ঢাকা ১১:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

ঋতু পরিবর্তনে ফ্লু বাড়ছে

  • আপডেট সময় : ০৫:৪৮:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
  • ৫৫ বার পড়া হয়েছে

মোস্তফা শাহরিয়ার তামিম :ইনফ্লুয়েঞ্জা, যা ফ্লু নামেও পরিচিত। একটি ভাইরাল সংক্রমণ, যা প্রধানত শ্বাসযন্ত্রকে প্রভাবিত করে। রোগের কারণ হলো ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, যা দুটি প্রধান প্রকারে বিভক্ত: অ এবং ই। ইনফ্লুয়েঞ্জা অ-ভাইরাস বিভিন্ন প্রাণীতে সংক্রমিত হতে পারে, কিন্তু ই-ভাইরাস সাধারণত মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
লক্ষণ ও উপসর্গ: ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গগুলো হঠাৎ করে দেখা দেয়, যার মধ্যে জ্বর, সর্দি, মাথাব্যথা, মাংসপেশির ব্যথা এবং কাশি থাকে। কিছু রোগী ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং ক্ষুধামন্দা ভাব অনুভব করে। লক্ষণগুলো ১ থেকে ৪ দিনের মধ্যে প্রকাশ পায় এবং ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে কমে যায়।
সংক্রমণের মাধ্যম: আক্রান্ত ব্যক্তির কাশি বা হাঁচির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে অন্যদের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শকৃত বস্তু থেকেও ভাইরাস ছড়াতে, জনবহুল স্থানে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
প্রতিরোধের উপায়: নিয়মিত টিকা নেওয়া। প্রতি বছর নতুন টিকা তৈরি হয়, কারণ ভাইরাসের প্রকার পরিবর্তিত হয়। নিয়মিত হাত ধোয়া এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করাও গুরুত্বপূর্ণ।
চিকিৎসা: ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসায় অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ব্যবহৃত হয়, যা লক্ষণগুলো কমাতে সহায়তা করে। আক্রান্তদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও প্রচুর পানি পান করা অপরিহার্য। ওষুধের কার্যকারিতা প্রথম ৪৮ ঘণ্টায় সর্বাধিক।
জটিলতা: ইনফ্লুয়েঞ্জা স্বল্পমেয়াদি অসুস্থতা, তবে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ এবং গর্ভবতী মহিলাদের জন্য। নিউমোনিয়া বা ব্রঙ্কাইটিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সচেতনতার গুরুত্ব: ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি গুরুতর ভাইরাল সংক্রমণ, তবে সচেতনতা ও সঠিক প্রতিরোধের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। স্বাস্থ্যকর অভ্যাস ও চিকিৎসার মাধ্যমে নিজেদের এবং অন্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে পারি।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টা হতাশ-ক্ষুব্ধ, ‘পদত্যাগ’ নিয়ে আলোচনা

ঋতু পরিবর্তনে ফ্লু বাড়ছে

আপডেট সময় : ০৫:৪৮:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

মোস্তফা শাহরিয়ার তামিম :ইনফ্লুয়েঞ্জা, যা ফ্লু নামেও পরিচিত। একটি ভাইরাল সংক্রমণ, যা প্রধানত শ্বাসযন্ত্রকে প্রভাবিত করে। রোগের কারণ হলো ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, যা দুটি প্রধান প্রকারে বিভক্ত: অ এবং ই। ইনফ্লুয়েঞ্জা অ-ভাইরাস বিভিন্ন প্রাণীতে সংক্রমিত হতে পারে, কিন্তু ই-ভাইরাস সাধারণত মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
লক্ষণ ও উপসর্গ: ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গগুলো হঠাৎ করে দেখা দেয়, যার মধ্যে জ্বর, সর্দি, মাথাব্যথা, মাংসপেশির ব্যথা এবং কাশি থাকে। কিছু রোগী ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং ক্ষুধামন্দা ভাব অনুভব করে। লক্ষণগুলো ১ থেকে ৪ দিনের মধ্যে প্রকাশ পায় এবং ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে কমে যায়।
সংক্রমণের মাধ্যম: আক্রান্ত ব্যক্তির কাশি বা হাঁচির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে অন্যদের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শকৃত বস্তু থেকেও ভাইরাস ছড়াতে, জনবহুল স্থানে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
প্রতিরোধের উপায়: নিয়মিত টিকা নেওয়া। প্রতি বছর নতুন টিকা তৈরি হয়, কারণ ভাইরাসের প্রকার পরিবর্তিত হয়। নিয়মিত হাত ধোয়া এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করাও গুরুত্বপূর্ণ।
চিকিৎসা: ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসায় অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ব্যবহৃত হয়, যা লক্ষণগুলো কমাতে সহায়তা করে। আক্রান্তদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও প্রচুর পানি পান করা অপরিহার্য। ওষুধের কার্যকারিতা প্রথম ৪৮ ঘণ্টায় সর্বাধিক।
জটিলতা: ইনফ্লুয়েঞ্জা স্বল্পমেয়াদি অসুস্থতা, তবে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ এবং গর্ভবতী মহিলাদের জন্য। নিউমোনিয়া বা ব্রঙ্কাইটিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সচেতনতার গুরুত্ব: ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি গুরুতর ভাইরাল সংক্রমণ, তবে সচেতনতা ও সঠিক প্রতিরোধের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। স্বাস্থ্যকর অভ্যাস ও চিকিৎসার মাধ্যমে নিজেদের এবং অন্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে পারি।