ঢাকা ০৩:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

একক মাসে রপ্তানিতে রেকর্ড, অক্টোবরের আয় ৪৭৩ কোটি ডলার

  • আপডেট সময় : ০১:৪৮:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর ২০২১
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : কোভিড মহামারীর জড়তা কাটিয়ে একক মাসে রেকর্ড পরিমাণ রপ্তানি আয় দেশে এসেছে; এতে ক্রমে অর্থবছরের শুরুর দিকের খারাপ অবস্থা কাটিয়ে চাঙ্গা হয়ে উঠছে রপ্তানি খাত। অক্টোবর মাসে ৪৭২ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার ডলার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এক মাসে এত বেশি রপ্তানি আয় আর কখনও দেশে আসেনি, যাকে একক মাসে রেকর্ড আয় বলছেন রপ্তানিকারকরা।
রপ্তানির এই খবর শুনে বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম একটি সংবাদসংস্থাকে বলেন, এটা বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড। পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধির ওপর ভর করে সার্বিক রপ্তানির চিত্রটি দাঁড়িয়েছে।
“পোশাকের আন্তর্জাতিক বাজার চাঙ্গা হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশে পোশাকের অর্ডারও অনেক বেড়েছে। আগামী কয়েক মাস পোশাকের রপ্তানি চিত্র ভালো থাকবে বলেই মনে হচ্ছে।“
ইপিবির তথ্য বলছে, সবশেষ মাস অক্টোবরে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধিও হয়েছে অনেক বেশি, আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি আয় বেড়েছে ৬০ শতাংশের বেশি। এর আগের মাস সেপ্টেম্বরেও একক মাসে রেকর্ড পরিমাণ ৪১৬ কোটি ৫৪ লাখ ডলার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল, প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৩৮ শতাংশ।
গতকাল মঙ্গলবার ইপিবি থেকে প্রকাশিত রপ্তানি তথ্যে দেখা যায়, একক মাস হিসাবে সদ্য সমাপ্ত অক্টোবর মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬০ দশমিক ৩৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর ফলে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাস শেষে রপ্তানি আয়ে ২২ দশমিক ৬২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রপ্তানি আয় আগের বছরের চেয়ে ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ পিছিয়ে ছিল। অগাস্টে একক মাস হিসেবে প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ হলেও সার্বিক রপ্তানি নেতিবাচক ধারা থেকে বের হতে পারেনি।
সেপ্টেম্বরে এসে রপ্তানি আয় ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ এগিয়ে গেল। আর অক্টোবর মাসে প্রবৃদ্ধির সূচক দ্বিগুণ হলো। বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধিতে সম্প্রতি সুতার মূল্য বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে উল্লেখ করে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ইয়ার্নের মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে প্রায় ৪০ শতাংশ। এর সঙ্গে সমন্বয় করতে হলে পোশাকের মূল্যও অন্তত ২০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার কথা। সেই পরিমাণ না বাড়লেও কিছুটা বেড়েছে। চীন ও ভিয়েতনাম ‘কিছু বিপদের’ মধ্যে আছে উল্লেখ করে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, সেখান থেকে কিছু অর্ডার বাংলাদেশে স্থানান্তরিত হতে শুরু করেছে। সরকার চাইলে যথাযথ নীতি সহায়তা দিয়ে এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রপ্তানি পরিস্থিতির স্থানীয় উন্নতি ঘটতে পারে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

একক মাসে রপ্তানিতে রেকর্ড, অক্টোবরের আয় ৪৭৩ কোটি ডলার

আপডেট সময় : ০১:৪৮:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : কোভিড মহামারীর জড়তা কাটিয়ে একক মাসে রেকর্ড পরিমাণ রপ্তানি আয় দেশে এসেছে; এতে ক্রমে অর্থবছরের শুরুর দিকের খারাপ অবস্থা কাটিয়ে চাঙ্গা হয়ে উঠছে রপ্তানি খাত। অক্টোবর মাসে ৪৭২ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার ডলার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এক মাসে এত বেশি রপ্তানি আয় আর কখনও দেশে আসেনি, যাকে একক মাসে রেকর্ড আয় বলছেন রপ্তানিকারকরা।
রপ্তানির এই খবর শুনে বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম একটি সংবাদসংস্থাকে বলেন, এটা বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড। পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধির ওপর ভর করে সার্বিক রপ্তানির চিত্রটি দাঁড়িয়েছে।
“পোশাকের আন্তর্জাতিক বাজার চাঙ্গা হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশে পোশাকের অর্ডারও অনেক বেড়েছে। আগামী কয়েক মাস পোশাকের রপ্তানি চিত্র ভালো থাকবে বলেই মনে হচ্ছে।“
ইপিবির তথ্য বলছে, সবশেষ মাস অক্টোবরে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধিও হয়েছে অনেক বেশি, আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি আয় বেড়েছে ৬০ শতাংশের বেশি। এর আগের মাস সেপ্টেম্বরেও একক মাসে রেকর্ড পরিমাণ ৪১৬ কোটি ৫৪ লাখ ডলার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল, প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৩৮ শতাংশ।
গতকাল মঙ্গলবার ইপিবি থেকে প্রকাশিত রপ্তানি তথ্যে দেখা যায়, একক মাস হিসাবে সদ্য সমাপ্ত অক্টোবর মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬০ দশমিক ৩৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর ফলে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাস শেষে রপ্তানি আয়ে ২২ দশমিক ৬২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রপ্তানি আয় আগের বছরের চেয়ে ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ পিছিয়ে ছিল। অগাস্টে একক মাস হিসেবে প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ হলেও সার্বিক রপ্তানি নেতিবাচক ধারা থেকে বের হতে পারেনি।
সেপ্টেম্বরে এসে রপ্তানি আয় ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ এগিয়ে গেল। আর অক্টোবর মাসে প্রবৃদ্ধির সূচক দ্বিগুণ হলো। বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধিতে সম্প্রতি সুতার মূল্য বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে উল্লেখ করে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ইয়ার্নের মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে প্রায় ৪০ শতাংশ। এর সঙ্গে সমন্বয় করতে হলে পোশাকের মূল্যও অন্তত ২০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার কথা। সেই পরিমাণ না বাড়লেও কিছুটা বেড়েছে। চীন ও ভিয়েতনাম ‘কিছু বিপদের’ মধ্যে আছে উল্লেখ করে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, সেখান থেকে কিছু অর্ডার বাংলাদেশে স্থানান্তরিত হতে শুরু করেছে। সরকার চাইলে যথাযথ নীতি সহায়তা দিয়ে এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রপ্তানি পরিস্থিতির স্থানীয় উন্নতি ঘটতে পারে।