ঢাকা ০৮:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

একটি ফোনকলেই থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার যুদ্ধ থামানো সম্ভব: ট্রাম্প

  • আপডেট সময় : ০৫:২২:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্ত সংঘাত তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে। দুই দিনের লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৩ জন মারা গেছে এবং আহত হয়েছে আরও কয়েক ডজন। উত্তেজনা বাড়তে থাকায় দুই দেশই সীমান্ত এলাকা থেকে লাখো মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে।

এ অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তিনি দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সংঘাত থামানোর চেষ্টা করবেন। জুলাইয়ে দুই দেশের পাঁচ দিনের সংঘাতের পর যে যুদ্ধবিরতি হয়েছিল, সেটিতে ট্রাম্পের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।

তবে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তারা এখনই আলোচনায় আগ্রহী নন এবং পরিস্থিতি তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা প্রয়োজন এমন পর্যায়ে যায়নি। বিপরীতে, কম্বোডিয়ার পক্ষ বলছে তারা ‘যেকোনো সময় আলোচনায় প্রস্তুত’।

ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি আগেও ভারত-পাকিস্তান, ইরান-ইসরায়েলের মতো কয়েকটি সংঘাত কমাতে ভূমিকা রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘হয়তো একটি ফোন কলেই থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার যুদ্ধ থামানো সম্ভব।’

জুলাইয়ের সংঘাতে কমপক্ষে ৪৮ জন নিহত হয়েছিল। তখন ট্রাম্প বাণিজ্যনীতি চাপ হিসেবে ব্যবহার করে দুই দেশকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করিয়েছিলেন। এবার থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবারও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘শুল্ক চাপ দিয়ে আলোচনায় বসানো উচিত হবে না।’

গত অক্টোবর ট্রাম্পের উপস্থিতিতে দুই পক্ষ সীমান্তে উত্তেজনা কমানোর বিষয়ে কয়েকটি পদক্ষেপে একমত হয়েছিল। কিন্তু গত মাসে একটি মাইন বিস্ফোরণে এক থাই সেনার অঙ্গহানি হলে থাইল্যান্ড সেই সমঝোতা থেকে সরে আসে। থাইল্যান্ড বলছে, মাইনটি কম্বোডিয়া নতুন করে বসিয়েছে। কম্বোডিয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

চলতি সপ্তাহে সংঘাত শুরু হওয়ার পর কম্বোডিয়া জানিয়েছে, থাই হামলায় অন্তত ৯ বেসামরিক নিহত এবং ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছে। অপরদিকে, থাই পক্ষ বলছে তাদের ৪ সেনা নিহত এবং ৬৮ জন আহত হয়েছে।

ওআ/আপ্র/১০/১২/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

একটি ফোনকলেই থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার যুদ্ধ থামানো সম্ভব: ট্রাম্প

আপডেট সময় : ০৫:২২:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্ত সংঘাত তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে। দুই দিনের লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৩ জন মারা গেছে এবং আহত হয়েছে আরও কয়েক ডজন। উত্তেজনা বাড়তে থাকায় দুই দেশই সীমান্ত এলাকা থেকে লাখো মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে।

এ অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তিনি দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সংঘাত থামানোর চেষ্টা করবেন। জুলাইয়ে দুই দেশের পাঁচ দিনের সংঘাতের পর যে যুদ্ধবিরতি হয়েছিল, সেটিতে ট্রাম্পের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।

তবে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তারা এখনই আলোচনায় আগ্রহী নন এবং পরিস্থিতি তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা প্রয়োজন এমন পর্যায়ে যায়নি। বিপরীতে, কম্বোডিয়ার পক্ষ বলছে তারা ‘যেকোনো সময় আলোচনায় প্রস্তুত’।

ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি আগেও ভারত-পাকিস্তান, ইরান-ইসরায়েলের মতো কয়েকটি সংঘাত কমাতে ভূমিকা রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘হয়তো একটি ফোন কলেই থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার যুদ্ধ থামানো সম্ভব।’

জুলাইয়ের সংঘাতে কমপক্ষে ৪৮ জন নিহত হয়েছিল। তখন ট্রাম্প বাণিজ্যনীতি চাপ হিসেবে ব্যবহার করে দুই দেশকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করিয়েছিলেন। এবার থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবারও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘শুল্ক চাপ দিয়ে আলোচনায় বসানো উচিত হবে না।’

গত অক্টোবর ট্রাম্পের উপস্থিতিতে দুই পক্ষ সীমান্তে উত্তেজনা কমানোর বিষয়ে কয়েকটি পদক্ষেপে একমত হয়েছিল। কিন্তু গত মাসে একটি মাইন বিস্ফোরণে এক থাই সেনার অঙ্গহানি হলে থাইল্যান্ড সেই সমঝোতা থেকে সরে আসে। থাইল্যান্ড বলছে, মাইনটি কম্বোডিয়া নতুন করে বসিয়েছে। কম্বোডিয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

চলতি সপ্তাহে সংঘাত শুরু হওয়ার পর কম্বোডিয়া জানিয়েছে, থাই হামলায় অন্তত ৯ বেসামরিক নিহত এবং ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছে। অপরদিকে, থাই পক্ষ বলছে তাদের ৪ সেনা নিহত এবং ৬৮ জন আহত হয়েছে।

ওআ/আপ্র/১০/১২/২০২৫