ঢাকা ০৭:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫

এআই দিয়ে ‘আহত হাতের’ ছবি বানিয়ে অফিস থেকে ছুটি নিলেন কর্মী

  • আপডেট সময় : ০৭:০৪:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর ব্যবহার যেমন বাড়ছে, তেমনি এর অপব্যবহারও ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি গুগলের ন্যানো ব্যানা এআই ইমেজ জেনারেটর ব্যবহারের একটি অদ্ভুত ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে এর হাইপার-রিয়েলিস্টিক ছবি তৈরি করার ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে এক কর্মী অফিস থেকে ছুটি নিয়েছেন। এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

ওই কর্মী প্রথমে রাস্তায় দাঁড়িয়ে তাঁর হাতের একটি ছবি তোলেন। এরপর সেই ছবি ন্যানো ব্যানানাতে আপলোড করে সংক্ষিপ্ত প্রম্পট লিখে এআই-কে তাতে আঘাতের চিহ্ন যোগ করার নির্দেশ দেন। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই এআই এমন একটি বাস্তবসম্মত ছবি তৈরি করে দেয়, যা দেখলে মনে হয় হাতটিতে সত্যিই গুরুতর আঘাত লেগেছে।

এই সম্পাদিত ছবিটি তিনি অফিসের মানবসম্পদ বিভাগের (এইচআর) কর্মকর্তার কাছে পাঠান এবং দাবি করেন যে তিনি বাইক থেকে পড়ে আঘাত পেয়েছেন, তাই তাঁর চিকিৎসকের কাছে যাওয়া দরকার। ছবিটি দেখে এইচআর কর্মকর্তা সহানুভূতিশীল হয়ে পড়েন এবং কোনো অতিরিক্ত যাচাই-বাছাই না করেই প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে বৈতনিক ছুটি (পেইড লিভ) অনুমোদন করেন। এর প্রধান কারণ ছিল—এআই-এর তৈরি ক্ষতের চিহ্ন ছিল অত্যন্ত বাস্তবসম্মত।

শ্রেয়াষ নির্মল নামে এক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম লিংকডইনে আসল ও সম্পাদিত ছবি পাশাপাশি রেখে পোস্ট করে ঘটনাটি প্রকাশ করেন। তিনি জানান, এইচআর কর্মকর্তা কথিত ‘আঘাত’ দেখে সঙ্গে সঙ্গে ম্যানেজারের কাছে বিষয়টি জানান। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সহানুভূতিপূর্ণ বার্তার সঙ্গে ছুটি অনুমোদিত হয়।

এই ঘটনা প্রকাশের পর সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারকারীরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। কেউ বিস্মিত হয়েছেন, কেউ বা হাস্যরস করেছেন। একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, “যে কোম্পানিতে এমন প্রমাণ দিতে হয়, সেই কোম্পানি আগেই বরবাদ হয়ে গেছে।” অন্য একজন লিখেছেন, “এটা কল্পনাশক্তির সমস্যা নয়, বরং সংস্থার সংস্কৃতির ফলাফল, যেখানে কাজের চাপ ও বিষাক্ত পরিবেশ কর্মচারীকে এই পথ বেছে নিতে প্ররোচিত করে।”

ওআ/আপ্র/২/১২/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

একই দিনে দুই ভোট, যে চার প্রশ্ন থাকবে গণভোটে: ইসির বিজ্ঞপ্তি

এআই দিয়ে ‘আহত হাতের’ ছবি বানিয়ে অফিস থেকে ছুটি নিলেন কর্মী

আপডেট সময় : ০৭:০৪:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর ব্যবহার যেমন বাড়ছে, তেমনি এর অপব্যবহারও ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি গুগলের ন্যানো ব্যানা এআই ইমেজ জেনারেটর ব্যবহারের একটি অদ্ভুত ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে এর হাইপার-রিয়েলিস্টিক ছবি তৈরি করার ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে এক কর্মী অফিস থেকে ছুটি নিয়েছেন। এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

ওই কর্মী প্রথমে রাস্তায় দাঁড়িয়ে তাঁর হাতের একটি ছবি তোলেন। এরপর সেই ছবি ন্যানো ব্যানানাতে আপলোড করে সংক্ষিপ্ত প্রম্পট লিখে এআই-কে তাতে আঘাতের চিহ্ন যোগ করার নির্দেশ দেন। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই এআই এমন একটি বাস্তবসম্মত ছবি তৈরি করে দেয়, যা দেখলে মনে হয় হাতটিতে সত্যিই গুরুতর আঘাত লেগেছে।

এই সম্পাদিত ছবিটি তিনি অফিসের মানবসম্পদ বিভাগের (এইচআর) কর্মকর্তার কাছে পাঠান এবং দাবি করেন যে তিনি বাইক থেকে পড়ে আঘাত পেয়েছেন, তাই তাঁর চিকিৎসকের কাছে যাওয়া দরকার। ছবিটি দেখে এইচআর কর্মকর্তা সহানুভূতিশীল হয়ে পড়েন এবং কোনো অতিরিক্ত যাচাই-বাছাই না করেই প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে বৈতনিক ছুটি (পেইড লিভ) অনুমোদন করেন। এর প্রধান কারণ ছিল—এআই-এর তৈরি ক্ষতের চিহ্ন ছিল অত্যন্ত বাস্তবসম্মত।

শ্রেয়াষ নির্মল নামে এক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম লিংকডইনে আসল ও সম্পাদিত ছবি পাশাপাশি রেখে পোস্ট করে ঘটনাটি প্রকাশ করেন। তিনি জানান, এইচআর কর্মকর্তা কথিত ‘আঘাত’ দেখে সঙ্গে সঙ্গে ম্যানেজারের কাছে বিষয়টি জানান। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সহানুভূতিপূর্ণ বার্তার সঙ্গে ছুটি অনুমোদিত হয়।

এই ঘটনা প্রকাশের পর সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারকারীরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। কেউ বিস্মিত হয়েছেন, কেউ বা হাস্যরস করেছেন। একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, “যে কোম্পানিতে এমন প্রমাণ দিতে হয়, সেই কোম্পানি আগেই বরবাদ হয়ে গেছে।” অন্য একজন লিখেছেন, “এটা কল্পনাশক্তির সমস্যা নয়, বরং সংস্থার সংস্কৃতির ফলাফল, যেখানে কাজের চাপ ও বিষাক্ত পরিবেশ কর্মচারীকে এই পথ বেছে নিতে প্ররোচিত করে।”

ওআ/আপ্র/২/১২/২০২৫