ঢাকা ০৩:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

উহানের গবেষণাগার থেকেই করোনার উৎপত্তি

  • আপডেট সময় : ১২:০৩:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অগাস্ট ২০২১
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : মার্কিন কংগ্রেসের এক রিপাবলিকান আইনপ্রণেতার প্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, করোনাভাইরাস একটি জেনেটিকালি মোডিফায়েড (গবেষণাগারে জিনগত পরিবর্তন করা) ভাইরাস। চীনের উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির গবেষণাগার থেকে এটি কোনোভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল।
‘হাউজ ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি’র সদস্য, টেক্সাসের রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা মাইকেল ম্যাকল ভাইরাসের উৎসের সন্ধানে একটি তদন্ত শুরু করেছিলেন। তৃতীয় ধাপে তার রিপোর্ট পেশ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, গোটা বিশ্বের জানা উচিত, মহামারির বিপদ কোন দিক থেকে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনও এ বিষয়ে একটি তদন্ত চালাচ্ছে। সমান্তরালভাবে চলেছে ম্যাকলের তদন্তও। ৪২ লাখ মানুষের প্রাণ নিয়েছে যে ভাইরাস তার উৎস জানার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরাও। তাঁদের বক্তব্য, কীভাবে ভাইরাসটি ছড়াল তা না জানা গেলে ফের নতুন কোনো মহামারি হানা দেবে।
একাধিক সূত্র থেকে নেওয়া খবরে তৈরি রিপাবলিকান রিপোর্টটি এই সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছেছে যে, ‘উহানের গবেষণাগারে অতি-বিতর্কিত গবেষণা চলছিল। এতে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার জিনগত পরিবর্তন করে তার সংক্রমণ ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছিল। তাপর পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছিল কীভাবে একে ঠেকানো যায়। এক কথায়- অতিসংক্রামক ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তোলার পথ খোঁজা হচ্ছিল। কিন্তু গোটা কর্মকা- চলার সময়ে ল্যাবে যথাযোগ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না।’
মাইকেল ম্যাকল বলেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে জানি, উহান ইনস্টিটিউটে এই ধরনের গবেষণা চলছিল। আর এও জানি, যথেষ্ট নিরাপত্তা ছিল না।’
যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞেরাও মনে করেন, এ বিষয়ে চীনকে শিক্ষা দেওয়া উচিত। চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ভাইরাস সংক্রমণ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীকে সময় থাকতে সতর্ক করেনি। ভাইরাসের উৎস সন্ধানে তদন্ত চলাকালীন প্রতিনিয়ত বাধা সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অব ডেমোক্র্যাসিস’ এর শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি রাগিরো বলেছেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এবং জি-৭-এর সঙ্গে কথা চালিয়ে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। কূটনীতির সাহায্যেই পথ খোঁজা হচ্ছে। চীনের কাছেও সহযোগিতার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু ওদের জবাব- না।’ ম্যাকলের কথায়, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এবার উচিত এই মহামারির উৎস খুঁজে বার করা।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

উহানের গবেষণাগার থেকেই করোনার উৎপত্তি

আপডেট সময় : ১২:০৩:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অগাস্ট ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : মার্কিন কংগ্রেসের এক রিপাবলিকান আইনপ্রণেতার প্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, করোনাভাইরাস একটি জেনেটিকালি মোডিফায়েড (গবেষণাগারে জিনগত পরিবর্তন করা) ভাইরাস। চীনের উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির গবেষণাগার থেকে এটি কোনোভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল।
‘হাউজ ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি’র সদস্য, টেক্সাসের রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা মাইকেল ম্যাকল ভাইরাসের উৎসের সন্ধানে একটি তদন্ত শুরু করেছিলেন। তৃতীয় ধাপে তার রিপোর্ট পেশ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, গোটা বিশ্বের জানা উচিত, মহামারির বিপদ কোন দিক থেকে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনও এ বিষয়ে একটি তদন্ত চালাচ্ছে। সমান্তরালভাবে চলেছে ম্যাকলের তদন্তও। ৪২ লাখ মানুষের প্রাণ নিয়েছে যে ভাইরাস তার উৎস জানার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরাও। তাঁদের বক্তব্য, কীভাবে ভাইরাসটি ছড়াল তা না জানা গেলে ফের নতুন কোনো মহামারি হানা দেবে।
একাধিক সূত্র থেকে নেওয়া খবরে তৈরি রিপাবলিকান রিপোর্টটি এই সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছেছে যে, ‘উহানের গবেষণাগারে অতি-বিতর্কিত গবেষণা চলছিল। এতে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার জিনগত পরিবর্তন করে তার সংক্রমণ ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছিল। তাপর পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছিল কীভাবে একে ঠেকানো যায়। এক কথায়- অতিসংক্রামক ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তোলার পথ খোঁজা হচ্ছিল। কিন্তু গোটা কর্মকা- চলার সময়ে ল্যাবে যথাযোগ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না।’
মাইকেল ম্যাকল বলেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে জানি, উহান ইনস্টিটিউটে এই ধরনের গবেষণা চলছিল। আর এও জানি, যথেষ্ট নিরাপত্তা ছিল না।’
যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞেরাও মনে করেন, এ বিষয়ে চীনকে শিক্ষা দেওয়া উচিত। চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ভাইরাস সংক্রমণ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীকে সময় থাকতে সতর্ক করেনি। ভাইরাসের উৎস সন্ধানে তদন্ত চলাকালীন প্রতিনিয়ত বাধা সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অব ডেমোক্র্যাসিস’ এর শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি রাগিরো বলেছেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এবং জি-৭-এর সঙ্গে কথা চালিয়ে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। কূটনীতির সাহায্যেই পথ খোঁজা হচ্ছে। চীনের কাছেও সহযোগিতার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু ওদের জবাব- না।’ ম্যাকলের কথায়, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এবার উচিত এই মহামারির উৎস খুঁজে বার করা।’