ঢাকা ১১:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

এই বিশ্বকাপ আমাদের জন্য একটি বিশাল সুযোগ : নিগার সুলতানা

  • আপডেট সময় : ১০:০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : প্রথমবারের মতো নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলবে বাংলাদেশ। করোনার হানায় মাঝপথে স্থগিত হওয়া বাছাইপর্ব উতরে তারা মূল পর্বে। আগামী ৪ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত নিউ জিল্যান্ডের ছয়টি ভেন্যুতে লড়বে ৮টি দল। ৫ মার্চ ডুনেডিনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলবে প্রথম ম্যাচ। তারপর নিউ জিল্যঅন্ড, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলবে তারা। শীর্ষ চার দল খেলবে সেমিফাইনাল। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বড় বড় দলগুলোর বিপক্ষে খেলা। তাই বিশ্বকাপকে নিজেদের জন্য বিশাল সুযোগ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা।
এই টুর্নামেন্ট সামনে রেখে আইসিসি প্রত্যেক দেশের অধিনায়ককে কলাম লেখার আমন্ত্রণ জানায়। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) নিজেদের বিশ্বকাপ ভাবনার কথা জানান নিগার।
সেটি ভাষান্তর করা হলো হুবুহু :
আইসিসি নারীদের ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলা আমাদের জন্য দীর্ঘ প্রতিক্ষীত স্বপ্ন পূরণ। তিনটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেললেও আমরা কখনো ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলিনি। তাই আমরা খুব শিহরিত এবং এই বিশাল মঞ্চে আমরা পারফর্ম করতে অধীর। আমরা এই সুযোগের সর্বোচ্চটা ব্যবহার করতে চাই। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া কিংবা নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা কখনো ওয়ানডেতে খেলিনি, তাই এটা হতে যাচ্ছে নতুন অভিজ্ঞতা। আমরা টিভি ও ইন্টারনেটে তাদের অনুসরণ করি, কারণ জানতাম কোনো একদিন তাদের বিপক্ষে আমাদের খেলতে হতে পারে। আমাদের অ্যানালিস্টরা আমাদের প্রস্তুতিতে সহায়তা করতে তাদের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে। ২০১৮ সালে এশিয়া কাপে আমাদের জয়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটের চেহারা পাল্টে গিয়েছে। লোকেরা এখন অনেক আগ্রহ দেখায় কারণ তারা জানে বাংলাদেশের মেয়েদের দলের অস্তিত্ব আছে- তার আগে তো কিছু লোক জানতোই না যে বাংলাদেশের নারী দল বলে কিছু আছে। এখন লোকদের আগ্রহ বাড়ছে এবং তারা জানতে চাই কোথায় ও কীভাবে আমরা খেলতে যাচ্ছি।
গণমাধ্যমের আগ্রহও দেখা যাচ্ছে এবং আমরা যখন বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলাম, পুরো জাতি খুব খুশি হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় অভ্যর্থনা দেখেই সেটা বুঝতে পারবেন। বাংলাদেশ একটি ক্রিকেটপ্রেমী দেশ। এখন মেয়েদের দলের প্রতিও ভালোবাসা দেখা যাচ্ছে। এটি চাপ বাড়ায় কিন্তু এই চাপ ভালো, তাদের জন্য ভালো কিছু করার আকাঙ্ক্ষা অনুভব করি আমরা। এই প্রতিযোগিতা আমাদের জন্য একটি বিশাল সুযোগ কারণ আমরা দেখাতে পারব আমাদের সম্ভাবনা রয়েছে এবং আমরা একটি দল হিসেবে উন্নতি করছি। সেখানে যদি ভালো করি, আরো বেশি দল আমাদের বিপক্ষে খেলতে আগ্রহী হবে, আরো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আমাদের দেশে ফিরবে এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও চেষ্টা করবে ঘরোয়া ম্যাচ বাড়াতে। সেখান থেকে আরো অনেক তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটার খুঁজে পাওয়া যাবে কারণ নতুন খেলোয়াড় আবিষ্কারের জন্য পাইপলাইন দরকার।
অনূর্ধ্ব-১৯, অনূর্ধ্ব-১৭ ও উদীয়মান দলগুলো নিয়ে ক্রিকেট বোর্ড কাজ করছে। অনেক ক্রিকেটার আছে যারা চায় আমরা ভালো করি কারণ তারা জানে আমরা ভালো করলে তারাও সুন্দর ভবিষ্যৎ পাবে। আমাদের বর্তমান দলের দুই ওপেনার মুর্শিদা খাতুন ও শারমিন আক্তার সুপ্তা কোয়ালিফায়ারে ভালো খেলেছিল এবং খুব ভালো অবস্থানে আছে। রুমানা আহমেদ দলের প্রয়োজনে সবসময় এগিয়ে আসে এবং সালমা খাতুন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। বোলিং আক্রমণে আমরা একজন তরুণ ফাস্ট বোলার, সুরাইয়া আজমিনকে যুক্ত করেছি, যাকে এখনো বিশ্ব ক্রিকেট খুব বেশি দেখেনি। এবং ফারিহা তৃষ্ণা বাঁহাতি বোলিংয়ে আছে। আমরা আমাদের দলে তিন জন সাবেক অধিনায়ক- সালমা, রুমানা ও জাহানারা আলমকে পেয়েছি, যারা আমাকে অনেক সহায়তা করছে এবং আমি তাদের সব উপদেশ বোর্ডের কাছে জানাই। ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে বলছি, আমাদের প্রথম বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারা আমার জন্য বিশাল সুযোগ। আমরা যদি সেখানে ভালো করতে পারি, তাহলে এটা হতে যাচ্ছে আমাদের সবার জন্য একটি দারুণ ঐতিহাসিক মুহূর্ত।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

এই বিশ্বকাপ আমাদের জন্য একটি বিশাল সুযোগ : নিগার সুলতানা

আপডেট সময় : ১০:০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : প্রথমবারের মতো নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলবে বাংলাদেশ। করোনার হানায় মাঝপথে স্থগিত হওয়া বাছাইপর্ব উতরে তারা মূল পর্বে। আগামী ৪ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত নিউ জিল্যান্ডের ছয়টি ভেন্যুতে লড়বে ৮টি দল। ৫ মার্চ ডুনেডিনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলবে প্রথম ম্যাচ। তারপর নিউ জিল্যঅন্ড, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলবে তারা। শীর্ষ চার দল খেলবে সেমিফাইনাল। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বড় বড় দলগুলোর বিপক্ষে খেলা। তাই বিশ্বকাপকে নিজেদের জন্য বিশাল সুযোগ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা।
এই টুর্নামেন্ট সামনে রেখে আইসিসি প্রত্যেক দেশের অধিনায়ককে কলাম লেখার আমন্ত্রণ জানায়। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) নিজেদের বিশ্বকাপ ভাবনার কথা জানান নিগার।
সেটি ভাষান্তর করা হলো হুবুহু :
আইসিসি নারীদের ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলা আমাদের জন্য দীর্ঘ প্রতিক্ষীত স্বপ্ন পূরণ। তিনটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেললেও আমরা কখনো ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলিনি। তাই আমরা খুব শিহরিত এবং এই বিশাল মঞ্চে আমরা পারফর্ম করতে অধীর। আমরা এই সুযোগের সর্বোচ্চটা ব্যবহার করতে চাই। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া কিংবা নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা কখনো ওয়ানডেতে খেলিনি, তাই এটা হতে যাচ্ছে নতুন অভিজ্ঞতা। আমরা টিভি ও ইন্টারনেটে তাদের অনুসরণ করি, কারণ জানতাম কোনো একদিন তাদের বিপক্ষে আমাদের খেলতে হতে পারে। আমাদের অ্যানালিস্টরা আমাদের প্রস্তুতিতে সহায়তা করতে তাদের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে। ২০১৮ সালে এশিয়া কাপে আমাদের জয়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটের চেহারা পাল্টে গিয়েছে। লোকেরা এখন অনেক আগ্রহ দেখায় কারণ তারা জানে বাংলাদেশের মেয়েদের দলের অস্তিত্ব আছে- তার আগে তো কিছু লোক জানতোই না যে বাংলাদেশের নারী দল বলে কিছু আছে। এখন লোকদের আগ্রহ বাড়ছে এবং তারা জানতে চাই কোথায় ও কীভাবে আমরা খেলতে যাচ্ছি।
গণমাধ্যমের আগ্রহও দেখা যাচ্ছে এবং আমরা যখন বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলাম, পুরো জাতি খুব খুশি হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় অভ্যর্থনা দেখেই সেটা বুঝতে পারবেন। বাংলাদেশ একটি ক্রিকেটপ্রেমী দেশ। এখন মেয়েদের দলের প্রতিও ভালোবাসা দেখা যাচ্ছে। এটি চাপ বাড়ায় কিন্তু এই চাপ ভালো, তাদের জন্য ভালো কিছু করার আকাঙ্ক্ষা অনুভব করি আমরা। এই প্রতিযোগিতা আমাদের জন্য একটি বিশাল সুযোগ কারণ আমরা দেখাতে পারব আমাদের সম্ভাবনা রয়েছে এবং আমরা একটি দল হিসেবে উন্নতি করছি। সেখানে যদি ভালো করি, আরো বেশি দল আমাদের বিপক্ষে খেলতে আগ্রহী হবে, আরো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আমাদের দেশে ফিরবে এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও চেষ্টা করবে ঘরোয়া ম্যাচ বাড়াতে। সেখান থেকে আরো অনেক তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটার খুঁজে পাওয়া যাবে কারণ নতুন খেলোয়াড় আবিষ্কারের জন্য পাইপলাইন দরকার।
অনূর্ধ্ব-১৯, অনূর্ধ্ব-১৭ ও উদীয়মান দলগুলো নিয়ে ক্রিকেট বোর্ড কাজ করছে। অনেক ক্রিকেটার আছে যারা চায় আমরা ভালো করি কারণ তারা জানে আমরা ভালো করলে তারাও সুন্দর ভবিষ্যৎ পাবে। আমাদের বর্তমান দলের দুই ওপেনার মুর্শিদা খাতুন ও শারমিন আক্তার সুপ্তা কোয়ালিফায়ারে ভালো খেলেছিল এবং খুব ভালো অবস্থানে আছে। রুমানা আহমেদ দলের প্রয়োজনে সবসময় এগিয়ে আসে এবং সালমা খাতুন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। বোলিং আক্রমণে আমরা একজন তরুণ ফাস্ট বোলার, সুরাইয়া আজমিনকে যুক্ত করেছি, যাকে এখনো বিশ্ব ক্রিকেট খুব বেশি দেখেনি। এবং ফারিহা তৃষ্ণা বাঁহাতি বোলিংয়ে আছে। আমরা আমাদের দলে তিন জন সাবেক অধিনায়ক- সালমা, রুমানা ও জাহানারা আলমকে পেয়েছি, যারা আমাকে অনেক সহায়তা করছে এবং আমি তাদের সব উপদেশ বোর্ডের কাছে জানাই। ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে বলছি, আমাদের প্রথম বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারা আমার জন্য বিশাল সুযোগ। আমরা যদি সেখানে ভালো করতে পারি, তাহলে এটা হতে যাচ্ছে আমাদের সবার জন্য একটি দারুণ ঐতিহাসিক মুহূর্ত।