ঢাকা ০৮:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

একই ঘটনায় দুইবার সাজা, হাইকোর্টের রুল

  • আপডেট সময় : ১২:৫৩:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১১২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : তানজানিয়ার নাগরিকদের কাছ থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি আলাদা যাবজ্জীবন সাজার একটির দ- কেন বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্টদের ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত রোববার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মদ শিশির মনির।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও রিটকারী আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির আদেশ দেওয়ার বিষয়টি জানান।
শিশির মনির জানান, ১৯৯৫ সালে বেনাপোল বন্দরে সাড়ে তিন কেজি ওজনের হেরোইন নিয়ে তানজানিয়ার চার নাগরিক গ্রেপ্তার হন। এই ঘটনায় যশোরের শার্শা থানায় একটি মামলা হয়। তদন্ত শেষে পুলিশ দুটি পৃথক চার্জশিট দেয়। একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে, অপরটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে। এরপর ১৯৯৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দুই মামলায় পৃথকভাবে ঘোষণা করা রায়ে যাবজ্জীবন কারাদ- দেন আদালত।
এরপর ওই দ-ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল আবেদন করেন। ২০০২ সালের ৭ আগস্ট একটি মামলার রায় এবং ২০০৪ সালের ২২ জুন ওই আসামিদের আপিল আবেদনও খারিজ করে রায় দেন। এর ফলে বিচারিক আদালতের রায় বহাল থাকে। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল আবেদন করেন তারা। ওই আপিল তামাদি হওয়ার কারণে শুনানি নিয়ে তা ২০১৮ সালের ৩০ জুন খারিজ করে রায় দেন। এর ফলে তাদের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদ- বহালই থাকে। জানা যায়, তারা গত ২৬ বছর ধরে কারাগারে আছেন। চার আসামির মধ্যে কারাগারে একজন মারা গেছেন এবং তার মরদেহ তানজানিয়ায় পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনার পর দুই আসামি পৃথক পৃথক সাজার ঘটনা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন। রিটে বলা হয়, একই ঘটনায় পৃথক পৃথক দুইবার সাজার রায় ঘোষণা সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৫ এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০৩ ধারা সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারের কিছু সিদ্ধান্ত মানুষের কাজে আসবে না: রাশেদা কে চৌধুরী

একই ঘটনায় দুইবার সাজা, হাইকোর্টের রুল

আপডেট সময় : ১২:৫৩:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : তানজানিয়ার নাগরিকদের কাছ থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি আলাদা যাবজ্জীবন সাজার একটির দ- কেন বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্টদের ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত রোববার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মদ শিশির মনির।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও রিটকারী আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির আদেশ দেওয়ার বিষয়টি জানান।
শিশির মনির জানান, ১৯৯৫ সালে বেনাপোল বন্দরে সাড়ে তিন কেজি ওজনের হেরোইন নিয়ে তানজানিয়ার চার নাগরিক গ্রেপ্তার হন। এই ঘটনায় যশোরের শার্শা থানায় একটি মামলা হয়। তদন্ত শেষে পুলিশ দুটি পৃথক চার্জশিট দেয়। একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে, অপরটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে। এরপর ১৯৯৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দুই মামলায় পৃথকভাবে ঘোষণা করা রায়ে যাবজ্জীবন কারাদ- দেন আদালত।
এরপর ওই দ-ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল আবেদন করেন। ২০০২ সালের ৭ আগস্ট একটি মামলার রায় এবং ২০০৪ সালের ২২ জুন ওই আসামিদের আপিল আবেদনও খারিজ করে রায় দেন। এর ফলে বিচারিক আদালতের রায় বহাল থাকে। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল আবেদন করেন তারা। ওই আপিল তামাদি হওয়ার কারণে শুনানি নিয়ে তা ২০১৮ সালের ৩০ জুন খারিজ করে রায় দেন। এর ফলে তাদের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদ- বহালই থাকে। জানা যায়, তারা গত ২৬ বছর ধরে কারাগারে আছেন। চার আসামির মধ্যে কারাগারে একজন মারা গেছেন এবং তার মরদেহ তানজানিয়ায় পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনার পর দুই আসামি পৃথক পৃথক সাজার ঘটনা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন। রিটে বলা হয়, একই ঘটনায় পৃথক পৃথক দুইবার সাজার রায় ঘোষণা সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৫ এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০৩ ধারা সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন।