ঢাকা ০৬:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

এআইতেই সঙ্গীতের ভবিষ্যৎ: শীর্ষ ডিজে

  • আপডেট সময় : ০১:১৭:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ‘সঙ্গীতের ভবিষ্যৎ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন শীর্ষস্থানীয় ডিস্ক জকি (ডিজে) ডেভিড গেটা। সম্প্রতি এক গানে জনপ্রিয় র‌্যাপার এমিনেমের মতো কণ্ঠস্বর সংযোজনের উদ্দেশ্যে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের পর এই মন্তব্য করেন তিনি।
বিবিসি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক লাইভ শো’তে মার্কিন তারকার স্টাইলে একটি র‌্যাপ গান ও এর লিরিক তৈরির উদ্দেশ্যে তিনি দুটো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক সাইট ব্যবহার করেন। ফরাসী এই সঙ্গীত নির্মাতা বলেন, বাণিজ্যিকভাবে গানটি প্রকাশ করবেন না তিনি। তবে, ভবিষ্যতে অন্যান্য সঙ্গীত পেশাদার এআই’কে শব্দ তৈরির টুল হিসেবে ব্যবহার করবেন বলে ধারণা প্রকাশ করেন তিনি। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, প্রতিটি নতুন ধরনের সঙ্গীতই নতুন প্রযুক্তি থেকে আসে।
“আমি নিশ্চিত, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সঙ্গীতের ভবিষ্যৎ। একেবারেই নিশ্চিত! নিঃসন্দেহে! তবে, কেবল একটি টুল হিসেবে।” –যুক্তরাজ্যে সঙ্গীত বিষয়ক শীর্ষ আয়োজন ‘ব্রিট অ্যাওয়ার্ডস’-এ বিবিসি’র সঙ্গীত বিভাগের সংবাদদাতা মার্ক স্যাভেজের সঙ্গে আলাপচারিতায় বলেন তিনি। শনিবারের আয়োজনে সেরা সঙ্গীত প্রযোজকের পুরস্কার জেতেন গেটা। “কোনো কিছুই মানুষের রুচি বদলাতে পারবে না।” –বলেন তিনি। “কোনো শিল্পীকে যে বিষয়টি সংজ্ঞায়িত করে, সেটি হলো, আপনার নির্দিষ্ট রুচি থাকবে, আপনার নির্দিষ্ট এক ধরনের আবেগ থাকবে, যা আপনি প্রকাশ করতে চান। আর এর বাস্তবায়নে আপনি সকল আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করতে যাচ্ছেন।”
তিনি এআই’কে বিভিন্ন এমন বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে তুলনা করেন, যেগুলো অতীতে সঙ্গীত জগতে বিপ্লব ঘটিয়েছে।
“ইলেকট্রিক গিটার না থাকলে ‘রক এন রোল’-এর জন্মই হতো না। এমনকি ‘রোল্যান্ড টিবি-৩০৩’ (বেইজ সিন্থেসাইজার) বা ‘রোল্যান্ড টিআর-৯০৯’ ড্রাম মেশিন না থাকলে ‘এসিড হাউজ’ আর ‘স্যামপ্লার’ (সঙ্গীত যন্ত্র) ছাড়া ‘হিপ-হপ’ ঘরানার সঙ্গীতও তৈরি হতো না।” “আমি আসলেই মনে করি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সঙ্গীতের নতুন ধরনকে সংজ্ঞায়িত করবে। আমার বিশ্বাস, প্রতিটি নতুন ঘরানার সঙ্গীতই নতুন প্রযুক্তি থেকে আসে।”
গত সপ্তাহে পোস্ট করা এক ভিডিও’তে গেটা বলেন, তিনি এমিনেমের মতো কণ্ঠস্বর তৈরি করেছেন কেবলই ‘মজা করে’। তিনি আরও বলেন, “এটি এতটা ভালোভাবে কাজ করবে, তা আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।”
এই পোস্টের কারণ হিসেবে তিনি বিবিসিকে বলেন, “কারণ, আমি কেবল এই আলোচনাটি শুরু করে সচেতনতা তৈরি করতে চেয়েছি।”
“এটা খুবই মজার, আসলেই, কারণ অনেকেই এর প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন। কেউ কেউ এমনও বলছেন, ‘ওহ, এটা তো জিনিয়াস!’ আবার কেউ কেউ আমার ওপর খেপেও যাচ্ছেন। কিন্তু আমি এটি রেকর্ড আকারে প্রকাশ করতে যাচ্ছি না।”
“অবাক করা ব্যাপার যে, এটা সত্যি সত্যি ঘটেছে। বলতেই হবে, এটি একেবারেই তার (এমিনেম) মতো শোনায়।” –যোগ করেন তিনি। গেটার টুইটার পোস্টে চালানো পরীক্ষার বিপরীতে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন অনেকেই। তবে, অন্যান্যরা এতে কম আগ্রহ দেখিয়েছেন বলে উঠে এসেছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে। ইউটিউবে কনটেন্ট নির্মাতা ও টিকটকার বিলাওয়াল সিধু টুইট করেন, “আর এটিই আজ এআই খাত বিস্তারের মূল সমস্যা। হাতে বাঁধা সৃজনশীলতা।” এই প্রসঙ্গে বিবিসি এমিনেমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে এখন পর্যন্ত তার কাছ থেকে কিছু শোনা যায়নি।
“মানুষের মতামত যাই হোক না কেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন চলে এসেছে।” – প্রতিবেদনে বলেছে বিবিসি।
গত সপ্তাহেই এক প্রতিবেদনে মার্কিন বিনোদন সাইট ‘ভ্যারাইটি’ বলেছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোয় সামাজিক প্ল্যাটফর্ম টিকটকে এআই’র তৈরি বিভিন্ন গান ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে ভক্তরা বিভিন্ন বিদ্যমান গানে সফটওয়্যার ব্যবহারের পর এগুলো এমন শোনায় যেন গানটি অন্য কোনো শিল্পী গাইছেন। জানুয়ারিতে কানাডিয়ান র‌্যাপ তারকা ড্রেকের ভক্তরা এক ‘এআই জেনারেটর’ ব্যবহার করে তার স্টাইলে নিজস্ব বিভিন্ন গান বানাতে শুরু করেন। একই মাসে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা নিক কেইভের অনুকরণে ‘গান লেখার প্রচেষ্টা’ চালানোর পর এর তীব্র সমালোচনা করে রিভিউ লিখেন অস্ট্রেলিয়ার এই গায়ক। পাশাপাশি, এর বিভিন্ন ফলাফলকে ‘অদ্ভুত উপহাস’ ও ‘প্রতারণা’ হিসেবেও আখ্যা দেন তিনি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এআইতেই সঙ্গীতের ভবিষ্যৎ: শীর্ষ ডিজে

আপডেট সময় : ০১:১৭:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

প্রত্যাশা ডেস্ক : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ‘সঙ্গীতের ভবিষ্যৎ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন শীর্ষস্থানীয় ডিস্ক জকি (ডিজে) ডেভিড গেটা। সম্প্রতি এক গানে জনপ্রিয় র‌্যাপার এমিনেমের মতো কণ্ঠস্বর সংযোজনের উদ্দেশ্যে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের পর এই মন্তব্য করেন তিনি।
বিবিসি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক লাইভ শো’তে মার্কিন তারকার স্টাইলে একটি র‌্যাপ গান ও এর লিরিক তৈরির উদ্দেশ্যে তিনি দুটো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক সাইট ব্যবহার করেন। ফরাসী এই সঙ্গীত নির্মাতা বলেন, বাণিজ্যিকভাবে গানটি প্রকাশ করবেন না তিনি। তবে, ভবিষ্যতে অন্যান্য সঙ্গীত পেশাদার এআই’কে শব্দ তৈরির টুল হিসেবে ব্যবহার করবেন বলে ধারণা প্রকাশ করেন তিনি। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, প্রতিটি নতুন ধরনের সঙ্গীতই নতুন প্রযুক্তি থেকে আসে।
“আমি নিশ্চিত, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সঙ্গীতের ভবিষ্যৎ। একেবারেই নিশ্চিত! নিঃসন্দেহে! তবে, কেবল একটি টুল হিসেবে।” –যুক্তরাজ্যে সঙ্গীত বিষয়ক শীর্ষ আয়োজন ‘ব্রিট অ্যাওয়ার্ডস’-এ বিবিসি’র সঙ্গীত বিভাগের সংবাদদাতা মার্ক স্যাভেজের সঙ্গে আলাপচারিতায় বলেন তিনি। শনিবারের আয়োজনে সেরা সঙ্গীত প্রযোজকের পুরস্কার জেতেন গেটা। “কোনো কিছুই মানুষের রুচি বদলাতে পারবে না।” –বলেন তিনি। “কোনো শিল্পীকে যে বিষয়টি সংজ্ঞায়িত করে, সেটি হলো, আপনার নির্দিষ্ট রুচি থাকবে, আপনার নির্দিষ্ট এক ধরনের আবেগ থাকবে, যা আপনি প্রকাশ করতে চান। আর এর বাস্তবায়নে আপনি সকল আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করতে যাচ্ছেন।”
তিনি এআই’কে বিভিন্ন এমন বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে তুলনা করেন, যেগুলো অতীতে সঙ্গীত জগতে বিপ্লব ঘটিয়েছে।
“ইলেকট্রিক গিটার না থাকলে ‘রক এন রোল’-এর জন্মই হতো না। এমনকি ‘রোল্যান্ড টিবি-৩০৩’ (বেইজ সিন্থেসাইজার) বা ‘রোল্যান্ড টিআর-৯০৯’ ড্রাম মেশিন না থাকলে ‘এসিড হাউজ’ আর ‘স্যামপ্লার’ (সঙ্গীত যন্ত্র) ছাড়া ‘হিপ-হপ’ ঘরানার সঙ্গীতও তৈরি হতো না।” “আমি আসলেই মনে করি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সঙ্গীতের নতুন ধরনকে সংজ্ঞায়িত করবে। আমার বিশ্বাস, প্রতিটি নতুন ঘরানার সঙ্গীতই নতুন প্রযুক্তি থেকে আসে।”
গত সপ্তাহে পোস্ট করা এক ভিডিও’তে গেটা বলেন, তিনি এমিনেমের মতো কণ্ঠস্বর তৈরি করেছেন কেবলই ‘মজা করে’। তিনি আরও বলেন, “এটি এতটা ভালোভাবে কাজ করবে, তা আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।”
এই পোস্টের কারণ হিসেবে তিনি বিবিসিকে বলেন, “কারণ, আমি কেবল এই আলোচনাটি শুরু করে সচেতনতা তৈরি করতে চেয়েছি।”
“এটা খুবই মজার, আসলেই, কারণ অনেকেই এর প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন। কেউ কেউ এমনও বলছেন, ‘ওহ, এটা তো জিনিয়াস!’ আবার কেউ কেউ আমার ওপর খেপেও যাচ্ছেন। কিন্তু আমি এটি রেকর্ড আকারে প্রকাশ করতে যাচ্ছি না।”
“অবাক করা ব্যাপার যে, এটা সত্যি সত্যি ঘটেছে। বলতেই হবে, এটি একেবারেই তার (এমিনেম) মতো শোনায়।” –যোগ করেন তিনি। গেটার টুইটার পোস্টে চালানো পরীক্ষার বিপরীতে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন অনেকেই। তবে, অন্যান্যরা এতে কম আগ্রহ দেখিয়েছেন বলে উঠে এসেছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে। ইউটিউবে কনটেন্ট নির্মাতা ও টিকটকার বিলাওয়াল সিধু টুইট করেন, “আর এটিই আজ এআই খাত বিস্তারের মূল সমস্যা। হাতে বাঁধা সৃজনশীলতা।” এই প্রসঙ্গে বিবিসি এমিনেমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে এখন পর্যন্ত তার কাছ থেকে কিছু শোনা যায়নি।
“মানুষের মতামত যাই হোক না কেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন চলে এসেছে।” – প্রতিবেদনে বলেছে বিবিসি।
গত সপ্তাহেই এক প্রতিবেদনে মার্কিন বিনোদন সাইট ‘ভ্যারাইটি’ বলেছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোয় সামাজিক প্ল্যাটফর্ম টিকটকে এআই’র তৈরি বিভিন্ন গান ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে ভক্তরা বিভিন্ন বিদ্যমান গানে সফটওয়্যার ব্যবহারের পর এগুলো এমন শোনায় যেন গানটি অন্য কোনো শিল্পী গাইছেন। জানুয়ারিতে কানাডিয়ান র‌্যাপ তারকা ড্রেকের ভক্তরা এক ‘এআই জেনারেটর’ ব্যবহার করে তার স্টাইলে নিজস্ব বিভিন্ন গান বানাতে শুরু করেন। একই মাসে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা নিক কেইভের অনুকরণে ‘গান লেখার প্রচেষ্টা’ চালানোর পর এর তীব্র সমালোচনা করে রিভিউ লিখেন অস্ট্রেলিয়ার এই গায়ক। পাশাপাশি, এর বিভিন্ন ফলাফলকে ‘অদ্ভুত উপহাস’ ও ‘প্রতারণা’ হিসেবেও আখ্যা দেন তিনি।