ঢাকা ০১:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

একনেকে প্রধানমন্ত্রী গাইলেন ‘হাঁকাও গাড়ি ভাই চিলমারী বন্দর’

  • আপডেট সময় : ০২:০২:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১
  • ১৫২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : এক সময় ভারত উপমহাদেশে কুড়িগ্রামের চিলমারী বিখ্যাত ছিল বন্দরের জন্য। সেটি এখন ইতিহাস। সেই ইতিহাস আবার গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী চিলমারী বন্দর উজ্জীবনের সুরই যেন তুলেছেন। সভায় এ-সংক্রান্ত প্রকল্প নিয়ে আলোচনার সময় ছন্দতালে তিনি বলে ওঠেন, ‘হাঁকাও গাড়ি ভাই চিলমারী বন্দর’।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় এই দৃশ্য তৈরি হয় বলে তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘চিলমারী কিন্তু একসময় বিখ্যাত বন্দর ছিল। দেশভাগের পর আসামের সঙ্গে যোগাযোগে ছেদ পড়ায় এর গুরুত্ব কমে যায়। এখন যেহেতু আমরা প্রতিবেশী ভারতসহ আঞ্চলিক ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াচ্ছি, তাই চিলমারী বন্দরটা আবার আগের জায়গায় যাবে।’ মন্ত্রী বলেন, চিলমারী বন্দর নিয়ে এই আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী গেয়ে ওঠেন, ‘হাঁকাও গাড়ি ভাই চিলমারী বন্দর।’ জানা গেছে, ২৩৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার ‘চিলমারী এলাকায় নদীবন্দর নির্মাণ’ প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের।
৬৬৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে একনেকে ১০ প্রকল্প অনুমোদন : কুড়িগ্রামের চিলমারী এলাকায় (রমনা, জোড়গাছ, রাজিবপুর, রৌমারী, নয়ারহাট) নদীবন্দর নির্মাণ’ প্রকল্পসহ ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এসব প্রকল্পে ব্যয় হবে ৬ হাজার ৬৫১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। তার মধ্যে সরকার দেবে ৫ হাজার ২১৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এছাড়া সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৭৯৮ কোটি ৩ লাখ টাকা এবং বিদেশি ঋণ ৬৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। বৈঠকে আগারগাঁওয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। একনেকে অনুমোদন হওয়া প্রকল্পগুলো হচ্ছে- ‘বরিশাল (দিনেরারপুল) লক্ষ্মীপাশা-দুমকি সড়কের (জেড-৮০৪৪) ২৭তম কিলোমিটারে পান্ডব-পায়রা নদীর ওপর নলুয়া-বাহেরচর সেতু নির্মাণ’ প্রকল্প। ‘মধুপুর-ময়মনসিংহ জাতীয় মহাসড়ক (এন-৪০১) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প। ‘চিলমারী এলাকায় (রমনা, জোড়গাছ, রাজিবপুর, রৌমারী, নয়ারহাট) নদী বন্দর নির্মাণ’ প্রকল্প। প্রকল্পটি ২৩৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা খরচে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে। ‘বিপিএটিসি’র প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প। ‘বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্সের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্প।
এছাড়া ‘সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলাধীন ব্রাহ্মণগ্রাম-হাটপাঁচিল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় যমুনা নদীর ডানতীর সংরক্ষণ এবং বেতিল স্পার-১ ও এনায়েতপুর স্পার-২ শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প। ‘ঠাকুরগাঁও জেলার টাঙ্গন ব্যারেজ, বুড়ি বাঁধ ও ভুল্লি বাঁধ সেচ প্রকল্পসমূহ পুনর্বাসন, নদীতীর সংরক্ষণ ও সম্মিলিত পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্প। ‘জীব প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষিবীজ উন্নয়ন ও বর্ধিতকরণ’ প্রকল্প। ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে ধান শুকানো, সংরক্ষণ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ আধুনিক ধানের সাইলো নির্মাণ (প্রথম ৩০টি সাইলো নির্মাণ পাইলট প্রকল্প)। ‘বাখরাবাদ- মেঘনাঘাট- হরিপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ’ প্রকল্প।
দক্ষিণাঞ্চলে বেশি করে সাইলো নির্মাণের নির্দেশ : দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বেশি করে সাইলো নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এমন নির্দেশনা দেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দক্ষিণাঞ্চলে যেন বেশি করে সাইলো করা হয়। ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা– এসব জায়গায়। এসব জায়গায় প্রচুর ধান হয়, সুতরাং সাইলো যেন নির্মাণ করা হয়।’ প্রধানমন্ত্রীর আরও নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘স্লুইচ গেট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আপত্তি আছে। স্লুইচ গেট নিয়ে আমাদের খরচ হয়, পরে সেটা কাজে লাগে না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটা ঠিক না। মূলকথা হলো পানির প্রবাহে অস্বাভাবিক কোনো বাধা সৃষ্টি করবেন না।’ মন্ত্রী বলেন, ‘টিস্যু কালচার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অনেকক্ষণ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, আরও টিস্যু কালচারে আমাদের যেতে হবে। কৃষিমন্ত্রী জানালেন যে, আমরা আরও বীজে টিস্যু কালচার করে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আগে প্রায় পুরোটা আনতে (আমদানি) হতো।’ এম এ মান্নান বলেন, ‘আলু রফতানির জন্য চেষ্টা করতে হবে। কারণ এটা নিয়ে কথা উঠেছিল যে, আমরা আমরা আলু রফতানি শুরু করেছিলাম। আলুতে সমস্যা হওয়ার কারণে বিদেশিরা কিনতে চায় নাই।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

একনেকে প্রধানমন্ত্রী গাইলেন ‘হাঁকাও গাড়ি ভাই চিলমারী বন্দর’

আপডেট সময় : ০২:০২:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : এক সময় ভারত উপমহাদেশে কুড়িগ্রামের চিলমারী বিখ্যাত ছিল বন্দরের জন্য। সেটি এখন ইতিহাস। সেই ইতিহাস আবার গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী চিলমারী বন্দর উজ্জীবনের সুরই যেন তুলেছেন। সভায় এ-সংক্রান্ত প্রকল্প নিয়ে আলোচনার সময় ছন্দতালে তিনি বলে ওঠেন, ‘হাঁকাও গাড়ি ভাই চিলমারী বন্দর’।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় এই দৃশ্য তৈরি হয় বলে তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘চিলমারী কিন্তু একসময় বিখ্যাত বন্দর ছিল। দেশভাগের পর আসামের সঙ্গে যোগাযোগে ছেদ পড়ায় এর গুরুত্ব কমে যায়। এখন যেহেতু আমরা প্রতিবেশী ভারতসহ আঞ্চলিক ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াচ্ছি, তাই চিলমারী বন্দরটা আবার আগের জায়গায় যাবে।’ মন্ত্রী বলেন, চিলমারী বন্দর নিয়ে এই আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী গেয়ে ওঠেন, ‘হাঁকাও গাড়ি ভাই চিলমারী বন্দর।’ জানা গেছে, ২৩৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার ‘চিলমারী এলাকায় নদীবন্দর নির্মাণ’ প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের।
৬৬৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে একনেকে ১০ প্রকল্প অনুমোদন : কুড়িগ্রামের চিলমারী এলাকায় (রমনা, জোড়গাছ, রাজিবপুর, রৌমারী, নয়ারহাট) নদীবন্দর নির্মাণ’ প্রকল্পসহ ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এসব প্রকল্পে ব্যয় হবে ৬ হাজার ৬৫১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। তার মধ্যে সরকার দেবে ৫ হাজার ২১৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এছাড়া সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৭৯৮ কোটি ৩ লাখ টাকা এবং বিদেশি ঋণ ৬৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। বৈঠকে আগারগাঁওয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। একনেকে অনুমোদন হওয়া প্রকল্পগুলো হচ্ছে- ‘বরিশাল (দিনেরারপুল) লক্ষ্মীপাশা-দুমকি সড়কের (জেড-৮০৪৪) ২৭তম কিলোমিটারে পান্ডব-পায়রা নদীর ওপর নলুয়া-বাহেরচর সেতু নির্মাণ’ প্রকল্প। ‘মধুপুর-ময়মনসিংহ জাতীয় মহাসড়ক (এন-৪০১) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প। ‘চিলমারী এলাকায় (রমনা, জোড়গাছ, রাজিবপুর, রৌমারী, নয়ারহাট) নদী বন্দর নির্মাণ’ প্রকল্প। প্রকল্পটি ২৩৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা খরচে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে। ‘বিপিএটিসি’র প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প। ‘বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্সের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্প।
এছাড়া ‘সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলাধীন ব্রাহ্মণগ্রাম-হাটপাঁচিল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় যমুনা নদীর ডানতীর সংরক্ষণ এবং বেতিল স্পার-১ ও এনায়েতপুর স্পার-২ শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প। ‘ঠাকুরগাঁও জেলার টাঙ্গন ব্যারেজ, বুড়ি বাঁধ ও ভুল্লি বাঁধ সেচ প্রকল্পসমূহ পুনর্বাসন, নদীতীর সংরক্ষণ ও সম্মিলিত পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্প। ‘জীব প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষিবীজ উন্নয়ন ও বর্ধিতকরণ’ প্রকল্প। ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে ধান শুকানো, সংরক্ষণ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ আধুনিক ধানের সাইলো নির্মাণ (প্রথম ৩০টি সাইলো নির্মাণ পাইলট প্রকল্প)। ‘বাখরাবাদ- মেঘনাঘাট- হরিপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ’ প্রকল্প।
দক্ষিণাঞ্চলে বেশি করে সাইলো নির্মাণের নির্দেশ : দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বেশি করে সাইলো নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এমন নির্দেশনা দেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দক্ষিণাঞ্চলে যেন বেশি করে সাইলো করা হয়। ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা– এসব জায়গায়। এসব জায়গায় প্রচুর ধান হয়, সুতরাং সাইলো যেন নির্মাণ করা হয়।’ প্রধানমন্ত্রীর আরও নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘স্লুইচ গেট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আপত্তি আছে। স্লুইচ গেট নিয়ে আমাদের খরচ হয়, পরে সেটা কাজে লাগে না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটা ঠিক না। মূলকথা হলো পানির প্রবাহে অস্বাভাবিক কোনো বাধা সৃষ্টি করবেন না।’ মন্ত্রী বলেন, ‘টিস্যু কালচার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অনেকক্ষণ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, আরও টিস্যু কালচারে আমাদের যেতে হবে। কৃষিমন্ত্রী জানালেন যে, আমরা আরও বীজে টিস্যু কালচার করে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আগে প্রায় পুরোটা আনতে (আমদানি) হতো।’ এম এ মান্নান বলেন, ‘আলু রফতানির জন্য চেষ্টা করতে হবে। কারণ এটা নিয়ে কথা উঠেছিল যে, আমরা আমরা আলু রফতানি শুরু করেছিলাম। আলুতে সমস্যা হওয়ার কারণে বিদেশিরা কিনতে চায় নাই।’