ঢাকা ০৯:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ঋতু পরিবর্তনে সুস্থ থাকার ৫ উপায়

  • আপডেট সময় : ০৪:৫৫:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: ফেব্রুয়ারি মাস শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতকাল শেষ হয়ে আসে। আমাদের শরীরের এই পরিবর্তিত আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য সময়ের প্রয়োজন। শুষ্ক, ঠান্ডা বাতাস থেকে উষ্ণ এবং আর্দ্র দিনে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলে। এই পরিবর্তনের সময়ে শরীরকে নিরাপদ এবং সুস্থ রাখা সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক

করণীয়-
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শরীর ঠান্ডা, ফ্লু এবং অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে। তাই সুষম খাদ্য, প্রচুর ভিটামিন সি (লেবু এবং বেল পেপার) এবং ভিটামিন ডি (চর্বিযুক্ত মাছ বা শক্তিশালী দুগ্ধজাত দ্রব্য) খেতে হবে। এছাগা প্রচুর পানি এবং ভেষজ চা পান করে হাইড্রেটেড থাকতে হবে। শরীরকে সতেজ রাখতে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন।
২. ত্বকের যত্নে পরিবর্তন
তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা বৃদ্ধির জন্য ত্বকের যত্নে পরিবর্তন আনতে হবে। শীতের সময়ের ভারী ময়েশ্চারাইজার সরিয়ে হালকা, হাইড্রেটিং লোশন ব্যবহার করুন। বসন্তের শুরুতে অতিবেগুনী রশ্মি শক্তিশালী হতে পারে তােই প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। শীতকালে তৈরি মৃত, শুষ্ক কোষগুলোকে ঝেড়ে ফেলার জন্য ত্বকের এক্সফোলিয়েশন বজায় রাখতে হবে।
৩. আরও সক্রিয় থাকুন
সাধারণত ঠান্ডা আবহাওয়ার সময়ে শারীরিক কার্যকলাপ হ্রাস পায়। এখন সময় এসেছে প্রাকৃতিক সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসার জন্য বাইরে হাঁটা, দৌড়ানো বা সাইকেল চালানো। পেশীর নমনীয়তা এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে স্ট্রেচিং এবং যোগব্যায়াম অনুশীলন করুন। আঘাত এড়াতে ধীরে ধীরে তোমার ব্যায়ামের তীব্রতা বাড়ান।
৪. সুষম খাদ্য
শীতের মাস শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাজা খাবার আরও সহজলভ্য হয়ে উঠলে খাদ্যতালিকায় যোগ করুন মৌসুমী ফল এবং শাক-সবজি। যেমন পাতাযুক্ত শাক-সবজি, বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী ফল। পাতলা প্রোটিন, গোটা শস্য এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত হালকা খাবার নিয়মিত খেতে হবে। হজমে সাহায্য করার জন্য প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার (দই, গাঁজানো সবজি) ইত্যাদি খেতে হবে।
৫. মৌসুমি অ্যালার্জি থেকে নিজেকে রক্ষা করুন
বসন্তের অ্যালার্জি ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে শুরু হতে পারে। তাই এসময় কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। পরাগের সংখ্যা বেশি থাকলে জানালা বন্ধ রাখুন। বাইরে ফিরে আসার পর হাত এবং কাপড় ধুয়ে ফেলুন। ঘরে অ্যালার্জেন কমাতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হাসিনার সহিংস আচরণের প্রতিক্রিয়ায় বাড়ি ভাঙার ঘটনা: অন্তর্বর্তী সরকার

ঋতু পরিবর্তনে সুস্থ থাকার ৫ উপায়

আপডেট সময় : ০৪:৫৫:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: ফেব্রুয়ারি মাস শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতকাল শেষ হয়ে আসে। আমাদের শরীরের এই পরিবর্তিত আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য সময়ের প্রয়োজন। শুষ্ক, ঠান্ডা বাতাস থেকে উষ্ণ এবং আর্দ্র দিনে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলে। এই পরিবর্তনের সময়ে শরীরকে নিরাপদ এবং সুস্থ রাখা সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক

করণীয়-
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শরীর ঠান্ডা, ফ্লু এবং অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে। তাই সুষম খাদ্য, প্রচুর ভিটামিন সি (লেবু এবং বেল পেপার) এবং ভিটামিন ডি (চর্বিযুক্ত মাছ বা শক্তিশালী দুগ্ধজাত দ্রব্য) খেতে হবে। এছাগা প্রচুর পানি এবং ভেষজ চা পান করে হাইড্রেটেড থাকতে হবে। শরীরকে সতেজ রাখতে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন।
২. ত্বকের যত্নে পরিবর্তন
তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা বৃদ্ধির জন্য ত্বকের যত্নে পরিবর্তন আনতে হবে। শীতের সময়ের ভারী ময়েশ্চারাইজার সরিয়ে হালকা, হাইড্রেটিং লোশন ব্যবহার করুন। বসন্তের শুরুতে অতিবেগুনী রশ্মি শক্তিশালী হতে পারে তােই প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। শীতকালে তৈরি মৃত, শুষ্ক কোষগুলোকে ঝেড়ে ফেলার জন্য ত্বকের এক্সফোলিয়েশন বজায় রাখতে হবে।
৩. আরও সক্রিয় থাকুন
সাধারণত ঠান্ডা আবহাওয়ার সময়ে শারীরিক কার্যকলাপ হ্রাস পায়। এখন সময় এসেছে প্রাকৃতিক সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসার জন্য বাইরে হাঁটা, দৌড়ানো বা সাইকেল চালানো। পেশীর নমনীয়তা এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে স্ট্রেচিং এবং যোগব্যায়াম অনুশীলন করুন। আঘাত এড়াতে ধীরে ধীরে তোমার ব্যায়ামের তীব্রতা বাড়ান।
৪. সুষম খাদ্য
শীতের মাস শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাজা খাবার আরও সহজলভ্য হয়ে উঠলে খাদ্যতালিকায় যোগ করুন মৌসুমী ফল এবং শাক-সবজি। যেমন পাতাযুক্ত শাক-সবজি, বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী ফল। পাতলা প্রোটিন, গোটা শস্য এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত হালকা খাবার নিয়মিত খেতে হবে। হজমে সাহায্য করার জন্য প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার (দই, গাঁজানো সবজি) ইত্যাদি খেতে হবে।
৫. মৌসুমি অ্যালার্জি থেকে নিজেকে রক্ষা করুন
বসন্তের অ্যালার্জি ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে শুরু হতে পারে। তাই এসময় কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। পরাগের সংখ্যা বেশি থাকলে জানালা বন্ধ রাখুন। বাইরে ফিরে আসার পর হাত এবং কাপড় ধুয়ে ফেলুন। ঘরে অ্যালার্জেন কমাতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন।