আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আরও জোরদার করতে উত্তর কোরিয়ার গোলন্দাজ ইউনিটগুলোর মধ্যে গোলা ছোড়ার প্রতিযোগিতা হয়েছে বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে।
গত শনিবার উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর মধ্যে এ গোলা ছোড়ার মহড়া হয় বলে গতকাল রোববার কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির (কেসিএনএ) করা এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এমন এক সময়ে দেশটির সেনাবাহিনীতে এ প্রতিযোগিতা হল, যখন পিয়ংইয়ং ধারাবাহিকভাবে তাদের দৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ‘দ্বিচারিতা’ নিয়ে অভিযোগ করে যাচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার সামরিক কর্মকা- নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে ধরনের সমালোচনা হয়, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের একই ধরনের কর্মকা-ে তেমনটা হয় না, বলছে তারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পিয়ংইয়ং একদিকে যেমন তার প্রতিরক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চাইছে, তেমনি পারমাণবিক অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের অস্ত্রভা-ার নিয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যও আছে তাদের। পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের কারণে দেশটির ওপর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার গতানুগতিক বড় গোলন্দাজ বাহিনীর বেশিরভাগ অংশকেই দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে থাকা সুরক্ষিত সীমানায় মোতায়েন রাখা হয়েছে; তাদের গোলার আওতার মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার জনবহুল রাজধানী সিউলও আছে।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির সেন্ট্রাল কমিটির সম্পাদক ও পলিটব্যুরোর প্রেসিডিয়াম সদস্য পাক জং চনের তত্ত্বাবধানে শনিবারের প্রতিযোগিতাটি হয় বলে জানিয়েছে কেসিএনএ।
পাককে অনেকদিন ধরেই দেশটির প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর উদীয়মান তারকা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল; তিনি উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিরও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কর্তা। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে পদোন্নতি পেয়ে তিনি বর্তমান অবস্থানে আসেন। কোরিয়ান পিপলস আর্মির (কেপিএ) চিফ অব জেনারেল স্টাফ জেনারেল রিম কোয়াং ইল এবং প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ইউনিটগুলোর কমান্ডাররা পাক জং চনের সঙ্গে মহড়াটি উপভোগ করেন বলে জানিয়েছে কেসিএনএ।
উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীতে গোলা ছোড়ার প্রতিযোগিতা
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ