নিজস্ব প্রতিবেদক : ছাত্র-জনতার অংশীদারত্ববিহীন সিদ্ধান্তে ফ্যাসিবাদের দোসরদের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকাল চারটার দিকে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে এই কর্মসূচি শুরু হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যাদেরকে আপনারা নিয়োগ দিচ্ছেন, গত ১৬ বছরে তাদের অবদান কী? ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে তাদের লড়াইয়ের ইতিহাস আমরা জানতে চাই। তাদের সংগ্রামের ইতিহাস আমরা জানতে চাই। আপনারা যদি মনে করে থাকেন কোনো সমঝোতার ভিত্তিতে তারা পুনর্বাসিত হচ্ছে, তাহলে ছাত্র-নাগরিকের সঙ্গে, ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে আপনারা প্রতারণা করছেন।’ এর আগে এদিন দুপুরে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি লিখেন, ‘ছাত্র-জনতার অংশীদারিত্ববিহীন সিদ্ধান্তে উপদেষ্টা নিয়োগের প্রতিবাদে আজকে ৩ টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিক্ষোভ মিছিল ডাকে। অন্যদিকে বিপ্লবের চেতনা নিয়ে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদে ফ্যাসিবাদী দোসরদের স্থান দিয়ে শহীদের রক্তের অবমাননার প্রতিবাদে মানববন্ধন ডেকেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সমমনা দাবীতে পরপর দুইটি প্রোগ্রাম হওয়ায় আমরা সকলে মিলে বিকেল চারটায় একসাথে প্রোগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিকেল তিনটার পরিবর্তে বিকেল চারটায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।’
নতুন করে তিন উপদেষ্টা নিয়োগের পর থেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আসছেন সমন্বয়করা। রোববার সন্ধ্যায় উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন সেখ বশির উদ্দিন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও মাহফুজ আলম। তাদের শপথের পরই সমন্বয়ক সারজিস আলম তার ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘শুধু একটা বিভাগ থেকে ১৩ জন উপদেষ্টা! অথচ উত্তরবঙ্গের রংপুর, রাজশাহী বিভাগের ১৬টা জেলা থেকে কোনো উপদেষ্টা নাই! তার উপর খুনী হাসিনার তেলবাজরাও উপদেষ্টা হচ্ছে!’ অন্যদিকে হাসনাত লিখেছেন, ‘আমরা সারাদিন লীগ তাড়াবো আর বলবো, ‘মুজিববাদ, মুর্দাবাদ’। আর তারা মুজিবের ছবি পেছনে টানিয়ে করে শপথ পাঠ।’ এরপরই কর্মসূচির ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।