানুষের অন্তত ১৫ জন ভালো বন্ধুর প্রয়োজন। অনেকেই প্রশ্ন করেন এআই মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বা সামনে বসে কথা বলার মতো সম্পর্কগুলোকে বদলে দেবে কি না?’ আমার ধারণা, না তা বদলে দেবে না। আমি মনে করি, সামনে বসে কথা বলা বা সামনাসামনি দেখা করার অনেক ভালো দিক রয়েছে। তবে, বাস্তবতা হচ্ছে অনেক মানুষের এমন সম্পর্ক গড়ে ওঠে না। অনেক মানুষ একা থাকেন বা কারও সঙ্গে মিশতে পারেন না। সেই একাকিত্ব কমাতে সাহায্য করবে এআই।

জাকারবার্গ আরো বলেছেন, এখনও এআই বন্ধুর দুনিয়া একেবারে শুরুর দিকে রয়েছে। এখনকার চ্যাটবটগুলো কেবল টেক্সট বা লেখায় কথা বলে, এদের শরীরিক বা বাস্তব কোনো উপস্থিতি নেই। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এদের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কগুলো আরো বাস্তব হয়ে উঠবে। কারণ এআই ধীরে ধীরে মানুষের পছন্দ বা অপছন্দ বুঝে নিতে শিখবে।

বিশ্ব এই এআই বন্ধুদের চাহিদার সঙ্গে মানিয়ে নেবে এবং আমরা একটা ভাষা বা কথাবার্তা খুঁজে বের করব। যাতে আমরা বুঝাতে পারি, কেন এআই বন্ধু গুরুত্বপূর্ণ, যারা এসব তৈরি করছেন তারা কেন এমনটি করছেন ও মানুষের জীবনে এটি কীভাবে উপকারে আসছে।

এআই বন্ধু তৈরির প্রাথমিক বিভিন্ন চেষ্টা কিছু নৈতিক সমস্যা তৈরি করেছে। যেমন– এসব ডিজিটাল বন্ধুরা ছোটদের জন্য অশালীন বা যৌন কনটেন্টের সঙ্গে পরিচয় ঘটাতে পারে বা এরা ভুল মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ দিতে পারে, যা তাদের ক্ষতি করতে পারে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।

৪০৪ মিডিয়া’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু ব্যবহারকারীরা এআই বট ব্যবহার করে নিজেদের মিথ্যা পরিচয় দিচ্ছে। যেমন- নিজেদের লাইসেন্সধারী থেরাপিস্ট দাবি করছেন তারা। এ ছাড়াও, ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের রানীকে হত্যার পরিকল্পনা করা এক ব্যক্তি যখন চ্যাটবটকে বলেছিল, যে সে রাণীকে “হত্যা” করতে চায় তখন সেই বটটি তাকে উৎসাহ দিয়েছিল।

‘আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন’-এর ২০২৪ সালের এক জরিপে উঠে এসেছে, ৩০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ বলেছেন, গত এক বছরে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার একাকিত্ব অনুভব করেন তারা। তবে দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ বলেছেন, ‘আমাকে নতুন সম্পর্ক গড়তে সাহায্য করেছে’ প্রযুক্তি।