নিজস্ব প্রতিবেদক : পূর্বঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীর উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউটের সামনে গতকাল রোববার সমাবেশ শুরু করে ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা বিএনপি। এর থেকে এক কিলোমিটার দূরে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে নবাব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের সড়কে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও লাঠিসোঁটা হাতে সমাবেশ করছেন। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিব হাসান।
দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মীদের পাল্টাপাল্টি এ অবস্থানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আজ রোববার বেলা তিনটা থেকে উত্তরা–পূর্ব জোনের তিনটি থানার নেতা-কর্মীদের নিয়ে নানা দাবিতে এ সমাবেশ চলছে। বিএনপি এ সমাবেশে বাধা আসতে পারে এমন আলোচনা গতকাল শনিবার থেকেই ছিল। বিএনপির সভামঞ্চ থেকেও সমাবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। সমাবেশে আসার সময় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা।
বিএনপির সমাবেশস্থলের আশপাশের এলাকাতেও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে। বিএনপির এ কর্মসূচি ঘিরে দুপুর থেকেই সমাবেশস্থলের আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন দেখা গেছে। সমাবেশস্থলে যাওয়ার প্রবেশপথে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নেন।
উত্তরার স্থানীয় একটি সূত্র বলছে, বিএনপির সমাবেশ প্রতিহত করতেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা রাস্তায় নেমে আসেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতার কারণে গতকাল বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি।
রাজধানীর ১৬টি স্থানে অঞ্চলভিত্তিক প্রতিবাদ সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। শনিবারের এ ঘোষণার পর রোববার উত্তরা এলাকায় উত্তরখান, দক্ষিণখান ও উত্তরা-পূর্ব থানার নেতা-কর্মীদের নিয়ে এ সমাবেশ করা হচ্ছে।
জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে তিন নেতা-কর্মী নিহতের প্রতিবাদে এ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে এক সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। পল্টন, মতিঝিল ও শাহজাহানপুর অঞ্চল বিএনপির সমাবেশের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর ১৬টি জায়গায় সমাবেশ হবে।
উত্তরায় বিএনপি ও আ.লীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ, উত্তেজনা
জনপ্রিয় সংবাদ