ঢাকা ০৪:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

‘একইসঙ্গে আইপিভি-৪ ও ৬ সমর্থিত রাউটার আমদানিতে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে’ : মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

  • আপডেট সময় : ১১:৫৫:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

প্রযক্তি ডেস্ক : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্য সাড়ে ১২ কোটি। ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য নেটওয়ার্কের নিরাপত্তাও অপরিহার্য। এ বিষয়েও আমরা মনোযোগী। এজন্য একইসঙ্গে আইপিভি-৪ ও আইপিভি-৬ সমর্থিত রাউটার আমদানিতে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য আইপিভি-৬ বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধপরিকর।
গত মঙ্গলবার ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অপারেটরস গ্রুপের সম্মেলন (স্যানোগ ৩৯) ও বিডিনগের ১৬তম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি ও বিডিনগ এ আয়োজন করে। দেশব্যাপী ইন্টারনেট ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ অভাবনীয় সফলতা অর্জন করেছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় গত ১৪ বছরে আমরা শুধু ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়কই তৈরি করিনি, ইন্টারনেটের প্রতি এমবিপিএস’র দাম ২৭ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৬০ টাকায় নামিয়ে এনেছি।’ এক দেশ এক রেট নির্ধারণের মাধ্যমে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব-উল-আলম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুর রহিম খান, এপনিক’র মহাপরিচালক পল উইলসন, সেনগ’র চেয়াম্যান রুপেস শ্রেষ্ঠা, বিডিনগ’র সভাপতি রাশেদ আমিন ও আইএসপিএবি’র সভাপতি মো. এমদাদুল হক বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিজিটাল এজ ডিসির হেড অব ইন্টারকানেক্ট ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন রাফেল হো। বাংলাদেশের চার জনসহ ১১ জন নেটওয়ার্ক প্রকৌশলীকে সম্মেলনে দেওয়া হয় ফেলোশিপ। সম্মেলনের অংশ হিসেবে আগামী চার দিন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে চলবে নেটওয়ার্ক প্রকৌশলীদের কর্মশালা। দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি দেশের ৩০০ প্রকৌশলী এতে অংশ নিচ্ছেন। বক্তারা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে বিশ্বে ডিজিটালি শক্তিশালী হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, ‘পাঁচ দিনের এই আয়োজন অংশগ্রহণকারীদের দক্ষতা দ্বিগুণ করবে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের অবদান তুলে ধরে এপনিক মহাসচিব পল উইলসন তার বক্তব্যে আইপিভি ৬ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে কারিগরি সেশনে হারিকেন ইলেকট্রিক’র অনুরাগ ভাটিয়া ওপেন সোর্স সেলফ হোস্টেড ভিপিএন দিয়ে আইপিভি ৬ ডেপ্লয়মেন্টের কৌশল উপস্থাপন করেন।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘একইসঙ্গে আইপিভি-৪ ও ৬ সমর্থিত রাউটার আমদানিতে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে’ : মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

আপডেট সময় : ১১:৫৫:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩

প্রযক্তি ডেস্ক : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্য সাড়ে ১২ কোটি। ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য নেটওয়ার্কের নিরাপত্তাও অপরিহার্য। এ বিষয়েও আমরা মনোযোগী। এজন্য একইসঙ্গে আইপিভি-৪ ও আইপিভি-৬ সমর্থিত রাউটার আমদানিতে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য আইপিভি-৬ বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধপরিকর।
গত মঙ্গলবার ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অপারেটরস গ্রুপের সম্মেলন (স্যানোগ ৩৯) ও বিডিনগের ১৬তম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি ও বিডিনগ এ আয়োজন করে। দেশব্যাপী ইন্টারনেট ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ অভাবনীয় সফলতা অর্জন করেছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় গত ১৪ বছরে আমরা শুধু ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়কই তৈরি করিনি, ইন্টারনেটের প্রতি এমবিপিএস’র দাম ২৭ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৬০ টাকায় নামিয়ে এনেছি।’ এক দেশ এক রেট নির্ধারণের মাধ্যমে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব-উল-আলম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুর রহিম খান, এপনিক’র মহাপরিচালক পল উইলসন, সেনগ’র চেয়াম্যান রুপেস শ্রেষ্ঠা, বিডিনগ’র সভাপতি রাশেদ আমিন ও আইএসপিএবি’র সভাপতি মো. এমদাদুল হক বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিজিটাল এজ ডিসির হেড অব ইন্টারকানেক্ট ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন রাফেল হো। বাংলাদেশের চার জনসহ ১১ জন নেটওয়ার্ক প্রকৌশলীকে সম্মেলনে দেওয়া হয় ফেলোশিপ। সম্মেলনের অংশ হিসেবে আগামী চার দিন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে চলবে নেটওয়ার্ক প্রকৌশলীদের কর্মশালা। দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি দেশের ৩০০ প্রকৌশলী এতে অংশ নিচ্ছেন। বক্তারা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে বিশ্বে ডিজিটালি শক্তিশালী হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, ‘পাঁচ দিনের এই আয়োজন অংশগ্রহণকারীদের দক্ষতা দ্বিগুণ করবে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের অবদান তুলে ধরে এপনিক মহাসচিব পল উইলসন তার বক্তব্যে আইপিভি ৬ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে কারিগরি সেশনে হারিকেন ইলেকট্রিক’র অনুরাগ ভাটিয়া ওপেন সোর্স সেলফ হোস্টেড ভিপিএন দিয়ে আইপিভি ৬ ডেপ্লয়মেন্টের কৌশল উপস্থাপন করেন।