ক্রীড়া ডেস্ক : ইংল্যান্ড সফরে রীতিমতো তৃতীয় সারির এক দলের কাছে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে পাকিস্তান। করোনাভাইরাসের সতর্কতায় ইংল্যান্ডের মূল দলের সবাই ছিল আইসোলেশনে। বেন স্টোকসের নেতৃত্বে এক ঝাঁক নতুন খেলোয়াড়দের নিয়ে সিরিজটি খেলেছে ইংলিশরা। তবুও কি না একটি ম্যাচও জিততে পারেনি পাকিস্তান। প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে অসহায় আত্মসমর্পনের পর শেষ ম্যাচে বাবর আজমের ক্যারিয়ার সেরা ১৫৮ রানের ইনিংসে ভর করে ৩৩১ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। কিন্তু সেই ম্যাচও জিততে পারেনি দলটি। একদিন ব্যাটিং আর অন্যদিন বাজে বোলিং-ফিল্ডিংয়ের কারণে ম্যাচ হেরে কোনো ব্যাখ্যাই খুঁজে পাচ্ছেন পাকিস্তানের হেড কোচ মিসবাহ উল হক। সামগ্রিকভাবে দলের এমন প্রদর্শনীকে বাজে পারফরম্যান্স হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অসহায় মিসবাহর ভাষ্য, ‘এমন পারফরম্যান্সের পে আপনি কখনও সাফাই গাইতে পারবেন না। এটা খুব বাজে ও হতাশাজনক ছিল। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে আমরা কন্ডিশন সামাল দিতে পারিনি। শেষ ম্যাচে ব্যাটিং ভালো হলো, বড় সংগ্রহ পেলাম। কিন্তু এবার বোলিং-ফিল্ডিং হতাশাজনক। পুরো সিরিজজুড়েই এটি ভুগিয়েছে।’ ইংল্যান্ডের মাটিতে পাকিস্তানের সবশেষ সিরিজ জয় প্রায় ৪৭ বছর আগে। ১৯৭৪ সালের সফরে ওয়ানডে সিরিজ জিতে ফিরেছিল তারা। এবার খর্বশক্তির ইংল্যান্ডের বিপে সুবর্ণ সুযোগ ছিল বাবর আজমের দলের সামনে। কিন্তু ৯ জন নতুন মুখ দিয়ে সাজানো দলের সঙ্গেও পেরে ওঠেনি পাকিস্তান।
অথচ ইংল্যান্ড সফরের সফরের জন্য পূর্ণশক্তির দল নিয়েই এসেছে ৯২’র বিশ্বজয়ীরা। কিন্তু তিন ম্যাচই হেরে এখন ওয়ানডে বিশ্বকাপের সুপার লিগে বড় ধাক্কা খেল তারা। বর্তমানে ৯ ম্যাচে ৪ জয়ে তাদের রয়েছে ৪০ পয়েন্ট। অন্যদিকে ১৫ ম্যাচে ৯৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ইংল্যান্ড। এদিকে ইংল্যান্ডের কাছে ধবলধোলাই হলেও, এর আগে সবশেষ তিন ওয়ানডে সিরিজেই জিতেছিল পাকিস্তান। প্রথমে শ্রীলঙ্কা, পরে জিম্বাবুয়ে ও দণি আফ্রিকাকে ওয়ানডে সিরিজে পরাজিত করে তারা। সেগুলো থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দিকে তাকিয়ে পাকিস্তান কোচ। ওয়ানডে সিরিজ শেষে শুক্রবার থেকে হওয়ার কথা রয়েছে টি-টোয়েন্টি সিরিজের খেলা। প্রথম ম্যাচ নটিংহ্যামশায়ারে। এরপর ১৮ জুলাই লিডস ও ২০ জুলাই ম্যানচেস্টারে হবে সিরিজের শেষ ম্যাচ।
একদিন ব্যাটিং খারাপ, আরেকদিন বোলিং-ফিল্ডিং : অসহায় মিসবাহ
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ