নিজস্ব প্রতিবেদক : ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাদেরকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন। আগের দিন প্রথম ধাপের ১৫০ উপজেলায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষে নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ের একীভূত তথ্য জানান। ইসির অতিরিক্ত সচিব (নির্বাচন ব্যবস্থাপনা) ফরহাদ আহম্মদ খান বলেন, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এরমধ্যে তিনটি পদে বিনা ভোটে পার হয়েছে চার উপজেলা।
বাগেরহাট সদর, মুন্সীগঞ্জ সদর, মাদারীপুরের শিবচরে ও ফেনীর পরশুরামে চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া বালিয়াডাংগি (ঠাকুরগাঁও) উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; হাকিমপুরে (দিনাজপুর) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; সাঘাটায় (গাইবান্ধা) চেয়ারম্যান; বেড়া (পাবনা) উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; সিংড়ায় (নাটোর) চেয়ারম্যান; কুষ্টিয়া সদরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; বড়লেখায় (মৌলভীবাজার) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সন্দ্বীপে (চট্টগ্রাম) ভাইস চেয়ারম্যান; কক্সবাজার সদরে ভাইস চেয়ারম্যান; রোয়াংছড়িতে (বান্দরবান) চেয়ারম্যান; কাউখালীতে (রাঙ্গামাটি) ভাইস চেয়ারম্যান; চুয়াডাঙ্গার ডামুড়হুদায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন একক প্রার্থীরা। প্রথম ধাপে দেড়শ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে।
প্রথম ধাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেড় সহস্রাধিক প্রার্থী: স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় তিন পদে গত সোমবার ভোটের মাঠ থেকে সরে যান ১৯৮ জন প্রার্থী।
> ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন পদে ভোটের মাঠে আছেন ১ হাজার ৬৯৩ জন প্রার্থী। > ১৫০ উপজেলায় তিন পদে এক হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। > চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন ৬৯৬ জন। এর মধ্যে ৯৫ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার পর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৬০১ জন প্রার্থী। > ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ জন মনোনয়ন দাখিল করলেও ৭৯ জন প্রত্যাহার করায় এখন রয়েছেন ৬৪৫ জন। > সংরক্ষিত নারী পদের জন্য জমা পড়েছিল ৪৭১টি মনোনয়নপত্র। এরমধ্যে ২৪ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর এখন রয়েছেন ৪৪৭ জন।
দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ভোট রয়েছে। সব মিলিয়ে অন্তত ৪৮৫ উপজেলার ভোট হবে চার ধাপে। সবশেষ ২০১৯ সালে চার ধাপের উপজেলা ভোটে প্রায় পাঁচশ উপজেলার মধ্যে ৪৬৫ উপজেলায় ভোট হয়। সেসময় তিনটি পদে সব মিলিয়ে ২২৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১১২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫২ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯ জন নির্বাচিত হন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট ৫ জুন: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ও শেষ ধাপের ভোট ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। এ ধাপে ৫৫ উপজেলার ভোটগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচনে ভবনে ইসির ৩২তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম এ তথ্য জানান। ইসি সচিব বলেন, আগামী ৫ জুন দেশের ৫৪ উপজেলায় চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ হবে। সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। এর সঙ্গে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার প্রার্থীর মৃত্যুতে স্থগিত হওয়া ভোটও এ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, ফলে মোট ৫৫ উপজেলায় ভোট হবে। তিনি জানান, চতুর্থ ধাপে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৯ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ১২ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৩ থেকে ১৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ মে। প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ২০ মে। ইসি সচিব বলেন, চতুর্থ ধাপের ৯টি উপজেলায় ভোট হবে ইভিএমে। বাকিগুলো ব্যালট পেপারের ভোটগ্রহণ করা হবে।
উপজেলা ভোটের প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২৬ জন
জনপ্রিয় সংবাদ