ঢাকা ০৮:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫

উপকূলে আমনের বাম্পার ফলনে কৃষক আনন্দিত

  • আপডেট সময় : ০৪:৫৯:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
  • ৪৭ বার পড়া হয়েছে

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা: পটুয়াখালীর উপকূল কুয়াকাটায় এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে আনন্দ উদ্দীপনা। দীর্ঘ সময়ের পরিচর্যা ও অপেক্ষা শেষে পরিশ্রমের ফল দেখতে পাচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। সোনালি ধানের হাত ধরে নতুন আশার আলো দেখছেন তারা।
কলাপাড়া উপজেলা তথা কুয়াকাটা প্রধানত উপকূলীয় এলাকা। লবণাক্ততা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগকবলিত অঞ্চল। এ কারণে কৃষিক্ষেত্র নানা ঝুঁকির মধ্যে থাকে। তবে এ বছর বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় এবং কৃষি উপকরণ সহজেই সরবরাহ থাকায় আমন ধানের ফলন আশানুরূপ হয়েছে বলে জানান কৃষকরা। অধিক ফলনের আশায় কৃষকরা এবার স্থানীয় জাতের পাশাপাশি উচ্চ ফলনশীল ধান চাষ করেন। এর মধ্যে গুটি স্বর্ণা, সুমন স্বর্ণা, ব্রি-ধান-৪৯, ব্রি-ধান-৫১, ব্রি-ধান-৭৫, ব্রি-ধান-৮৭, ব্রি-ধান-৯৫, ব্রি-ধান-১০৩ সহ বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করা হয়। কৃষকরা এসব ধান কাটতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এ বছর উপজেলায় আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০ হাজার ৭০০ হেক্টর। ঘূর্ণিঝড় ’রেমাল’-পরবর্তী কিছু প্রয়োজনে ২০২৩-২৪ কর্মসূচির আওতায় উপকূলের ১ হাজার ৮৯০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে জনপ্রতি ৫ কেজি ধানবীজ ও ২০ কেজি রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়। কৃষক ছিদ্দিক হাওলাদার বলেন, ‘এবার যে পরিমাণ ফলন হয়েছে, তা গত কয়েক বছরের চেয়ে অনেক বেশি। এই বাম্পার ফলন আমাদের জীবনমানের উন্নতি ঘটাবে এবং পরবর্তী মৌসুমে আরো বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে চাষাবাদ করতে পারব।’
এবারের বাম্পার ফলন দেখে কিছুটা অবাক কলাপাড়ার কৃষক মমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘যতটুকু ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা ছিল লবণাক্ততা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে, সেটি হয়নি। ফসল ভালো হওয়ায় কৃষকরা আনন্দিত।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। এছাড়া নতুন প্রযুক্তি এবং উন্নত জাতের বীজ ব্যবহারের ফলে এবার আমনের ফলন অনেক বেশি হয়েছে। স্থানীয় বাজারে সোনালি আমন ধানের চাহিদা বেড়েছে; যা কৃষকদের জন্য একটি বড় সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এ বছর কলাপাড়ার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধান বিক্রি করে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারবেন বলে আশা করেন তিনি।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

উপকূলে আমনের বাম্পার ফলনে কৃষক আনন্দিত

আপডেট সময় : ০৪:৫৯:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা: পটুয়াখালীর উপকূল কুয়াকাটায় এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে আনন্দ উদ্দীপনা। দীর্ঘ সময়ের পরিচর্যা ও অপেক্ষা শেষে পরিশ্রমের ফল দেখতে পাচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। সোনালি ধানের হাত ধরে নতুন আশার আলো দেখছেন তারা।
কলাপাড়া উপজেলা তথা কুয়াকাটা প্রধানত উপকূলীয় এলাকা। লবণাক্ততা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগকবলিত অঞ্চল। এ কারণে কৃষিক্ষেত্র নানা ঝুঁকির মধ্যে থাকে। তবে এ বছর বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় এবং কৃষি উপকরণ সহজেই সরবরাহ থাকায় আমন ধানের ফলন আশানুরূপ হয়েছে বলে জানান কৃষকরা। অধিক ফলনের আশায় কৃষকরা এবার স্থানীয় জাতের পাশাপাশি উচ্চ ফলনশীল ধান চাষ করেন। এর মধ্যে গুটি স্বর্ণা, সুমন স্বর্ণা, ব্রি-ধান-৪৯, ব্রি-ধান-৫১, ব্রি-ধান-৭৫, ব্রি-ধান-৮৭, ব্রি-ধান-৯৫, ব্রি-ধান-১০৩ সহ বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করা হয়। কৃষকরা এসব ধান কাটতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এ বছর উপজেলায় আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০ হাজার ৭০০ হেক্টর। ঘূর্ণিঝড় ’রেমাল’-পরবর্তী কিছু প্রয়োজনে ২০২৩-২৪ কর্মসূচির আওতায় উপকূলের ১ হাজার ৮৯০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে জনপ্রতি ৫ কেজি ধানবীজ ও ২০ কেজি রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়। কৃষক ছিদ্দিক হাওলাদার বলেন, ‘এবার যে পরিমাণ ফলন হয়েছে, তা গত কয়েক বছরের চেয়ে অনেক বেশি। এই বাম্পার ফলন আমাদের জীবনমানের উন্নতি ঘটাবে এবং পরবর্তী মৌসুমে আরো বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে চাষাবাদ করতে পারব।’
এবারের বাম্পার ফলন দেখে কিছুটা অবাক কলাপাড়ার কৃষক মমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘যতটুকু ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা ছিল লবণাক্ততা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে, সেটি হয়নি। ফসল ভালো হওয়ায় কৃষকরা আনন্দিত।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। এছাড়া নতুন প্রযুক্তি এবং উন্নত জাতের বীজ ব্যবহারের ফলে এবার আমনের ফলন অনেক বেশি হয়েছে। স্থানীয় বাজারে সোনালি আমন ধানের চাহিদা বেড়েছে; যা কৃষকদের জন্য একটি বড় সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এ বছর কলাপাড়ার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধান বিক্রি করে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারবেন বলে আশা করেন তিনি।