ঢাকা ১১:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

উৎসবহীন আরও এক বসন্তে ইবি

  • আপডেট সময় : ০৯:৩৫:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যরিয়ার: বৈচিত্র্যময় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। প্রকৃতির পালাবদলে এই বাংলায় ষড়ঋতুর আগমন ঘটে। ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে প্রকৃতি নিজেকে সাজিয়ে তোলে বিচিত্র সব সাজে। কালের পরিক্রমায় প্রতি বছর প্রকৃতিতে আগমন ঘটে ঋতুরাজ বসন্তের। তখন প্রকৃতি হয়ে ওঠে প্রাণচঞ্ঝল। শুকনো পাতা ঝরে জন্ম নেয় নতুন কচি পাতা।
বাতাসে ভেসে বেড়ায় কোকিলের মায়া জড়ানো কুহু-কুহু গান। গাছে গাছে ফোটে শিমুল-পলাশ। আমের মুকুলের ঘ্রাণে মাতোয়ারা হয় চারপাশ। প্রকৃতি সেজে ওঠে বাসন্তী সাজে। প্রকৃতি নিজেকে বাসন্তী সাজে সাজালেও এবারও বসন্তের সাজ নেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৫ একরে।
করোনার আগে প্রতিবছর ঋতুরাজ বসন্তের দিনে বাসন্তী আমেজে প্রাণবন্ত হয়ে থাকতো গোটা ক্যাম্পাস। সকাল হতে না হতেই শিক্ষার্থীদের পদচারণায় প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠতো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি চত্বর। ছেলেরা পাঞ্জাবি আর মেয়েরা শাড়ি পরে মাথায় ফুল গুঁজে ঘুরে বেড়াতো পুরো ক্যাম্পাসে। বের হতো বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অংশ নিতো সেই শোভাযাত্রায়। বাংলা মঞ্চে পরিবেশিত হতো দিনব্যাপী সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে টানা দুই বছর বসন্তের কোনো অনুষ্ঠান নেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে। মহামারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ছেড়ে বাড়িতে অবস্থান করছেন। তাই বসন্তের আগমনেও রঙহীন ইবি ক্যাম্পাস। উৎসববিহীন এই ক্যাম্পাস দেখে অতিতের স্মৃতিচারণ করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সুকান্ত দাস বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় গত দুই বছর ক্যাম্পাসে ফাগুন উৎসবের আমেজ দেখা যায়নি। এবারও সবকিছু বন্ধ থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাসায় রয়েছেন। যে কারণে ক্যাম্পাস অনেকটা প্রাণহীন। রঙিন পোশাকে বাহারি সাজে বন্ধুদের সেই আড্ডা খুব মিস করছি। খুব তাড়াতাড়ি সবকিছু আগের মতো হয়ে যাক, ক্যাম্পাস প্রাণ ফিরে পাক, ফাগুন উৎসব আগের মতো রঙিন হয়ে উঠুক, এটাই চাওয়া।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক গাজী মাহবুব মুর্শিদ বলেন, আমরা প্রতিবছর বিভিন্ন আয়োজনে বাসন্তী উৎসব পালন করে থাকি। এটা আমাদের বিভাগের ট্রাডিশন। কিন্তু করোনার কারণে এ বছর আমরা দিনটি ঘটা করে উদযাপন করতে পারলাম না। বিষয়টা দুঃখজনক। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে আগামী বছর জমকালো আয়োজনে আমরা উৎসবটি উদযাপন করবো।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

উৎসবহীন আরও এক বসন্তে ইবি

আপডেট সময় : ০৯:৩৫:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ক্যাম্পাস ও ক্যরিয়ার: বৈচিত্র্যময় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। প্রকৃতির পালাবদলে এই বাংলায় ষড়ঋতুর আগমন ঘটে। ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে প্রকৃতি নিজেকে সাজিয়ে তোলে বিচিত্র সব সাজে। কালের পরিক্রমায় প্রতি বছর প্রকৃতিতে আগমন ঘটে ঋতুরাজ বসন্তের। তখন প্রকৃতি হয়ে ওঠে প্রাণচঞ্ঝল। শুকনো পাতা ঝরে জন্ম নেয় নতুন কচি পাতা।
বাতাসে ভেসে বেড়ায় কোকিলের মায়া জড়ানো কুহু-কুহু গান। গাছে গাছে ফোটে শিমুল-পলাশ। আমের মুকুলের ঘ্রাণে মাতোয়ারা হয় চারপাশ। প্রকৃতি সেজে ওঠে বাসন্তী সাজে। প্রকৃতি নিজেকে বাসন্তী সাজে সাজালেও এবারও বসন্তের সাজ নেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৫ একরে।
করোনার আগে প্রতিবছর ঋতুরাজ বসন্তের দিনে বাসন্তী আমেজে প্রাণবন্ত হয়ে থাকতো গোটা ক্যাম্পাস। সকাল হতে না হতেই শিক্ষার্থীদের পদচারণায় প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠতো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি চত্বর। ছেলেরা পাঞ্জাবি আর মেয়েরা শাড়ি পরে মাথায় ফুল গুঁজে ঘুরে বেড়াতো পুরো ক্যাম্পাসে। বের হতো বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অংশ নিতো সেই শোভাযাত্রায়। বাংলা মঞ্চে পরিবেশিত হতো দিনব্যাপী সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে টানা দুই বছর বসন্তের কোনো অনুষ্ঠান নেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে। মহামারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ছেড়ে বাড়িতে অবস্থান করছেন। তাই বসন্তের আগমনেও রঙহীন ইবি ক্যাম্পাস। উৎসববিহীন এই ক্যাম্পাস দেখে অতিতের স্মৃতিচারণ করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সুকান্ত দাস বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় গত দুই বছর ক্যাম্পাসে ফাগুন উৎসবের আমেজ দেখা যায়নি। এবারও সবকিছু বন্ধ থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাসায় রয়েছেন। যে কারণে ক্যাম্পাস অনেকটা প্রাণহীন। রঙিন পোশাকে বাহারি সাজে বন্ধুদের সেই আড্ডা খুব মিস করছি। খুব তাড়াতাড়ি সবকিছু আগের মতো হয়ে যাক, ক্যাম্পাস প্রাণ ফিরে পাক, ফাগুন উৎসব আগের মতো রঙিন হয়ে উঠুক, এটাই চাওয়া।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক গাজী মাহবুব মুর্শিদ বলেন, আমরা প্রতিবছর বিভিন্ন আয়োজনে বাসন্তী উৎসব পালন করে থাকি। এটা আমাদের বিভাগের ট্রাডিশন। কিন্তু করোনার কারণে এ বছর আমরা দিনটি ঘটা করে উদযাপন করতে পারলাম না। বিষয়টা দুঃখজনক। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে আগামী বছর জমকালো আয়োজনে আমরা উৎসবটি উদযাপন করবো।