ক্রীড়া প্রতিবেদক: বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলের অস্ট্রেলিয়া সফর চূড়ান্ত হয়েছিল কিছুদিন আগেই। এবার সফরটি নিয়ে বিস্তারিত আরও নানা কিছু জানালেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। বোর্ডের জানা মতে এটি বিসিবির সবচেয়ে ব্যয়বহুল সফরগুলির একটি বলে দাবি করলেন তিনি। বাংলাদেশ ‘এ’ ও এইচপি দলের পর্যাপ্ত সিরিজ ও সফর না থাকা নিয়ে দেশের ক্রিকেটে আলোচনা আছে বরাবরই। ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মানের এত পার্থক্য যে, হুট করে মানিয়ে নিতে পারেন না ক্রিকেটাররা। এইচপি ও ‘এ’ দলের সিরিজ সাধারণত এই ব্যবধান কিছুটা হলেও ঘোচাতে সহায়তা করে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেটে এখানে ঘাটতি রয়ে যায় বরাবরই। অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে তো এসব দলের সফর হয়ই না। সেদিক থেকে এবার প্রশংসনীয় পদক্ষেপই নিয়েছে বিসিবি। মঙ্গলবার বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সফরের বিস্তারিত জানালেন বিসিবি সভাপতি। “ডারউইনে আমাদের হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দল সফর করবে। ১৪ জুলাই থেকে ১৯ অগাস্টৃ এটা একটা লম্বা সফর এবং খুবই ব্যয়বহুল সফর। বোর্ডের আমাদের জানা মতে, সবচেয়ে ব্যয়বহুল সফরগুলির একটা হতে যাচ্ছে, এত লম্বা সময়ে এত দূরে..।” “পাকিস্তান শাহিন্সের সঙ্গে ২টি চারদিনের ম্যাচ হবে। এরপর নর্দান টেরিটরির সঙ্গে হবে তিনটি ৫০ ওভারের ম্যাচ এবং টি-টোয়েন্টি একটি টুর্নমেন্ট হবে, যেখানে পাকিস্তান শাহিন্স থাকবে এবং বিগ ব্যাশের পাঁচটি দল ওখানে অংশগ্রহণ করবে।“এই ধরনের এত বড় টুর্নামেন্ট আমরা আগে কখনও করিনি।” পাকিস্তানের ‘এ’ দলের কেতাবি নাম শাহিন্স। দলটি তাই যথেষ্ট শক্তিশালীই হওয়ার কথা। বিগ ব্যাগের দল পাঁচটির কথা বলা হলেও নর্দান টেরিটরি আনুষ্ঠানিকভাবে যা জানিয়েছে, তাতে ওই টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশের দল থাকবে চারটি – পার্থ স্কর্চার্স, মেলবোর্ন রেনেগেডস, মেলবোর্ন স্টার্স ও অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্স। ৯ দলের ওই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে আরও খেলবে তাসমানিয়ান টাইগার্স, এসিটি কমেটস ও নর্দান টেরিটরি।
টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ নামের এই টুর্নামেন্টে গত বছর অংশ নিয়েছিল ৬ দল। এখানে খেলে নজর কেড়ে পরে বিগ ব্যাশ মাতিয়ে জাতীয় দলে আসেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের এই সময়ের তরুণ সেনসেশন জেইক-ফ্রেজার ম্যাকগার্ক। মূলত এইচপি দলের সফর হলেও সেখানে বাংলাদেশ টেস্ট দল ও ‘এ’ দলের কয়েকজন ক্রিকেটারকে রাখা হবে বলেও জানালেন নাজমুল হাসান। ভবিষ্যতের ক্রিকেটারদের তৈরি করতেই এই উদ্যোগ। “সাধারণত এইচপি দল এরকম সফরে যায়। এখানে আমরা এইচপির সঙ্গে কিছু মিশ্রণ করছি। জাতীয় দলের যারা বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেট খেলে, টেস্ট ম্যাচে, ওদের কয়েকজনকে পাঠাচ্ছি। ‘এ’ দলের কয়েকজন যাচ্ছে। এটা আমরা মূলত ভবিষ্যতের ক্রিকেটারদের ওই ধরনের কন্ডিশনে গিয়ে ওই ধরনের দলের সঙ্গে খেলে কিছু অভিজ্ঞতা হবে, সেটাই চেষ্টা করছি।” বিসিবির নির্বাচক কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক গত মে মাসে জানিয়েছিলেন, পাকিস্তান শাহিন্সের বিপক্ষে চার দিনের দুই ম্যাচে মূলত বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে খেলানো হবে, যেখানে টেস্ট দলের সম্ভাব্য ক্রিকেটাররা থাকবেন। সীমিত ওভারের সিরিজে এইচপির ক্রিকেটারদেরই খেলানো হবে। রাজ্জাক তখন জানিয়েছিলেন, এই বছর পাকিস্তান ও নিউ জিল্যান্ডেও বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সফর থাকবে।
এইচপি দলের অস্ট্রেলিয়া সফর ‘বিসিবির সবচেয়ে ব্যয়বহুল সফরগুলোর একটি’
জনপ্রিয় সংবাদ