লাইফস্টাইল ডেস্ক : কাজের চাপে আমরা নিজের মনের প্রতিযতœশীল হতে ভুলে যাই। তবে বিশেষজ্ঞ্ররা মনে করেন, কাজের আগে মনের প্রতি বেশি মনোযোগী হওয়া জরুরি। ক্যালিফোর্নিয়ার মানসিক এবং আচরণগত স্বাস্থ্য চিকিৎসা কেন্দ্র ‘এএমএফএম হেল্থ কেয়ার’য়ের প্রধান মনোরোগ-বিশেষজ্ঞ ডা. মেঘান মার্কাম বলেন, “মানসিক স্বাস্থ্যের দিনগুলো গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটা সামগ্রিক শারীরিক সুস্থতার জন্য অত্যাবশ্যক।”
পিওরওয়াও ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি অবহেলা করার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি আরও বলেন, “এর ফলাফল খারাপ হতে পারে। যখন আমরা মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দেই এবং কাজের ছুটি নেই তখন তা আমাদের মন ভালো রাখার পাশাপাশি কাজের মানও বাড়ায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শক্তি বৃদ্ধি করে এবং মন মেজাজ ভালো রাখে। ব্যস্ত এই পৃথিবীতে নিজের মনের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের যতœ নেওয়া প্রয়োজন।” ডা. মার্কামের মতে, অনেকেই মানসিক যতেœর জন্য ছুটি নেওয়া বা কাজ বাদ দেওয়াকে দুর্বলতা বলে মনে করেন বা অপরাধবোধে ভুগেন। কিন্তু এর থেকে যদি মানসিক শান্তি পাওয়া যায় ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা যায় তাহলে দোষের কিছু নেই। অনেক কাজই মানসিক স্বাস্থ্য বান্ধব। সেক্ষেত্রে মানসিক যতœ নেওয়া সহজ। তাছাড়া অফিস থেকে সত্যি কথা বলেই ছুটি নেওয়া যায়। এমন ক্ষেত্রে নিজের মনের প্রতি যতœশীল হওয়া সম্ভব। কারণ সুখী কর্মী মানেই উৎপাদনশীল কর্মী। তবে সব অফিসের চিত্র এক রকম নয়। সেক্ষেত্রে নিচের পরামর্শগুলো কাজে লাগানো যেতে পারে। এক্ষেত্রে দিনটি কীভাবে কাটানো যেতে পারে সে সম্পর্কে মার্কাম বলেন, “মন ভালো থাকে এমন কাজ করা যেতে পারে। যেমন- বেড়াতে যাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে ফোনালাপ বা বাইরে সময় কাটানো, সুযোগ থাকলে ড্রাইভে যাওয়া ইত্যাদি।”
আর যেসব বিষয় মানসিক চাপ বাড়ায় যেমন- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার, কাজের মেইল দেখা, বিতর্কিত কথোপকথন ইত্যাদি না করাই উচিত।
উদ্বেগ বা হতাশা কমাতে প্রয়োজন কাজ থেকে বিরতি
ট্যাগস :
বিশ্বব্যাপী হুমকির মুখে গণতন্ত্র
জনপ্রিয় সংবাদ