ঢাকা ১১:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

একসঙ্গে জন্ম নেওয়া অপরিণত চার শিশু সুস্থ

  • আপডেট সময় : ০৪:৩২:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৩৩ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) একসঙ্গে চার অপরিণত নবজাতকের সফলভাবে জন্ম দিয়েছেন এক গর্ভধারিণী মা। চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় প্রত্যেকেই এখন সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। ১৯ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম তাদের বিদায় জানান।
চার নবজাতকের সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার জন্য নিয়মিত ফলোআপে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। চার নবজাতকের মা-বাবা দুশ্চিন্তার পরিবর্তে এখন সময় কাটছে হাসি আর আনন্দে। আর এটি সম্ভব হয়েছে বিএসএমএমইউর নিওনেটোলজি (নবজাতক) ও ফিটোম্যার্টারনাল মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, রেসিডেন্ট ছাত্রছাত্রীদের চিকিৎসাসেবা ও নার্সদের নিবিড় সেবাসহ সম্মিলিত প্রচেষ্টায়।

এক নবজাতককে কোলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, একসঙ্গে চার সন্তানের জন্মদান একটি ব্যতিক্রম ঘটনা। চার নবজাতকই কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। ফলে তাদের সুস্থ রাখা এবং সফল সিজারের মাধ্যমে নবজাতকদের সুস্থভাবে জন্মদান নিশ্চিত করাটা ছিল চ্যালেঞ্জিং। তবে নিওনেটোলজি ও ফিটোম্যার্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরা গুণগতমানের ওটিসহ চিকিৎসাসেবা প্রদান করায় মহান আল্লাহর রহমতে তারা সফল হয়েছেন। চার নবজাতকই এখন সুস্থ আছেন। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সকলকে আমার অভিনন্দন। আগামী দিনে এ ধরনের ব্যতিক্রমী বিষয়ে চিকিৎসাসেবায় ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিএসএমএমইউ দেশ ও পৃথিবীর বুকে রোল মডেলে পরিণত হবে।
নিওনেটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল মান্নান বলেন, চিকিৎসাসেবার মাধ্যমে চার নবজাতককে বাঁচিয়ে রাখা ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। তারপরেও আল্লাহর রহমতে তাদেরকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুস্থ রাখা সম্ভব হয়েছে। নবজাতকদের চিকিৎসাসেবা ও কেয়ারিং এর ক্ষেত্রে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জরুরি বিষয় হলো ক্যাঙারু মাদার কেয়ার (কেএমসি), হ্যান্ড ওয়াশিং, আরলি ব্রেস্ট ফিডিং বা দ্রুত সময়ে মায়ের কাছে নবজাতককে শিফট করে মায়ের বুকের দুধ পান করানো নিশ্চিত করাসহ প্রয়োজন হলে নবজাতকের শ্বাস কষ্ট নিয়ন্ত্রণে রাখতে সিপাপ নামক ডিভাইসের সেবা নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, সাধারণত একজন গর্ভধারিণী মা ৪০ সপ্তাহে সন্তান প্রসব করে থাকেন, কিন্তু মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় এই চার নবজাতকের বয়স যখন ৩১ সপ্তাহ তখন তার মায়ের সিজার করতে হয়েছিল। নবজাতকের জন্মের সঙ্গে সঙ্গে মায়ের ত্বকের সাথে অপরিণত নবজাতকের ত্বক লাগিয়ে সেবা প্রদান ক্যাঙারু মাদার কেয়ার (কেএমসি) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই চার নবজাতকের চিকিৎসায় এ বিষয়টিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
চার নবজাতকের বিদায়ের সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউর প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রো-ভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, ডিন অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. আতিয়ার রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ, ফিটোম্যাটানাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. তাবাসসুম পারভীন প্রমুখ।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

একসঙ্গে জন্ম নেওয়া অপরিণত চার শিশু সুস্থ

আপডেট সময় : ০৪:৩২:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রত্যাশা ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) একসঙ্গে চার অপরিণত নবজাতকের সফলভাবে জন্ম দিয়েছেন এক গর্ভধারিণী মা। চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় প্রত্যেকেই এখন সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। ১৯ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম তাদের বিদায় জানান।
চার নবজাতকের সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার জন্য নিয়মিত ফলোআপে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। চার নবজাতকের মা-বাবা দুশ্চিন্তার পরিবর্তে এখন সময় কাটছে হাসি আর আনন্দে। আর এটি সম্ভব হয়েছে বিএসএমএমইউর নিওনেটোলজি (নবজাতক) ও ফিটোম্যার্টারনাল মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, রেসিডেন্ট ছাত্রছাত্রীদের চিকিৎসাসেবা ও নার্সদের নিবিড় সেবাসহ সম্মিলিত প্রচেষ্টায়।

এক নবজাতককে কোলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, একসঙ্গে চার সন্তানের জন্মদান একটি ব্যতিক্রম ঘটনা। চার নবজাতকই কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। ফলে তাদের সুস্থ রাখা এবং সফল সিজারের মাধ্যমে নবজাতকদের সুস্থভাবে জন্মদান নিশ্চিত করাটা ছিল চ্যালেঞ্জিং। তবে নিওনেটোলজি ও ফিটোম্যার্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরা গুণগতমানের ওটিসহ চিকিৎসাসেবা প্রদান করায় মহান আল্লাহর রহমতে তারা সফল হয়েছেন। চার নবজাতকই এখন সুস্থ আছেন। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সকলকে আমার অভিনন্দন। আগামী দিনে এ ধরনের ব্যতিক্রমী বিষয়ে চিকিৎসাসেবায় ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিএসএমএমইউ দেশ ও পৃথিবীর বুকে রোল মডেলে পরিণত হবে।
নিওনেটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল মান্নান বলেন, চিকিৎসাসেবার মাধ্যমে চার নবজাতককে বাঁচিয়ে রাখা ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। তারপরেও আল্লাহর রহমতে তাদেরকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুস্থ রাখা সম্ভব হয়েছে। নবজাতকদের চিকিৎসাসেবা ও কেয়ারিং এর ক্ষেত্রে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জরুরি বিষয় হলো ক্যাঙারু মাদার কেয়ার (কেএমসি), হ্যান্ড ওয়াশিং, আরলি ব্রেস্ট ফিডিং বা দ্রুত সময়ে মায়ের কাছে নবজাতককে শিফট করে মায়ের বুকের দুধ পান করানো নিশ্চিত করাসহ প্রয়োজন হলে নবজাতকের শ্বাস কষ্ট নিয়ন্ত্রণে রাখতে সিপাপ নামক ডিভাইসের সেবা নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, সাধারণত একজন গর্ভধারিণী মা ৪০ সপ্তাহে সন্তান প্রসব করে থাকেন, কিন্তু মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় এই চার নবজাতকের বয়স যখন ৩১ সপ্তাহ তখন তার মায়ের সিজার করতে হয়েছিল। নবজাতকের জন্মের সঙ্গে সঙ্গে মায়ের ত্বকের সাথে অপরিণত নবজাতকের ত্বক লাগিয়ে সেবা প্রদান ক্যাঙারু মাদার কেয়ার (কেএমসি) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই চার নবজাতকের চিকিৎসায় এ বিষয়টিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
চার নবজাতকের বিদায়ের সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউর প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রো-ভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, ডিন অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. আতিয়ার রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ, ফিটোম্যাটানাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. তাবাসসুম পারভীন প্রমুখ।