ঢাকা ০২:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

একযোগে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ‘ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে’

  • আপডেট সময় : ০২:৪২:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ৪ অক্টোবর একযোগে দেশের একটি বড় অংশে বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে। এর পেছনে কারিগরি নয়, মূলত ব্যবস্থাপনা ত্রুটি ছিল বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আর এজন্য দায়ী সঞ্চালন কোম্পানির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ‘ব্যবস্থা’ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এরই অংশ হিসেবে আজ রবিবার (১৬ অক্টোবর) বেশ কয়েকজনকে চাকরিচ্যুত করার কথাও বলেছেন প্রতিমন্ত্রী। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) রাতে জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগে ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ নামে এক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। চলমান লোডশেডিং ও গ্যাস সংকট নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন।
ডয়েচে ভেলের ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের যে ব্ল্যাকআউটটা হয়েছিল, সেটা পিজিসিবি তার ম্যানেজমেন্ট করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিল, সে কারণেই হয়েছে। সেদিন ডিমান্ড উৎপাদনের চেয়ে বেশি ছিল। তাদের ডেসকো থেকে বলা হয়েছিল যে, তোমরা কাট ডাউন কর। নইলে বাধাগ্রস্ত হবে, ফ্রিকোয়েন্সি আরও উপরে উঠে গিয়ে ক্র্যাশ করবে। বাস্তবেও তাই হয়েছে। ওরা কথাটা শোনেনি, কন্টিনিউ করেছে, একপর্যায়ে ব্ল্যাকআউট হয়েছে।’
এ ঘটনায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন কোম্পানি পিজিসিবি কর্মকর্তাদের দায় রয়েছে বলে জানান নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করেছি, যারা কথাগুলো শোনার চেষ্টা করেননি। এদের আমরা স্যাক করবো। আগামী রবিবারের মধ্যেই ব্যবস্থা নেবো। এটা কোনও টেকনিক্যাল ফল্ট ছিল না, ম্যান ম্যানেজমেন্টের ফল্ট ছিল।’
প্রতিমন্ত্রী এর আগে বলেছিলেন, অক্টোবরে আর বিদ্যুৎ সংকট থাকবে না। বিষয়টি সঞ্চালক অবতারণা করলে তিনি বলেন, ওইদিনের (৪ অক্টোবর) বিপর্যয়ের কারণে সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত না হলে বর্তমানে বিদ্যুতের লোড শেডিং-এর কোনও সমস্যাই থাকতো না।
এ দাবির ব্যাখ্যায় প্রতিমন্ত্রী অনুষ্ঠান চলার সময়ের তথ্য তুলে ধরে বলেন, ‘আমার মোবাইলে প্রতি ঘণ্টায় বিদ্যুতের চাহিদা এবং উৎপাদনের একটি ডাটা আসে। আমি এই মুহূর্তে যখন কথা বলছি, এখনও ৫০০ মেগাওয়াট লোড শেড চলছে। কিন্তু ওয়েস্টার্ন ব্লক থেকে যদি ৭০০ মেগাওয়াট নিয়ে আসতে পারতাম তাহলে লোড শেডিং থাকতো না।’
কী কারণে ওয়েস্টার্ন ব্লক থেকে ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনা যাচ্ছে না- এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘এটা হচ্ছে ঘোড়াশাল গ্রিড উপকেন্দ্রে ম্যানফল্ট বা আমি মনে করি হিউম্যান ফল্টের কারণে। আমরা আজকেও এটা নিয়ে ন্যাশনাল লোড ডিসবার্স সেন্টারে বসেছিলাম।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

একযোগে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ‘ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে’

আপডেট সময় : ০২:৪২:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ৪ অক্টোবর একযোগে দেশের একটি বড় অংশে বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে। এর পেছনে কারিগরি নয়, মূলত ব্যবস্থাপনা ত্রুটি ছিল বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আর এজন্য দায়ী সঞ্চালন কোম্পানির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ‘ব্যবস্থা’ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এরই অংশ হিসেবে আজ রবিবার (১৬ অক্টোবর) বেশ কয়েকজনকে চাকরিচ্যুত করার কথাও বলেছেন প্রতিমন্ত্রী। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) রাতে জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগে ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ নামে এক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। চলমান লোডশেডিং ও গ্যাস সংকট নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন।
ডয়েচে ভেলের ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের যে ব্ল্যাকআউটটা হয়েছিল, সেটা পিজিসিবি তার ম্যানেজমেন্ট করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিল, সে কারণেই হয়েছে। সেদিন ডিমান্ড উৎপাদনের চেয়ে বেশি ছিল। তাদের ডেসকো থেকে বলা হয়েছিল যে, তোমরা কাট ডাউন কর। নইলে বাধাগ্রস্ত হবে, ফ্রিকোয়েন্সি আরও উপরে উঠে গিয়ে ক্র্যাশ করবে। বাস্তবেও তাই হয়েছে। ওরা কথাটা শোনেনি, কন্টিনিউ করেছে, একপর্যায়ে ব্ল্যাকআউট হয়েছে।’
এ ঘটনায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন কোম্পানি পিজিসিবি কর্মকর্তাদের দায় রয়েছে বলে জানান নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করেছি, যারা কথাগুলো শোনার চেষ্টা করেননি। এদের আমরা স্যাক করবো। আগামী রবিবারের মধ্যেই ব্যবস্থা নেবো। এটা কোনও টেকনিক্যাল ফল্ট ছিল না, ম্যান ম্যানেজমেন্টের ফল্ট ছিল।’
প্রতিমন্ত্রী এর আগে বলেছিলেন, অক্টোবরে আর বিদ্যুৎ সংকট থাকবে না। বিষয়টি সঞ্চালক অবতারণা করলে তিনি বলেন, ওইদিনের (৪ অক্টোবর) বিপর্যয়ের কারণে সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত না হলে বর্তমানে বিদ্যুতের লোড শেডিং-এর কোনও সমস্যাই থাকতো না।
এ দাবির ব্যাখ্যায় প্রতিমন্ত্রী অনুষ্ঠান চলার সময়ের তথ্য তুলে ধরে বলেন, ‘আমার মোবাইলে প্রতি ঘণ্টায় বিদ্যুতের চাহিদা এবং উৎপাদনের একটি ডাটা আসে। আমি এই মুহূর্তে যখন কথা বলছি, এখনও ৫০০ মেগাওয়াট লোড শেড চলছে। কিন্তু ওয়েস্টার্ন ব্লক থেকে যদি ৭০০ মেগাওয়াট নিয়ে আসতে পারতাম তাহলে লোড শেডিং থাকতো না।’
কী কারণে ওয়েস্টার্ন ব্লক থেকে ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনা যাচ্ছে না- এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘এটা হচ্ছে ঘোড়াশাল গ্রিড উপকেন্দ্রে ম্যানফল্ট বা আমি মনে করি হিউম্যান ফল্টের কারণে। আমরা আজকেও এটা নিয়ে ন্যাশনাল লোড ডিসবার্স সেন্টারে বসেছিলাম।’