নিজস্ব প্রতিবেদক : চালের দাম এক সপ্তাহ না পেরোতেই আবার বেড়ে গেছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, কৃষি মার্কেট ও টাউন হল বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মানভেদে প্রতিকেজি সরু চালের দাম বেড়েছে গড়ে দুই টাকার মত। সংসারের অন্যান্য তরি-তরকারির মধ্যে স্বস্তিটা আছে শুধু শাক-সবজি নিয়ে। গরিবের প্রোটিনের ‘বড় যোগানদাতা’ ব্রয়লার মুরগির কেজি ছাড়িয়ে গেছে ২০০ টাকা; বেড়েছে কয়েক জাতের মাছের দামও। গত শুক্রবার রাজধানীর বাজারগুলোয় মিনিকেট চালের গড় দাম ছিল ৮০ টাকার মত। গত সপ্তাহে তা বিক্রি হয় ৭৮ টাকায়। আর মাস খানেক আগে এই চাল মিলত ৭৬ থেকে ৭৮ টাকায়।
এদিন খুচরায় মানভেদে এক কেজি নাজিরশাইল চাল কিনতে ভোক্তাকে খরচ করতে হয় ৭৮ থেকে ৯০ টাকা। গত সপ্তাহে এই দাম ছিল ৭৮ থেকে ৮৮ টাকা। আর মাসখানেক আগে মিলত ৭৬ থেকে ৮২ টাকার মধ্যে। মোটা চালের দাম খুব একটা হেরফের হয়নি, মানভেদে প্রতিকেজি পাওয়া যাচ্ছে ৫০ থেকে ৫৬ টাকার মধ্যে।
মোহাম্মদপুরের কাঁচাবাজারে আসা ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, “আগের মাসে সরু চালের দাম আজকের চেয়ে কম ছিল।” চাল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইশাকুল হোসেন সুইট বলেন, “আমাদের দেশে চাল মজুদের তেমন ব্যবস্থা নেই। চালের মৌসুমে অন্যান্য দেশ মজুদ করে।“শক্তিশালী মজুদ ব্যবস্থা না থাকায় মধ্যস্বত্বভোগীরা চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন।” কৃষি উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীও সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, দাম বাড়ার পেছনে সিন্ডিকেটের হাত রয়েছে।
চালের দাম নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকার গত ৩১ অক্টোবর আমদানি শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করে। কিন্তু চালের বাজারে তার দৃশ্যমান প্রভাব নেই। কয়েক মাস ধরে চড়ে থাকা চালের বাজারে স্থিতি ফেরাতে গত ৭ জানুয়ারি ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি কেনার প্রস্তাবেও অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এছাড়া গত ২৫ ডিসেম্বর ভারত থেকে আসে ২৪ হাজার ৬৯০ টন সিদ্ধ চাল। ১২ জানুয়ারি আসে ২৬ হাজার ৯৩৫ মেট্রিক টন চালের আরেকটি চালান। কিন্তু এসব উদ্যোগ চালের বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে পারেনি।