নিজস্ব প্রতিবেদক: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৬ দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকেই শহীদ মিনারে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা সমাবেশের মাধ্যমে দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, উপাচার্য আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। কুয়েট ক্যাম্পাস থেকে আর্মি ক্যাম্প মাত্র ১০ মিনিটের দূরত্ব। সেই আর্মি আসতে ৪ ঘণ্টা লেগেছিল। ফলে রক্তাক্ত হয়েছে আমাদের ভাইয়েরা। তাদের অনেকে ঢাকায় ভর্তি আছে। মাথায় ২৬টি সেলাই লেগেছে এমন অবস্থায় আছে। হাতের হাড় তিন ভাগ হয়েছে। ডাক্তার বলছে, হাত কেটে ফেলতে হবে বা ওপরওয়ালার ওপর আস্থা রাখতে হবে। আর কোনো কিছু করার নেই। কুয়েটের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর একটা মানুষ কুয়েট ছাত্রদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকে বহিরাগত ছাত্রদল, যুবদল সন্ত্রাসীরা আমাদের জখম করেছে।
তাদের ৬ দাবি: কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে, ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সংযুক্ত থাকলে তাকে বহিষ্কার এবং ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। ছাত্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, যারা আহত হয়েছে তাদের সহায়তা দিতে হবে এবং কুয়েটের প্রশাসনকে স্বীকার করতে হবে যে ছাত্রদল দ্বারা সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে এবং যারা এই সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে সংযুক্ত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং মামলা করতে হবে। ৬ নং দাবি হলো, উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে তারা বলেন, যে সরকার ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছে তার কাছ থেকে কোনো উত্তর না পেয়ে আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি। আমরা কাউকে কষ্ট দিতে আসিনি। আমরা জানাতে এসেছি, আমরা নিরাপদ একটা ক্যাম্পাস চাই। এ সময় তারা জানান, একটি দল এখন প্রধান উপদেষ্টার কাছে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেবে এবং ফিরে এসে পরবর্তী প্রেস ব্রিফিং করবে।