ঢাকা ০৩:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

একই ম্যাচে স্বেচ্ছায় আউট হলেন দুজন

  • আপডেট সময় : ১১:০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০২২
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : আইপিএলে রবিচন্দ্রন অশ্বিন যে কৌশলকে আলোচনায় তুলে আনলেন, সেটির প্রয়োগ এবার এক ম্যাচেই দেখা গেল দুইবার। ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে আগে কখনোই ইচ্ছে করে আউট হওয়ার ঘটনা দেখা যায়নি। এবার এক ম্যাচেই ‘রিটায়ার্ড আউট’ দেখা গেল দুটি! ভাইটালিটি ব্লাস্ট টি-টোয়েন্টিতে রোববার বার্মিংহাম বিয়ার্সের ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও নটিংহ্যামশায়ারের সামিত প্যাটেল স্বেচ্ছায় আউট হওয়ার কৌশল বেছে নেন। এজবাস্টনে বৃষ্টিবিঘিœত ম্যাচটি নেমে আসে ৮ ওভারে। সপ্তম ওভারের শেষ বলটিতে জেইক বলকে ছক্কায় ওড়ান ব্র্যাথওয়েট। তার পরও শেষ ওভারের আগে ক্রিজ ছেড়ে বাইরে চলে যান বার্মিংহাম অধিনায়ক। যেটির কারণ নিঃসন্দেহে, শেষ ওভারের বোলার। নটিংহ্যামশায়ারের হয়ে শেষ ওভারটি করতে আসেন ক্যালভিন হ্যারিসন, যিনি লেগ স্পিনার। লেগ স্পিনের বিপক্ষে নিজের ভোগান্তির কথা তখন নিশ্চয়ই মাথায় আসে ব্র্যাথওয়েটের। ২০২০ সালের শুরু থেকে টি-টোয়েন্টিতে লেগ স্পিনে ৯৮ বল খেলে তার রান ৬৭, আউট হয়েছেন ৮ বার। এই ম্যাচেই ষষ্ঠ ওভারে হ্যারিসনের ওভার থেকে ব্র্যাথওয়েট স্রেফ ৬ রান নিতে পারেন, যার চারটি ছিল ডট বল। এর মধ্যে তিন বার পরাস্ত হন অফ স্টাম্পের বাইরে। ১১ বলে ১৭ রান নিলেও তাই শেষ ওভারে লেগ স্পিনার হ্যারিসনকে দেখে বাইরে চলে যান ব্র্যাথওয়েট। উইকেটে আসেন স্যাম হেইন, লেগ স্পিনের বিপক্ষে ২০২০ সালের শুরু থেকে এই পর্যন্ত যার গড় ৫৭.৫০ ও স্ট্রাইক রেট ১৩৫.২৯। শেষ ওভারে অবশ্য শেষ পর্যন্ত স্ট্রাইকই পাননি হেইন। তবে বার্মিংহামের মূল লক্ষ্য পূরণ হয়। অন্য প্রান্তে অ্যালেক্স ডেভিসের ঝড়ে শেষ ওভার থেকে আসে ১৮ রান। ৮ ওভারে বার্মিংহাম তোলে ৯৮ রান।
সেই রান তাড়ায় শেষ ওভারে নটিংহ্যামশায়ারের প্রয়োজন পড়ে ১৫ রান। সেই সমীকরণ পরে দাঁড়ায় শেষ বলে ৬ রানে। স্ট্রাইকে ছিলেন সামিত প্যাটেল। শেষ বলটিতে ‘হাই ফুল টস’ করেন বোলার ক্রেইগ মাইলস, প্যাটেল নিতে পারেন কেবল সিঙ্গেল। বার্মিংহামের ক্রিকেটাররা উদযাপন করতে শুরু করেন, কিন্তু খানিক পরই তাকিয়ে দেখেন, আম্পায়ার এক হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে আছেন, ‘নো বল!’ ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টির নিয়মে ‘নো বলের’ জন্য রান হয় ২। ওই বলে তাই রান হয় ৩, শেষ বলে দরকার পড়ে ৩ রানের। শেষ বলের আগে ক্রিজ ছেড়ে বাইরে চলে যান সামিত। ৩৭ বছর বয়সী ও অপেক্ষাকৃত ভারী শরীরের সামিতের স্বেচ্ছায় আউটের কারণটা পরিষ্কার, দ্রুত দৌড়ানোর মতো একজনকে সুযোগ দেওয়া। উইকেটে যান ক্যালভিন হ্যারিসন। শেষ বলে অবশ্য ১ রানের বেশি নিতে পারেনি নটিংহ্যামশায়ার। বার্মিংহাম জিতে যায় ১ রানেই। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে স্বেচ্ছায় আউটের পঞ্চম ও ষষ্ঠ ঘটনা এটি। তবে গত আইপিএলে অশ্বিনের আউট দিয়েই মূলত এটি আলোচনার ঝড় তোলে। অশ্বিনসহ অনেক বিশেষজ্ঞই তখন বলেছিলেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই ধরনের ট্যাকটিকাল আউট সামনে আরও অনেক দেখা যাবে। সেটির প্রতিফলনই যেন পড়তে শুরু করেছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

একই ম্যাচে স্বেচ্ছায় আউট হলেন দুজন

আপডেট সময় : ১১:০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : আইপিএলে রবিচন্দ্রন অশ্বিন যে কৌশলকে আলোচনায় তুলে আনলেন, সেটির প্রয়োগ এবার এক ম্যাচেই দেখা গেল দুইবার। ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে আগে কখনোই ইচ্ছে করে আউট হওয়ার ঘটনা দেখা যায়নি। এবার এক ম্যাচেই ‘রিটায়ার্ড আউট’ দেখা গেল দুটি! ভাইটালিটি ব্লাস্ট টি-টোয়েন্টিতে রোববার বার্মিংহাম বিয়ার্সের ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও নটিংহ্যামশায়ারের সামিত প্যাটেল স্বেচ্ছায় আউট হওয়ার কৌশল বেছে নেন। এজবাস্টনে বৃষ্টিবিঘিœত ম্যাচটি নেমে আসে ৮ ওভারে। সপ্তম ওভারের শেষ বলটিতে জেইক বলকে ছক্কায় ওড়ান ব্র্যাথওয়েট। তার পরও শেষ ওভারের আগে ক্রিজ ছেড়ে বাইরে চলে যান বার্মিংহাম অধিনায়ক। যেটির কারণ নিঃসন্দেহে, শেষ ওভারের বোলার। নটিংহ্যামশায়ারের হয়ে শেষ ওভারটি করতে আসেন ক্যালভিন হ্যারিসন, যিনি লেগ স্পিনার। লেগ স্পিনের বিপক্ষে নিজের ভোগান্তির কথা তখন নিশ্চয়ই মাথায় আসে ব্র্যাথওয়েটের। ২০২০ সালের শুরু থেকে টি-টোয়েন্টিতে লেগ স্পিনে ৯৮ বল খেলে তার রান ৬৭, আউট হয়েছেন ৮ বার। এই ম্যাচেই ষষ্ঠ ওভারে হ্যারিসনের ওভার থেকে ব্র্যাথওয়েট স্রেফ ৬ রান নিতে পারেন, যার চারটি ছিল ডট বল। এর মধ্যে তিন বার পরাস্ত হন অফ স্টাম্পের বাইরে। ১১ বলে ১৭ রান নিলেও তাই শেষ ওভারে লেগ স্পিনার হ্যারিসনকে দেখে বাইরে চলে যান ব্র্যাথওয়েট। উইকেটে আসেন স্যাম হেইন, লেগ স্পিনের বিপক্ষে ২০২০ সালের শুরু থেকে এই পর্যন্ত যার গড় ৫৭.৫০ ও স্ট্রাইক রেট ১৩৫.২৯। শেষ ওভারে অবশ্য শেষ পর্যন্ত স্ট্রাইকই পাননি হেইন। তবে বার্মিংহামের মূল লক্ষ্য পূরণ হয়। অন্য প্রান্তে অ্যালেক্স ডেভিসের ঝড়ে শেষ ওভার থেকে আসে ১৮ রান। ৮ ওভারে বার্মিংহাম তোলে ৯৮ রান।
সেই রান তাড়ায় শেষ ওভারে নটিংহ্যামশায়ারের প্রয়োজন পড়ে ১৫ রান। সেই সমীকরণ পরে দাঁড়ায় শেষ বলে ৬ রানে। স্ট্রাইকে ছিলেন সামিত প্যাটেল। শেষ বলটিতে ‘হাই ফুল টস’ করেন বোলার ক্রেইগ মাইলস, প্যাটেল নিতে পারেন কেবল সিঙ্গেল। বার্মিংহামের ক্রিকেটাররা উদযাপন করতে শুরু করেন, কিন্তু খানিক পরই তাকিয়ে দেখেন, আম্পায়ার এক হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে আছেন, ‘নো বল!’ ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টির নিয়মে ‘নো বলের’ জন্য রান হয় ২। ওই বলে তাই রান হয় ৩, শেষ বলে দরকার পড়ে ৩ রানের। শেষ বলের আগে ক্রিজ ছেড়ে বাইরে চলে যান সামিত। ৩৭ বছর বয়সী ও অপেক্ষাকৃত ভারী শরীরের সামিতের স্বেচ্ছায় আউটের কারণটা পরিষ্কার, দ্রুত দৌড়ানোর মতো একজনকে সুযোগ দেওয়া। উইকেটে যান ক্যালভিন হ্যারিসন। শেষ বলে অবশ্য ১ রানের বেশি নিতে পারেনি নটিংহ্যামশায়ার। বার্মিংহাম জিতে যায় ১ রানেই। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে স্বেচ্ছায় আউটের পঞ্চম ও ষষ্ঠ ঘটনা এটি। তবে গত আইপিএলে অশ্বিনের আউট দিয়েই মূলত এটি আলোচনার ঝড় তোলে। অশ্বিনসহ অনেক বিশেষজ্ঞই তখন বলেছিলেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই ধরনের ট্যাকটিকাল আউট সামনে আরও অনেক দেখা যাবে। সেটির প্রতিফলনই যেন পড়তে শুরু করেছে।