আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর কোরিয়াতে এখন করোনার অবস্থা ভয়াবহ। দেশটিতে চলছে কঠোর লকডাউন। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সীমান্ত। যার কারণে চরম ক্ষুধার দিকে ধাবিত হচ্ছে দেশটি। এমন পরিস্থতিতে উত্তর কোরিয়াকে আবার ভ্যাকসিন দেয়ার প্রস্তাব করল রাশিয়া।
পিয়ংইয়ং কয়েকটি দেশের ভ্যাকসিন ও সাহায্যের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার কারণে চীনের সাথে বাণিজ্য ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশটির। উত্তর কোরিয়া খাদ্য, সার ও তেলের জন্য চীনের উপর নির্ভরশীল।
কিম জং-উন শিকার করেছেন যে, তার দেশ খাদ্য স্বল্পতায় ভুগছে। পরিস্থিতিকে তিনি ‘উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন। গত মাসে তিনি এই মন্তব্য করেছিলেন। তিনি নাগরিকদের ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি’ মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বলেছে, আগামী মাসে উত্তর কোরিয়ার খাদ্য ঘাটতি ব্যাপকহারে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সংস্থাটি মনে করছে, চলতি বছর উত্তর কোরিয়া প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদন করতে পারবে না। বাণিজ্যিক আমদানি ও খাদ্য সহায়তা ছাড়া আগামী আগস্ট থেকে অক্টোবর সময়ের মধ্যে তাদের কঠিন পরিস্থিতির মোকাবাবেলা করতে হবে।
এর আগে উত্তর কোরিয়াকে রাশিয়া বলেছিল, ‘সবাই বাড়াবাড়ি নিষেধাজ্ঞা সহ্য করতে পারে না।’
বুধবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, পিয়ংইয়ংকে বহুবার ভ্যাকসিনের প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া।
এর আগে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া ভ্যাকসিনের প্রস্তাব করে উত্তর কোরিয়াকে। সন্দেহ করা হচ্ছে যে, ভ্যাকসিন স্টোর করা ও সরবরাহ করার মতো সক্ষমতা উত্তর কোরিয়ার নেই।