ঢাকা ১২:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

উমরান মালিকে ওয়াকারের ছায়া দেখছেন লি

  • আপডেট সময় : ১১:৩৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মে ২০২২
  • ১৩২ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : গতির ঝড়ে ক্রিকেট দুনিয়া কাঁপানো বোলারদের নাম নিলে ব্রেট লি থাকবেন একদম শুরুর দিকেই। সেই লি নিজেই মুগ্ধ উমরান মালিকের গতি ও আগ্রাসনে। তরুণ এই ভারতীয় ফাস্ট বোলারকে দেখে অস্ট্রেলিয়ান গ্রেট ফাস্ট বোলারের মনে পড়ছে আরেক ভয়ঙ্কর ফাস্ট বোলার ওয়াকার ইউনুসকে। কাশ্মীরের ফল বিক্রেতার ছেলে উমরান জীবন যুদ্ধে অনেক লড়াই করে আইপিএলের মঞ্চে জায়গা করে নেন গত বছরের আসরে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে গতির ঝলক তিনি সেবারই দেখান। তবে অনেকটাই কাঁচা ছিলেন তখন। স্রেফ তিনটি ম্যাচে তার সুযোগ মিলেছিল। তার সম্ভাবনা অবশ্য তখনই বুঝেছিল হায়দরাবাদ। তাই এবারের আসরের নিলামের আগেই তারা ধরে রাখে তাকে। সেই উমরান এবার গতি দিয়ে আইপিএলের সবচেয়ে আলোচিত নামগুলির একটি। ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতি ছাড়িয়েছেন তিনি নিয়মিতই। ১৪ ম্যাচ খেলে প্রতিটিতেই জিতেছেন ম্যাচের দ্রুততম বোলারের পুরস্কার। স্রেফ জোরে বল করাই নয়, উইকেট শিকার করেও প্রমাণ করেছেন নিজের কার্যকারিতা।
১৪ ম্যাচে ২২ উইকেট তার, ৫ ও ৪ উইকেট নিয়েছেন একবার করে। ২২ বছর বয়সী ফাস্ট বোলার জিতে নিয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের স্বীকৃতি। আইপিএলে পারফর্ম করে জায়গা করে নিয়েছেন ভারতের টি-টোয়েন্টি দলেও। এবারের আইপিএলে উমরানকে দেখে মনে ধরেছে ক্রিকেট বিশ্বজুড়ে অনেকেরই। সাবেক গতি তারকা লি যেমন ভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআইকে বললেন তার ভালো লাগার কথা। “আমি তার বড় ভক্ত। উমরান মালিকের গতি তীব্র। সে দারুণ লড়াকু, দুর্দান্ত ছেলে। অতীতের ফাস্ট বোলারদের মতো ছুটে আসে সে। তাকে দেখলে মনে পড়ে ওয়াকার ইউনিসের কথা।” গত শতাব্দীর আশির দশকের শেষদিকে গতির ঝড় তুলে বিশ্ব ক্রিকেটে আবির্ভাব ওয়াকারের। শুরুর কয়েক বছর তিনি ছিলেন ব্যাটসম্যানদের জন্য আতঙ্ক। সর্বকালের সবচেয়ে গতিময় বোলারদের একজনও মনে করা হতো তাকে। রান আপে ছুটে আসতেন আগ্রাসী ভাবে। সঙ্গে সুইং আর ইয়র্কার মিলিয়ে তিনি ছিলেন ভয়ঙ্কর। সেই সময়ে তার উইকেট শিকারের হারও ছিল অবিশ্বাস্য। পরে অবশ্য ক্রমাগত চোটের কারণে তার গতি কমে আসে। তার পরও ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ফাস্ট বোলারদের একজন মনে করা হয় তাকে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

উমরান মালিকে ওয়াকারের ছায়া দেখছেন লি

আপডেট সময় : ১১:৩৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মে ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : গতির ঝড়ে ক্রিকেট দুনিয়া কাঁপানো বোলারদের নাম নিলে ব্রেট লি থাকবেন একদম শুরুর দিকেই। সেই লি নিজেই মুগ্ধ উমরান মালিকের গতি ও আগ্রাসনে। তরুণ এই ভারতীয় ফাস্ট বোলারকে দেখে অস্ট্রেলিয়ান গ্রেট ফাস্ট বোলারের মনে পড়ছে আরেক ভয়ঙ্কর ফাস্ট বোলার ওয়াকার ইউনুসকে। কাশ্মীরের ফল বিক্রেতার ছেলে উমরান জীবন যুদ্ধে অনেক লড়াই করে আইপিএলের মঞ্চে জায়গা করে নেন গত বছরের আসরে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে গতির ঝলক তিনি সেবারই দেখান। তবে অনেকটাই কাঁচা ছিলেন তখন। স্রেফ তিনটি ম্যাচে তার সুযোগ মিলেছিল। তার সম্ভাবনা অবশ্য তখনই বুঝেছিল হায়দরাবাদ। তাই এবারের আসরের নিলামের আগেই তারা ধরে রাখে তাকে। সেই উমরান এবার গতি দিয়ে আইপিএলের সবচেয়ে আলোচিত নামগুলির একটি। ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতি ছাড়িয়েছেন তিনি নিয়মিতই। ১৪ ম্যাচ খেলে প্রতিটিতেই জিতেছেন ম্যাচের দ্রুততম বোলারের পুরস্কার। স্রেফ জোরে বল করাই নয়, উইকেট শিকার করেও প্রমাণ করেছেন নিজের কার্যকারিতা।
১৪ ম্যাচে ২২ উইকেট তার, ৫ ও ৪ উইকেট নিয়েছেন একবার করে। ২২ বছর বয়সী ফাস্ট বোলার জিতে নিয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের স্বীকৃতি। আইপিএলে পারফর্ম করে জায়গা করে নিয়েছেন ভারতের টি-টোয়েন্টি দলেও। এবারের আইপিএলে উমরানকে দেখে মনে ধরেছে ক্রিকেট বিশ্বজুড়ে অনেকেরই। সাবেক গতি তারকা লি যেমন ভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআইকে বললেন তার ভালো লাগার কথা। “আমি তার বড় ভক্ত। উমরান মালিকের গতি তীব্র। সে দারুণ লড়াকু, দুর্দান্ত ছেলে। অতীতের ফাস্ট বোলারদের মতো ছুটে আসে সে। তাকে দেখলে মনে পড়ে ওয়াকার ইউনিসের কথা।” গত শতাব্দীর আশির দশকের শেষদিকে গতির ঝড় তুলে বিশ্ব ক্রিকেটে আবির্ভাব ওয়াকারের। শুরুর কয়েক বছর তিনি ছিলেন ব্যাটসম্যানদের জন্য আতঙ্ক। সর্বকালের সবচেয়ে গতিময় বোলারদের একজনও মনে করা হতো তাকে। রান আপে ছুটে আসতেন আগ্রাসী ভাবে। সঙ্গে সুইং আর ইয়র্কার মিলিয়ে তিনি ছিলেন ভয়ঙ্কর। সেই সময়ে তার উইকেট শিকারের হারও ছিল অবিশ্বাস্য। পরে অবশ্য ক্রমাগত চোটের কারণে তার গতি কমে আসে। তার পরও ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ফাস্ট বোলারদের একজন মনে করা হয় তাকে।