ঢাকা ০৭:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

একদিনে সর্বোচ্চ ৬৩৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি

  • আপডেট সময় : ০২:২৬:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০২২
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে একদিনে ৬৩৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চলতি বছরে একদিনে হাসপাতালে ভর্তি এ-সংক্রান্ত রোগী সংখ্যার দিক থেকে এটাই সর্বোচ্চ। এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর সারা দেশে সর্বোচ্চ ৫২৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। গণমাধ্যমে পাঠানো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ ডেঙ্গু পরিস্থিতির এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার সকাল আটটা থেকে গতকাল শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত ঢাকায় ৫১৮ জন এবং সারা দেশে ১১৭ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হলো ৫৬ জন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে ২ হাজার ১৫৮ জন। এর মধ্যে ঢাকার ৫০টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে ১ হাজার ৬৫৮ জন, দেশের বিভিন্ন সরকারি জেলা ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে ৫০০ জন। গত সেপ্টেম্বর মাসে দেশে সর্বমোট ৯ হাজার ৯১১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। মারা গেছে ৩৪ জন রোগী। সব মিলিয়ে গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত (১ অক্টোবর) দেশে ১৬ হাজার ৭২৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে ১৪ হাজার ৫১৩ জন রোগী। দেশের ৫০টি জেলাতেই এ বছর ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলা কক্সবাজারে। এ জেলায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ১৮৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি আছে ৭৮ জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছে ১ হাজার ৯০ জন আর মারা গেছে ১৮ জন।
দুই দশকের বেশি সময় ধরে ডেঙ্গু বাংলাদেশে বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে আছে। ২০০০ সালের পর থেকে প্রতিবছর বহু মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে, মানুষ মারাও যাচ্ছে। করোনা মহামারি শুরুর বছর ২০২০ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা কম ছিল। কিন্তু গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৮ হাজার ৪২৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। এর মধ্যে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়।
করোনা মহামারি শুরুর আগে ২০১৯ সালে এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিল।
প্রতিবছরের মতো এ বছর বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখা রাজধানীতে মশা জরিপ করেছিল। জরিপের ফলাফলে বলা হয়েছিল, গত বছরের চেয়ে এ বছর একই সময়ে রাজধানীতে এডিস মশার লার্ভা বেশি দেখা গেছে। এরপর কীটতত্ত্ববিদ ও জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলেছিলেন, এ বছর বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হওয়ার ঝুঁকি আছে। তাঁরা এ-ও বলেছিলেন যে বৃষ্টি যদি থেমে থেমে হয়; অর্থাৎ এক দিন বৃষ্টির পর কয়েক দিন হলো না, আবার এক দিন হলো, তাহলে মশা বাড়বে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

একদিনে সর্বোচ্চ ৬৩৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি

আপডেট সময় : ০২:২৬:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে একদিনে ৬৩৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চলতি বছরে একদিনে হাসপাতালে ভর্তি এ-সংক্রান্ত রোগী সংখ্যার দিক থেকে এটাই সর্বোচ্চ। এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর সারা দেশে সর্বোচ্চ ৫২৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। গণমাধ্যমে পাঠানো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ ডেঙ্গু পরিস্থিতির এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার সকাল আটটা থেকে গতকাল শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত ঢাকায় ৫১৮ জন এবং সারা দেশে ১১৭ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হলো ৫৬ জন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে ২ হাজার ১৫৮ জন। এর মধ্যে ঢাকার ৫০টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে ১ হাজার ৬৫৮ জন, দেশের বিভিন্ন সরকারি জেলা ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে ৫০০ জন। গত সেপ্টেম্বর মাসে দেশে সর্বমোট ৯ হাজার ৯১১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। মারা গেছে ৩৪ জন রোগী। সব মিলিয়ে গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত (১ অক্টোবর) দেশে ১৬ হাজার ৭২৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে ১৪ হাজার ৫১৩ জন রোগী। দেশের ৫০টি জেলাতেই এ বছর ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলা কক্সবাজারে। এ জেলায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ১৮৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি আছে ৭৮ জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছে ১ হাজার ৯০ জন আর মারা গেছে ১৮ জন।
দুই দশকের বেশি সময় ধরে ডেঙ্গু বাংলাদেশে বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে আছে। ২০০০ সালের পর থেকে প্রতিবছর বহু মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে, মানুষ মারাও যাচ্ছে। করোনা মহামারি শুরুর বছর ২০২০ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা কম ছিল। কিন্তু গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৮ হাজার ৪২৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। এর মধ্যে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়।
করোনা মহামারি শুরুর আগে ২০১৯ সালে এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিল।
প্রতিবছরের মতো এ বছর বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখা রাজধানীতে মশা জরিপ করেছিল। জরিপের ফলাফলে বলা হয়েছিল, গত বছরের চেয়ে এ বছর একই সময়ে রাজধানীতে এডিস মশার লার্ভা বেশি দেখা গেছে। এরপর কীটতত্ত্ববিদ ও জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলেছিলেন, এ বছর বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হওয়ার ঝুঁকি আছে। তাঁরা এ-ও বলেছিলেন যে বৃষ্টি যদি থেমে থেমে হয়; অর্থাৎ এক দিন বৃষ্টির পর কয়েক দিন হলো না, আবার এক দিন হলো, তাহলে মশা বাড়বে।